শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ০৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৯ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

ব্যবসা বাণিজ্য

প্রতিদিনই আসছে নতুন বিনিয়োগ

| প্রকাশের সময় : ৩ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : বাজার গতিশীল করার লক্ষ্যে সব মহলের নেয়া ইতিবাচক পদক্ষেপের কারণে গত জুন থেকে ধারাবাহিক পতনের ধারা থেকে বের হয়ে আসার পর ব্যক্তি শ্রেণীর বিনিয়োগ ক্রমান্বয়ে বাড়ছে, যা বাজারে গতি সঞ্চার করছে সাথে বাড়ছে বিদেশী বিনিয়োগও। চলতি বছরের পুরো সময় ওই ধারা অব্যাহত থাকার ব্যাপারে আশাবাদী তারা। এরই প্রতিফলন দেখা গেছে গতকালের লেনদেনে। সংশ্লিষ্টদের নেয়া পদক্ষেপগুলোর বাস্তবায়ন শুরু হলে বাজার পুরোদমে তার কাক্সিক্ষত গতি ফিরে পাবে বলে মনে করছিলেন বিশ্লেষকরা। দেড় হাজার কোটি টাকার কাছাকাছি লেনদেন করে তাদের সে কাক্সিক্ষত লক্ষ্যের দিকে বাজার আরও একধাপ এগিয়ে গেল। তারা বলছেন, গত ৫ বছর ধরে সরকার এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি পুঁজিবাজারের জন্য যেসব রিফর্ম করেছে তার সুফল পাওয়া শুরু করেছে বিনিয়োগকারীরা। বিশেষ করে আমাদের বাজার নিয়ে বিদেশী এবং দেশী বড় ইনভেস্টরদের কনফিডেন্স লেভেল এখন অনেক উচ্চ পর্যায়ে চলে গেছে। তারা প্রতিদিনই নতুন নতুন বিনিয়োগ নিয়ে এখন আমাদের বাজারে অবস্থান নিচ্ছেন। 

তাই আগামী দিনগুলোতেও লেনদেন বৃদ্ধির এ ধারাবাহিকতা বিদ্যমান থাকবে বলেও মনে করছেন তারা।
বিশ্লেষণে দেখা গেছে, সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচকের উত্থানে শেষ হয় লেনদেন। আর এ বৃদ্ধির হারও ছিল তুলনামূলকভাবে কিছুটা বেশী। সোমবার সূচকের পাশাপাশি বেড়েছে লেনদেনকৃত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার দর। আর বীমা, প্রকৌশল, ওষুধ ও রসায়ন খাতে ভর করে ডিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ৪৬ শতাংশ। দিনশেষে ডিএসইর ব্রড ইনডেক্স ৩৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫১১৯ পয়েন্টে। ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৯ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১২০৯ পয়েন্টে এবং ডিএসই৩০ সূচক ১৯ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করে ১৮৪১ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ৩২৬টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৯০টির, কমেছে ১১৪টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২২টির। দিনশেষে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৪৪৮ কোটি ১৫ লাখ ৩৪ হাজার টাকা।
গত রোববার ডিএসইর ব্রড ইনডেক্স ৪৭ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করে ৫০৮৩ পয়েন্টে। যা ছিল গত দুই বছর ২ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর আগে গত ২০১৪ সালে ২ নভেম্বর ডিএসইর সূচকের অবস্থান ছিল ৫১০৫ পয়েন্ট।
ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করে ১২০০ পয়েন্টে এবং ডিএসই৩০ সূচক ১০ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করে ১৮২১পয়েন্টে। ওইদিন লেনদেন হয়েছিল ৯৯৩ কোটি ৬৯ লাখ ৮৮ হাজার টাকা। সে হিসেবে গতকাল ডিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ৪৫৪ কোটি ৪৫ লাখ ৪৬ হাজার টাকা বা ৪৫.৭৩ শতাংশ।
এদিকে, দিনশেষে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক ১৩৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১৫৭৭১ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ২৬৫টি কোম্পানির ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৪৭টির, কমেছে ৯০টির এবং অপরবর্তিত রয়েছে ২৮টির। আর দিনশেষে সিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ৭৮ কোটি ৪৫ লাখ ৫৮ হাজার টাকা। আগের কার্যদিবসে সিএসই সার্বিক সূচক ১৬৯ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করে ১৫৬৪৭ পয়েন্টে। আর ওই দিন সিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছিল ৬২ কোটি ৫ লাখ ৭৬ হাজার টাকা। সে হিসেবে গতকাল সিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ১৬ কোটি ৩৯ লাখ ৮২ হাজার টাকা বা ২৬.৪২ শতাংশ। Ñওয়েবসাইট
বাণিজ্যমেলায় শত স্টল অগোছালো
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : মাসব্যাপী ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা শুরু হয়েছে রোববার। দুইদিন হলেও গতকাল পর্যন্ত প্যাভেলিয়ন তৈরি ও সাজসজ্জার কাজ শেষ করতে পারেনি অনেকেই। সরেজমিনে মেলার মাঠ পরিদর্শন করে দেখা গেছে বড় স্টলগুলোর কাজ শেষ হলেও ছোট মাপের স্টলের প্রায় ৫০টির কাজ মাত্র শুরু করেছে। এছাড়া প্রায় ৫০টি স্টলের অর্ধেক কাজ শেষ হয়েছে। এতে করে মেলার পরিবেশ অনেকটাই ভালো বলে অভিযোগ করছেন দর্শণার্থীরা।
সোমবার মেলার দ্বিতীয় দিনে মেলা প্রাঙ্গণে গিয়ে ঠুকঠাক শব্দ শোনা যায়। প্রস্তুতি শেষ করতে না পারার কারণ হিসেবে কেউ বলছেন বিদ্যুৎ সংযোগ পেতে বিলম্ব হয়েছে, আবার কেউ বলছেন শ্রমিক সংকটের কথা। পুরোপুরি কাজ শেষ হতে আরও তিন থেকে চার দিন সময় লেগে যেতে পারে বলেও অনেকেই জানিয়েছেন। মেলায় আগত এক ক্রেতা বৃষ্টি জানান, দ্বিতীয় দিনে মেলায় এসে কিছুটা হতাশ হয়েছি। এখনো পুরোপুরি প্রস্তুতি শেষ হয়নি। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত বলেও তিনি মনে করেন। অপর ক্রেতা রাসেল আহমেদ জানান, এ মেলাটির আয়োজন অনেক আগে থেকেই শুরু হলেও এরকম অব্যবস্থাপনা কাম্য নয়। এতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টদের দায়িত্ব অবহেলার স্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়।
স্টল তৈরির কাজ শুরু করেছে, তবে তাদের স্টলে এখনও কোন সাইন বোর্ড দেয়া হয়নি এমন এক স্টলের কর্মকর্তা না প্রকাশ না করা শর্তে বলেন, আমাদের কাজ শুরু করতেই একটু দেরি হয়েছিল। বুধবার থেকে হয়তো মালামাল ডিসপ্লে শুরু করবো। তবে প্যাভিলিয়নের পুরো কাজ শেষ করতে দু-একদিন সময় লাগবে। এদিকে মেলায় খাবারের হোটেলে মূল্য তালিকা না থাকায় একং অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র না রাখার অপরাধে দুই প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। প্রতিষ্ঠান দুটো হলোÑ হাজী বিরিয়ানি ও হোমটেক্স। সোমবার বিকেলে রাজধানীর শেরে বাংলানগরে চলমান বাণিজ্য মেলায় অভিযান চালিয়ে ম্যাজিস্ট্রেট মশিউর রহমান এ জরিমানা করেন।
জানা যায়, প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। এর মধ্যে খাবার হোটেলে হাজী বিরিয়ানি মূল্য তালিকা না থাকায় প্রতিষ্ঠানটির প্ররিচালক আশিকুর রহমানকে ২০ হাজার টাকা এবং অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র না রাখায় হোমটেক্সে দায়িত্বরত মাজেদুর রহমানকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়াও বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে সতর্ক করা হয়েছে। অনেক প্রতিষ্ঠান ক্রেতারা খাওয়ার পর বেশি মূল্য নেয় বলে অভিযোগ রয়েছে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, যদি এ ধরনের কোনো অভিযোগ আসে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উল্লেখ্য, ১ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া এ মেলা চলবে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত। ১৩ লাখ ৭৩ হাজার বর্গফুট আয়তনের এবারের মেলাস্থল। মেলা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। এবারের মেলায় প্রবেশমূল্য ধরা হয়েছে (পূর্ববর্তী তিন বছরের মতো) প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য জনপ্রতি ৩০ টাকা এবং

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন