স্টাফ রিপোর্টার : মোহাম্মদপুরের আল্লাহ করিম জামে মসজিদের পরিচালনা কমিটির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আবদুল কাদের কর্তৃক মসজিদের ২০ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও নানান দুর্নীতির বিরুদ্ধে মামলা নং-৪৭ তাং-১৫-১১-১৬) দায়ের করা হয়েছে। আত্মসাৎকৃত টাকা মসজিদের একাউন্টে ফেরৎ দিতে বলায় আবদুল কাদের টাকা জমা দেবে না বলে হুমকি দিয়ে মামলার বাদি জহির উদ্দীনের প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে। বলে অভিযোগ করেছেন মামলার বাদি। মামলার বাদি আরজিতে অভিযোগ করেন মসজিদের নীচতলায় ১০৪টি দোকান বরাদ্দ বাবদ সেলামির টাকাসহ ১১ বছরের ১৩৩ মাসের দোকান ভাড়া এবং মসজিদের জন্য দেয় দান অনুদানের ২০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন, যা আবদুল কাদের তার স্বাক্ষরকৃত মিমাংসার আবেদন পত্রে স্বীকার করেছেন।
মামলার আরজিতে বলা হয়েছে ওয়াকফ এস্টেটের বিধি অনুযায়ী ওয়াকফ সম্পত্তি ৫ বছরের বেশি লিজ প্রদানের নিয়ম নেই। কিন্তু কাদেরগংরা মসজিদের ১৩৪টি দোকান ৯৯ বছরের জন্য লিজ দিয়েছেন সম্পূর্ণ বেআইনী ভাবে। লীজ দেয়া দোকানসমুহের মধ্যে ২৬টি দোকান মসজিদের ব্যবসায়িক পরিচালনা কমিটির সভাপতি মুহম্মদ আজিজুল হক ও আবদুল কাদের তাদের পরিবারের নামে ২৬টি দোকান লীজ নিয়েছেন।
এ বিষয়ে সাবেক কমিটির স্বীকারোক্তির তথ্যপত্রও রয়েছে। এসব দোকান বরাদ্দে স্বাক্ষর রয়েছে আবদুল কাদেরের। আর তার নিজের জন্য দুটি দোকানের বরাদ্দপত্রে স্বাক্ষর করেছেন কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ সহিদুল ইসলাম। আর সাধারণ সম্পাদক তার আত্মীয়-স্বজনের নামে বরাদ্দ নিয়েছেন ১৫টি দোকান। আর তার আত্মীয় স্বজনের নামে বরাদ্দ নিয়েছেন ১১টি দোকান।
এসব বিষয়ে যোগাযোগ করলে মসজিদের ব্যবসায়িক কমিটির সভাপতি মু. আজিজুল হক স্বীকার করেছেন দোকানসমুহের লিজ বৈধভাবে হয়নি।
মামলার বিষয়ে মোহাম্মদপুর থানার ওসি মোঃ জামাল উদ্দীন মীর বলেন, অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে কথা বলার জন্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ সহিদুল ইসলাম এবং আবদুল কাদেরকে টেলিফোনে পাওয়া যায়নি। তিনি এখন পলাতক আছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন