সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১১ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

খেলাধুলা

‘মাহামুদুল্লাহ হাল না ধরলে একশ’ হতো না’

| প্রকাশের সময় : ৪ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

বিশেষ সংবাদদাতা : ওয়ানডে সিরিজে ফিল্ডিংয়ে ক্ষুন্ন হওয়া সুনাম পুনরুদ্ধারের মহড়া দিয়েছে বাংলাদেশ দল গতকাল নেপিয়ারে। রুবেলকে পুল শট অবধারিত ছক্কা বলে ধরে নিয়েছিলেন নিল ব্রুম নিজেও । ডিপ স্কোয়ার লেগে ঠিক বাউন্ডারি রোপের ইঞ্চিখানেক দূর থেকে হাতে পাওয়া বলটি সাকিব ভাসালেন শূন্যে, মাঠের মধ্যে, শরীরের ভারসাম্য হারিয়ে বাউন্ডারি রোপ পেরিয়ে পরবর্তীতে শূন্যে ভাসানো বলটি দ্বিতীয় প্রচেষ্ঠায় দূর্দান্ত ড্রাইভিংয়ে ক্যাচে পরিণত করে স্বাগতিক সমর্থকদের করলেন স্তম্ভিত! এমন ক্যাচটি গত বছর অনুষ্ঠিত টি-২০ বিশ্বকাপে সুপার টেন এর ম্যাচে পাকিস্তানের হাফিজকে নেয়া সৌম্য’র আসর সেরা ক্যাচের কথাই যে মনে করিয়ে দিয়েছে। শুধু এই ক্যাচটিই নয়, মিড অন থেকে সৌম্য’র থ্রো থেকে ব্রুসকে মাশরাফির রান আউটেও ফিল্ডিংয়ে অন্য এক বাংলাদেশ দলকে দেখেছে বিশ্ব।
ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে বাজে ফিল্ডিং, ক্যাচ ড্রপকে আসামির কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে ছেড়েছেন মাশরাফি। গতকাল প্রত্যাশা বাড়িয়ে দেয়া ফিল্ডিংয়ে ক্যাচ ড্রপ নয়, বরং আফসোস বাড়িয়ে দিয়েছে সৌম্য, ইমরুলের ফিল্ডিং পজিশনের কারণে ২টি ক্যাচ নিতে না পারা। সাকিবের বলে কেন উইলিয়ামসনের ফিফটির শটটি ছক্কা, ডিপ স্কোয়ার লেগে সৌম্য পজিশন পরিবর্তন করে একটু এগিয়ে না গেলে পেতে পারতেন ওই ক্যাচটি। ১৪তম ওভারে ফিল্ডিং পজিশনে ওই ভুলটি ১৬ তম ওভারে করেছেন ইমরুল। সৌম্য’র বলে এক্সট্রা কভার পজিশনে আর একটু পেছনে থাকলে সেই উইলিয়ামসনকে ক্যাচে পরিণত অসম্ভব হতো না। সে কারণেই দারুণ ফিল্ডিংয়ের দিনে এই দু’টি ভুল আফসোস বাড়াচ্ছে মাশরাফিকে। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে সে কথাই শুনিয়েছেন মাশরাফিÑ‘সৌম্য যদি একটু পিছিয়ে থাকত, কেন যে ও সামনে আসতে গেল।ওই দিকে মাঠ একটু বড় বলেই হয়ত সৌম্য ৫-১০ গজ ভেতরে ছিল। ও হয়ত চিন্তা করেছে পেছন যেয়ে বল সামলে নিতে পারবে। কিন্তু পারেনি। আর ইমরুল বুঝতে ভুল করেছে। বাউন্ডারি সীমানায় আমাদের সেরা ফিল্ডারই ছিল সে। হয়ত দুই রান আটকানোর ভাবনায় একটু ওপরে ছিল। এই দু’টি সুযোগের একটি কাজ লাগাতে পারলে হয়ত খেলাটা আমাদের দিকে ফিরে আসত। বিশেষ করে সাকিবের বলে সৌম্যর সুযোগটা। কারণ, ওই সময়ে তাদের ওভারপ্রতি ওদের ৮ রানের বেশি দারকার ছিল।’
তবে ওয়ানডে সিরিজের মতো টি-২০ সিরিজের প্রথম ম্যাচেও ব্যাটিংয়ে হতাশ মাশরাফিÑ ‘ব্যাটসম্যানরা লক্ষ্য ও পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলতে পারেনি। বলা ছিল, উইকেটে যেয়ে শট না খেলে সেট হতে হবে। এ উইকেটে একটু দেখে সেট হয়ে খেলতে পারলে যে পরে ফ্রি-স্ট্রোক খেলা যায়, মাহমুদউল্লাহ’র ইনিংসটাই তার প্রমাণ।’ মাহামুদুল্লাহ’র দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে সম্মানজনক টোটাল পেয়েছে বাংলাদেশ, সেজন্যই এই মিডল অর্ডারকে ধন্যবাদ দিয়েছেন মাশরাফি- ‘শুরুতে যেভাবে চার উইকেট হারিয়েছি আমরা, তখন মাহমুদউল্লাহ না দাঁড়ালে কী যে হতো! বলা মুশকিল। মাহমুদউল্লাহ হাল না ধরলে আমরা হয়তো ১০০-তে অলআউট হয়ে যেতাম।’
এদিকে টি-২০ সিরিজের প্রথম ম্যাচে বড় জয়ে কৃতিত্ব দিয়েছেন কিউই অধিনায়ক ডেব্যুটেন্ট কলিন গ্র্যান্ডহোমের অল রাউন্ড (১/৪৩ ও ৪১ নট আউট) পারফরমেন্সকেÑ ‘দারুণভাবেই ম্যাচটি আমরা শেষ করতে পেরেছি। শুরুতে আমরা বেশ ক’টি উইকেট হারিয়ে ফেলেছিলাম। কিন্তু কলিন গ্র্যান্ডহোম দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছে। শেষ দিকে তার সঙ্গে আমার অসাধারণ পার্টনারশিপ হয়েছে। কলিনের প্রশংসা করতেই হয়। আন্তর্জাতিক লেভেলে প্রথম ম্যাচেই সে নিজেকে মেলে ধরছে।’ ওয়ানডে সিরিজের পর টি-২০ সিরিজের প্রথম ম্যাচে কিইই পেসার ফার্গুসন গতির বোলিংয়ে বাংলাদেশ দলকে করেছে পর্যুদস্ত। তার পর পর ২ ডেলিভারিতে ২টি উইকেটই ম্যাচে বাংলাদেশকে দিয়েছে পিছিয়ে। সে কারণে টি-২০তে দারুণ অভিষিক্ত এই পেস বোলারের প্রশংসা করতে হচ্ছে কেন উইলিয়ামসনকেÑ ‘বল হাতে লকি ফার্গুসন ছিল দুর্দান্ত। গতিময় বোলিং করেছে সে। স্যান্টনার ও কলিন বোলিংটাও ভালো হয়েছে। দর্শকের পক্ষ থেকে অনেক সমর্থন পেয়েছি।’

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন