রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ০৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১০ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

খেলাধুলা

সর্বকনিষ্ঠ ডাবলের মালিক সাইফ

| প্রকাশের সময় : ৫ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

তাইবুরের দ্বিতীয়, কাপালীর তৃতীয় দ্বিশতক
স্পোর্টস রিপোর্টার : আগের দিন অপরাজিত ছিলেন ৫৬ রানে। গতকাল দ্বিতীয় দিনে লাঞ্চের পরই সেটিকে রূপ দেন তিন অঙ্কে। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে চট্টগ্রামের বিপক্ষে ততক্ষণে সিলেটের স্কোর ৪০০ পেরিয়েছে। তবুও অলক থামেননি অলক কাপালী, এগিয়ে গেলেন আরও বড় লক্ষ্যে। চা বিরতির আগে পেয়ে গেলেন প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তৃতীয় ডাবল সেঞ্চুরি। ‘ডাবলে’র অপেক্ষা ফুরোতেই প্রথম ইনিংস ঘোষণা দিলেন সিলেট অধিনায়ক নিজেই। আগের দিন ইমতিয়াজের সেঞ্চুরি, আর অলকের দ্বিশতকে চট্টগ্রামকে রানের বোঝা চাপিয়ে দিয়েছে সিলেট। ৭ উইকেটে ৫৫৫ রান করে ইনিংস ঘোষণা করে তারা।
এতো গেল এক ডাবলের গল্প। জাতীয় লিগের শেষ রাউন্ডের দ্বিতীয় দিনটাই যেন ‘ডাবলময়’! সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে একই দিনে ডাবল সেঞ্চুরি পেয়েছেন ঢাকা বিভাগের সাইফ হাসান ও তাইবুর রহমান। দু’জনের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে বরিশালের বিপক্ষে রানের পাহাড় গড়েছে ঢাকা। প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেটে ৫৮৮ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করেছে মোহাম্মদ শরিফের দল।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে জাতীয় লিগের ইতিহাসের সর্বকনিষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে ডাবল সেঞ্চুরি করেছেন সাইফ। দারুণ ধৈর্যের পরিচয় দিয়ে ৫৫৬ মিনিট ক্রিজে থেকে ৪১০ বল মোকাবেলা করে ২০৪ রান করেন তিনি। ২০টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে নিজের ইনিংসটি সাজান অনূর্ধ্ব-১৯ দলের অধিনায়ক। চলতি আসরে এ পর্যন্ত দুটি শতকে ৯০.৫০ গড়ে করেছেন ৩৬২ রান। এর আগে এই রেকর্ডটি ছিল মোসাদ্দেক হোসেনের। গতবছর ফেব্রুয়ারি মাসে ১৯ বছর ৬৮ দিনে দ্বিশতক হাঁকান তরুণ এই উদীয়মান ব্যাটসম্যান। গতকাল ১৮ বছর ৬৬ দিনে ডাবলস গড়ে রেকর্ডটি নিজের করে নিলেন যুবা অধিনায়ক।
তবে সাইফের রেকর্ডের দিনে আলো কেড়ে নিয়েছেন তাইবুর রহমান। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরি তুলে নেন এ অলরাউন্ডার। ৩০২ বলে ২৪২ রানের আক্রমণাত্মক ইনিংস খেলেন তিনি। ২৬টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে এ রান করেন তিনি। সাইফের সঙ্গে চতুর্থ উইকেটে ৩০৪ রানের বড় জুটিতে প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেটে ৫৮৮ রান করে ঢাকা। এই মৌসুমটা তারও কাটছে দারুণ। দুটি শতকসহ ৯৩.২০ গড়ে পেয়েছেন ৪৬৬ রান। ২০১৩-১৪ মৌসুমে প্রথম দ্বিশতক পেয়েছিলেন তাইবুর। সেবার করেছিলেন ২০৭ রান। প্রথম শেণির ক্রিকেটে এদিন হলো ২৫তম ব্যাটসম্যানের ২৯তম ডাবল সেঞ্চুরি।
বোলারদের ব্যর্থতার দিনে সফল তৌহিদুল ইসলাম। ৮৭ রানে ৫ উইকেট নিয়েছেন এই পেসার। ৪২ ওভারে ১৪৯ রান দিয়ে উইকেটশূন্য অফ স্পিনার সোহাগ গাজী। বাঁহাতি স্পিনার মনির হোসেন ১ উইকেট নেন ১৫১ রানে। দ্বিতীয় দিন শেষে বরিশালের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ১০১ রান। প্রতিপক্ষকে আবার ব্যাটিংয়ে নামাতে এখনও ২৮৮ রান প্রয়োজন দলটির।
একইভাবে পাঁচ উইকেট নিয়ে বোলারদের মান আরেকটু বাড়িয়েছেন মামুন হোসেন। বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে ৮১ রান দিয়ে পাঁচ উইকেট নিয়েছেন রাজশাহীর এই বোলার। তার তোপেই খুব একটা বড় হয়নি রংপুরের ইনিংসটি, চার উইকেটে ৮৯ রানে দিন শুরু করে নাঈমের দল থেমেছে ৩৫১ রানে। সেঞ্চুরি থেকে মাত্র তিন রানের আক্ষেপে পুড়তে হয়েছে ধীমান ঘোষকে। তবে জাতীয় দলের জন্য আশার খবর হচ্ছে, ইনজুরি কাটিয়ে বল হাতে প্রথমদিন জোড়া সাফল্যের পর এদিন কোনো উইকেট না পেলেও সর্বমোট ২১ ওভার (আগের দিন ৮ ওভার) বল করেছেন শফিউল ইসলাম। বিপিএলে ইনজুরিতে স্থান হয়নি নিউজিল্যান্ড সফরের ২৩ জনের দলে। তবে টেস্ট সিরিজে দলে ঠাঁই হতে পারে এই পেসারের। সে লক্ষ্যে নির্বাচকদের একটি বার্তাই দেয়া হয়ে গেল না শফিউলের!


প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে বাংলাদেশের
সর্বকনিষ্ঠ ডাবল সেঞ্চুরিয়ানরা
নাম    বয়স    ইনিংস    সাল
সাইফ হাসান    ১৮ বছর ৬৬ দিন    ২০৪    জানুয়ারি ২০১৭
মোসাদ্দেক সৈকত    ১৯ বছর ৬৮ দিন    ২৫০    ফেব্রুয়ারি ২০১৫
মোসাদ্দেক সৈকত    ১৯ বছর ৭৫ দিন    ২৮২    ফেব্রুয়ারি ২০১৫
মোহাম্মদ নাজিমউদ্দিন    ১৯ বছর ১৩৮ দিন    ২০৪    ফেব্রুয়ারি ২০০৫
রকিবুল হাসান    ১৯ বছর ১৬১ দিন    ৩১৩    মার্চ ২০০৭
মোসাদ্দেক সৈকত    ১৯ বছর ২৯৭ দিন    ২০০    অক্টোবর ২০১৫

স ং ক্ষি প্ত স্কো র
ঢাকা-বরিশাল
ঢাকা ১ম ইনিংস : ১৫২.৫ ওভারে ৫৮৮/৬ ডিক্লে. (জাহিদ ৫৭, সাইফ ২০৪, রকিবুল ৩৮, তাইবুর ২৪২, নাদিফ ৩৫*; তৌহিদ ৫/৮৭, মনির ১/১৫১)। বরিশাল ১ম ইনিংস: ২২ ওভারে ১০১/৬ (আল আমিন জুনি. ৩৪, সোহাগ ২৫, মনির ১৫ ব্যাটিং, সালমান ৬ ব্যাটিং; শাহাদাত ২/২১, শরীফ ২/২৮, মোশাররফ ১/১৭, নাজমুল ১/২০)
রাজশাহী-রংপুর
রাজশাহী ১ম ইনিংস : ১৯১। রংপুর ১ম ইনিংস : ৯৪.৫ ওভারে ৩৫১ (লিটন ৭৪, নাঈম ২৬, নাসির ৬৮, ধীমান ৯৭, শুভ ৩৮*, সাদ্দাম ৬; শফিউল ২/৮৮, রেজা ২/৯২, মামুন ৫/৮১)। রাজশাহী ২য় ইনিংস : ৯ ওভারে ৪২/১ (মাইশুকুর ১৬ ব্যাটিং, জুনায়েদ ২১ ব্যাটিং; সাজেদুল ১/৯)

খুলনা-ঢাকা মেট্রো
খুলনা ১ম ইনিংস: ২০৭। ঢাকা মেট্রো ১ম ইনিংস: ৩৬ ওভারে ১২২ (শামসুর ১৫, আসিফ ১২, মেহরাব জুনি. ২২, সৈকত ১২, শরিফউল্লাহ ৩৮, হায়দার ৬*; রাজ্জাক ৩/১৫, আশিক ৩/৩১, আল আমিন ৩/৩৯, জিয়া ১/২৫)। খুলনা ২য় ইনিংস: ৫৮.২ ওভারে ২৭২/৩ (মেহেদী ১৫, হাসান ৫৫, এনামুল ১২২, তুষার ৭৩ ব্যাটিং, মিঠুন ০ ব্যাটিং; ডলার ১/৪৫, হায়ার ১/৪৬, সানি /৫৯)
সিলেট-চট্টগ্রাম
সিলেট ১ম ইনিংস : ১৪৩ ওভারে ৫৫৫/৭ ইনিংস ঘোষণা (ইমতিয়াজ ১৩৪, রুমান ১৪, জাকির ১, রাজিন ৫৮, কাপালী ২০০*, জাকের ৭৮, শাহানুর ৪৫, নাসুম ১*; ইফতেখার ৩/১০৫, নাঈম ২/১৮৯, তাসামুল ১/২২, কামরুল ১/১১৫)। চট্টগ্রাম ১ম ইনিংস : ৩৮ ওভারে ১১৫/৩ (নাফিস ৫১ ব্যাটিং, ইয়াসির ৫৩ ব্যাটিং; জায়েদ ২/১৬, ফেরদৌস ১/২৬)।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন