শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

পিকনিকের বাস খাদে ব্যাংক কর্মকর্তাসহ নিহত ৪

| প্রকাশের সময় : ৭ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

খুলনা ব্যুরো : খুলনার খানজাহান আলী (রহ.) সেতুর পূর্বপাড়ে বাইপাস সড়কের মলমঘাটা ব্রিজের ওপর থেকে যাত্রীবাহী পিকনিকের বাস খাদে পড়ে ব্যাংক কর্মকর্তাসহ চারজন নিহত হয়েছেন। শিশুসহ এ সময় অন্তত ৪২ জন আহত হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১০টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সাতক্ষীরার নলতা রূপালী ব্যাংকের কর্মকর্তারা দু’টি বাসযোগে (খুলনা মেট্রো-জ-১১-০০৮৫) কুয়াকাটার উদ্দেশ্যে পিকনিকের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। পথিমধ্যে পেছনের বাসটি জাবুসার মলমঘাটা ব্রিজ থেকে নামার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে উল্টে যায়। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ জহিরুল ইসলাম (৪২) নামে এক ব্যাংক কর্মকর্তার লাশ উদ্ধার করেন। যাত্রী রোকনুজ্জামানসহ আরো তিনজনকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। এ ছাড়া অন্তত ৪২ জন আহত হয়েছে। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়।
আড়াই যুগ ধরে রাঙ্গুনিয়া মরিয়মনগর বেড়িবাঁধের সংস্কার নেই
নুরুল আবছার চৌধুরী, রাঙ্গুনিয়া (চট্টগ্রাম) : রাঙ্গুনিয়ার মরিয়মনগর বেড়িবাঁধ গত আড়াই যুগ ধরে সংস্কার নেই। মরিয়মনগর ও কদমতলি ইউনিয়নের একাধিক গ্রামের হাজার হাজার মানুষের ঘরবাড়ি, স্কুল, কমিউনিটি ক্লিনিক, মসজিদ, মাদ্রাসা মারাত্মক ভাঙনের কবলে পড়েছে। ভয়াবহ কর্ণফুলী নদী ভাঙ্গনের ঝুঁকিতে হাজার হাজার মানুষ এখন চরম আতংকের মধ্যে দিনযাপন করছে।
জানা যায়, উপজেলার মরিয়মনগর বালুর গোট্টা এলাকায় কর্ণফুলী নদীতে ১৯৮৭-৮৮ সালে ১১ কোটি টাকা ব্যয়ে ৭৫০ মিটার দৈর্ঘ্য বেড়িবাঁধটি নির্মাণ করে পানি উন্নয়ন বোর্ড। বাঁধ নির্মান করায় কর্ণফুলীর ভাঙন থেকে রক্ষা পায় চন্দ্রঘোনা কদমতলী ইউনিয়ন ও মরিয়মনগর ইউনিয়নের শত শত ঘরবাড়ি। বেড়িবাঁধ নির্মানের পূর্বে এসব এলাকায় শত শত বাড়িঘর ও স্থাপনা ভাঙ্গনের কবলে পড়ে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। ভাঙ্গনে বিলীন হয়ে যাওয়া দুই ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকায় চর জেগে উঠে। যেখানে পানের বরজসহ নানা রকম সবজি ও ধান চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছে গ্রামবাসী। কিন্তু সংরক্ষণের অভাবে বেড়িবাঁধটি নির্মানের কয়েক বছর পর কর্ণফুলী নদীর পানির তোড়ে ভাঙ্গতে থাকে। পুনরায় বিলীন হতে থাকে ২ ইউনিয়নের নদী তীরবর্তী গ্রামগুলো।
উপজেলা মানবাধিকা বাস্তবায়ন সংস্থার যুগ্ন সম্পাদক মো. নুরুল ইসলাম আজাদ বলেন, ২০০৪ সালের ভয়াবহ বন্যায় কাপ্তাই বাঁধের উজান থেকে ছেড়ে দেয়া পানির তোড়ে বেড়িবাঁধটির আরো আড়াইশ’ মিটার কর্ণফুলী নদীতে বিলীন হয়ে যায়। সেই সাথে চন্দ্রঘোনা কদমতলী ইউনিয়ন ও মরিয়মনগর ইউনিয়নের শতশত ঘরবাড়ি, অর্ধশতাধিক পানের বরজ পানির স্রোতে বিলীন হয়ে যায়। সেই থেকে কর্ণফুলী নদীর অব্যাহত ভাঙ্গনে বাঁধটির বিলীন হতে চলেছে। বাঁধের পাশের বাসিন্দা গোলাপুর রহমান জানান, বেড়িবাঁধটি থাকায় আমরা মরিয়মনগর ইউনিয়নের বালুর গোট্টা, কাটাখালি, ফরাশ পাড়া, ফুলগাজি পাড়াসহ ৬নং ওয়ার্ডের শত শত গ্রামবাসী বছরের পর বছর বসবাস করে আসছি। বাঁধটি সংস্কার না হওয়ায় আমাদের ঘরবাড়ি কর্ণফুলী নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন