শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আন্তর্জাতিক সংবাদ

ওবামার নিয়োগপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূতদের পদত্যাগের নির্দেশ ট্রাম্পের

শপথ নেয়ার আগে ওবামার রাজনৈতিক কর্মকর্তাদের সরিয়ে দেয়ার কঠোর অবস্থান নিয়েছেন নতুন প্রেসিডেন্ট

| প্রকাশের সময় : ৮ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার কাছ থেকে মনোনীত ও নিয়োগপ্রাপ্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূতদের ২০ জানুয়ারির মধ্যে ইস্তফা দিতে বলা হয়েছে। দেশটির প্রেসিডেন্ট ইলেক্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ট্রাঞ্জিশন টিম এমন একটি নিদের্শনা ইস্যু করেছে। গত শুক্রবার এ কথা জানিয়েছেন নিউজিল্যান্ডে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্ক জিলবার্ট। বার্তা সংস্থাকে টুইটারে পাঠানো এক বার্তায় জিলবার্ট বলেন, ২০ জানুয়ারি আমি ইস্তফা দেবো। তিনি আরো জানান, নির্দেশনাটি ২৩ ডিসেম্বর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি তারবার্তায় পাঠানো আদেশের মাধ্যমে কোনো ইস্যু করা হয়। ট্রাম্পের ট্রাঞ্জিশন টিমের সিনিয়র এক কর্মকর্তা বলেন, এই পদক্ষেপে খারাপ কোনো অভিপ্রায় নেই। তিনি এটাকে বিদেশে ওবামার রাষ্ট্রদূতদের যথাসময়ে সরকার থেকে সরে যাওয়া নিশ্চিত করার সাধারণ একটি বিষয় হিসেবে ব্যাখ্যা করেন, ঠিক যেমনটা হোয়াইট হাউস ও ফেডারেল এজেন্সিগুলোর হাজারো রাজনৈতিক কর্মকর্তাকে করতে হবে। নিউ ইয়র্ক টাইমস বলেছে, ট্রাম্প যখন ২০ জানুয়ারি শপথ নেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তখন তিনি ওবামার রাজনৈতিক নিয়োগপ্রাপ্ত কাউকে তাদের পদে না রাখার কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন। এতে করে ট্রাম্প তার অনেক পূর্বসূরির ঐতিহ্যগত পররাষ্ট্র ও অভ্যন্তরীণ নীতির অর্জনগুলোয় ছেদ টানবেন। মি. জিলবার্ট নিউ ইয়র্ক টাইমসের একটি রিপোর্ট নিশ্চিত করেন যেখানে কূটনৈতিক নানা সূত্র উদ্ধৃত করে বলা হয়েছিল, অতীতের মার্কিন প্রশাসনগুলো ঐতিহ্যগতভাবে কিছু সংখ্যক রাষ্ট্রদূতের মেয়াদ বৃদ্ধির অনুমোদন দিতো। প্রধান দুই দলের প্রশাসনই এমন করে আসছে। বিশেষ করে যেসব রাষ্ট্রদূতের স্কুলগামী সন্তান রয়েছে তাদের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হতো। কয়েক সপ্তাহ থেকে শুরু করে কয়েক মাস পর্যন্ত বর্ধিত মেয়াদ পেতেন এসব রাষ্ট্রদূত। রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, রাষ্ট্রদূতদের ইস্তফা দেয়ার নিদের্শনা নিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ট্রাম্প ট্রাঞ্জিশন টিমের কাছ থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। নিউ ইয়র্ক টাইমসের খবরে বলা হয়, এই নির্দেশনা যুক্তরাষ্ট্রকে গুরুত্বপূর্ণ কিছু দেশে সিনেট-সমর্থনপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূতবিহীন অবস্থায় ফেলে দেয়ার ঝুঁকি বহন করে। এমন দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে- জার্মানি, কানাডা ও বৃটেন। কূটনীতিকরা দৈনিকটিকে বলেছে যে, এ নির্দেশনা তাদের ব্যক্তিগত জীবনকে ঝঞ্ঝাটের ঘূর্ণাবর্তে ঠেলে দিয়েছে। দায়িত্ব ছাড়ার পরও তাদের অনেকে কর্মস্থলের দেশ ছাড়তে পারবেন না। ফলে তাদের এখন বিকল্প থাকার ব্যবস্থা করতে ঝামেলা পোহাতে হচ্ছে। দেশগুলোতে আরো সময় থাকার জন্য ভিসা নেয়ার তৎপরতা চালাতে হচ্ছে। কারণ, তাদের স্কুলগামী সন্তানদের পড়াশোনায় যেন ছেদ না পড়ে তা নিশ্চিত করা। তারা যেন স্কুল চালিয়ে যেতে পারে। রয়টার্স, নিউ ইয়র্ক টাইমস, ওয়েবসাইট।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন