শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নিবন্ধ

চিঠিপত্র : নরসিংদীতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় চাই

| প্রকাশের সময় : ৮ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

মানব জাতির সার্বিক উৎকর্ষ ও সমৃদ্ধি অর্জনে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ভূমিকা অপরিহার্য। পশ্চাদপদ ও উন্নয়নশীল দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির কোনো বিকল্প নেই। সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ হলো বিশ্ববিদ্যালয়। নরসিংদী জেলার সাক্ষরতার হার ৬৫% জনসংখ্যা ২২ লাখ ২৪ হাজার ৯৪৪ জন (২০১১ সালের আদমশুমারী অনুসারে)। যেখানে জীবন নানা সমস্যার ঘুরপাক খাচ্ছে, যেখানে বিপুল জনসংখ্যা অশিক্ষা ও অন্ধ সংস্কারের আবর্তে বন্দী, সেখানে বিজ্ঞানমনস্কতা ও বিজ্ঞানচর্চা অনেক দরকার। নরসিংদী জেলায় অসংখ্য স্কুল-কলেজ থাকলেও কোনো বিশ্ববিদ্যালয় নেই। যার ফলে অনেক শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। অনেক অভিভাবক তাঁদের সন্তানদের বিশেষ করে মেয়েদেরকে উচ্চশিক্ষার জন্য দূরে পাঠান না। নরসিংদী জেলাতে উন্নত পরিবেশে স্বল্পমূল্যে পর্যাপ্ত জমির ব্যবস্থা রয়েছে। একবিংশ শতাব্দীতে বহুমুখি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা অপরিহার্য। আর তাই নরসিংদীতে আন্তর্জাতিকমানের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হোক, যাতে এখানকার শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞান ও বাস্তবভিত্তিক শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে দেশ ও জাতির সেবায় অবদান রাখতে পারে।
মো. রোমান মিঞা
উয়ারী, আমলাব, বেলাব, নরসিংদী।

সমাজের অবক্ষয়
শিশু ধর্ষণ! যে খবরে আঁতকে উঠি, হাত-পা অবশ হয়ে যায়। কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে ভাবি, এরা কি মানুষ নাকি মানুষরূপী হায়েনা ? এই অমানবিক কাপুরুষোচিত কাজের দায় সমাজপতিরা এড়িয়ে যেতে পারেন না। আমরা এ কোন সমাজে বাস করি ? যে সমাজ একটি শিশুর নিরাপত্তা দিতে অপারগ? যে সমাজে শিশু অনিরাপদ! এর প্রতিকারে কি গঠনমূলক কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে ? যে সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে নেশা, হাত পাতলেই যৌন উত্তেজক সামগ্রী, সুড়সুড়ি মার্কা ছবি- সেই সমাজে আরো ভয়ঙ্কর ভবিষ্যতের আশঙ্কা করা কি অমূলক হবে ? আশা করি সমাজপতিরা বিষয়টি গভীরভাবে উপলব্ধি করে আমাদের শিশুদেরকে এই সমাজের মানুষরূপী হায়েনার কবলে থকে রক্ষার জন্য বাস্তবসম্মত উদ্যোগ নেবেন।
গাযী খলিলুর রহমান
আহ্বায়ক, সচেতনতা সৃষ্টিতে আমরা
কেন্দ্রীয় কমিটি, টঙ্গী, গাজীপুর।

আইসিটি শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হোক
বেসরকারি স্কুল-কলেজের শূন্য পদে নিয়োগের জন্য প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে চাহিদা দেবার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় যে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে তাতে সাড়া দিচ্ছেন না অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানপ্রধান। বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। উল্লেখ্য, অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আছে যেগুলোতে কমপিউটার/আইসিটি শিক্ষক নেই। আমরা জানি, এর আগে ছয় মাসের কোর্স করা থাকলেই উচ্চ মাধ্যমিক বা কলেজ পর্যায়ে কমপিউটার প্রভাষক হতে পারতেন। এখন এ ধারা পরিবর্তন করা হয়েছে। কলেজ সেকশনে পরিবর্তনটা বেশ উপযোগী হলেও মাধ্যমিকে বিষয়টি চালু রাখা প্রয়োজন। ছয় মাসের কমপিউটার কোর্স করা এবং কমপিউটার শিক্ষকতায় নিবন্ধন পরীক্ষায় পাস করা অধিকাংশ ব্যক্তিই এতদিন টাকার অভাবে শিক্ষকতার পেশায় প্রবেশ করতে পারেননি। তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে বিনীত অনুরোধ জানাই- যেসব প্রতিষ্ঠানে কমপিউটার/আইসিটি শিক্ষক নেই, শুধু মেধার ভিত্তিতে তাঁদের মধ্য থেকে আইসিটি শিক্ষক নিয়োগ দিন।
মোছা. শিউলী খানম
অনার্স শেষ বর্ষ,
সরকারি আজিজুল হক বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, বগুড়া।

রুটি-বিস্কুটের মূল্য বৃদ্ধি
কনফেকশনারি আইটেম রুটি-বিস্কুটের মূল্য বৃদ্ধি করা হয়েছে। গত বাজেটের পর একবার রুটি-বিস্কুটের দাম বাড়ানো হয়েছিল। রুটি-বিস্কুট তৈরির প্রধান উপাদান আটা-ময়দা-তেলের দাম অনেক দিন ধরে স্থিতিশীল রয়েছে। কেবল চিনির দাম গত রোজার পর থেকে বৃদ্ধি পেয়েছে। চিনির কেজি যখন ৩৮ টাকা ছিল তখন কিন্তু রুটির দাম কমানো হয়নি। তাহলে কী কারণে এই মূল্য বৃদ্ধি ? উৎপাদন ব্যয়ের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে রুটি-বিস্কুটের মূল্যনির্ধারণ করা হোক।
মো. আলী হায়দার
পল্লবী, ঢাকা।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন