এ.টি.এম. রফিক, খুলনা থেকে : বিভাগীয় শহর খুলনায় ইজিবাইক নিবন্ধনের নামে চলছে নীরব ভোটের রাজনীতি ও চাঁদাবাজি। নিবন্ধন পেতে অবশ্যই মহানগরীর ভোটার হতে হবে। তারপর নিবন্ধনের জন্যে ২২০ টাকা দিয়ে কিনতে হবে একটি স্টিকার। কারো কারো কাছ থেকে নেয়া হয়েছে ৮০০ থেকে হাজার টাকা পর্যন্ত। নগরীতে মাইক বাজিয়ে স্টিকার দেয়ার কাজটি করছে খুলনা মহানগর অটোবাইক মালিক-চালক সম্মিলিত পরিষদ। সংগঠনটি গঠিত বাংলাদেশ অটোবাইক শ্রমিক কল্যাণ সোসাইটি, খুলনা মহানগর ইজিবাইক শ্রমিক লীগ, খুলনা মহানগর ইজিবাইক মালিক সমবায় সমিতি লিমিটেড ও বাংলাদেশ অটোবাইক শ্রমিক লীগ খুলনা মহানগর শাখার সমন্বয়ে। স্টিকার না থাকা ইজিবাইক শহরের মধ্যে চলাচল করতে বাঁধা দিচ্ছে তারা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ১২ নভেম্বর স্টিকার দেয়ার কার্যক্রম উদ্বোধন করেন খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য মুহাম্মদ মিজানুর রহমান। সেই থেকে নগরে মাইকিং ও হ্যান্ডবিল বিলি করা শুরু। এসব হ্যান্ডবিলে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদকের মুঠোফোন নম্বর দেয়া আছে। স্টিকারের জন্য নিবন্ধন ফি নেয়া হচ্ছে ২০০ টাকা। আর যে ব্যক্তি ফরম পূরণ করে দিচ্ছেন, তিনি নিচ্ছেন ২০ টাকা করে। তবে এর বাইরেও অতিরিক্ত টাকা নেয়ার অভিযোগ রয়েছে। সর্বোচ্চ এক হাজার টাকাও নেয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার মুন্সি বলেন, সংগঠনের খরচ বাবদ ২০০ টাকা এবং যিনি ফরম পূরণ করছেন তিনি নিচ্ছেন ২০ টাকা। কারও কাছ থেকে এর বাইরে অতিরিক্ত টাকা নেয়া হচ্ছে না। সংগঠনের ভাবমূর্তি ক্ষুণœ করতে অনেকে এ ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছেন। স্টিকার দেয়ার জন্যে সংসদ সদস্য মুহাম্মদ মিজানুর রহমান মিজান ও বেগম মুন্নুজান সুফিয়ানের অনুমতি নেয়া হয়েছে। যারা শুধু সিটি করপোরেশনের ভোটার, তাঁরাই এ স্টিকার পাবেন। এ পর্যন্ত দুই হাজারেরও বেশি স্টিকার লাগানো হয়েছে দাবি করেন তিনি।
খুলনা মহানগর ইজিবাইক শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মোঃ সিরাজুল ইসলাম মানিক বলেন, “কয়েকটি অবৈধ সংগঠনের নামে কতিপয় স্বার্থান্বেষী ব্যক্তি ইজিবাইকের অনুমোদনের নামে স্টীকার দিয়ে চাঁদাবাজি করছে। মাইক বাজিয়ে চাঁদাবাজি করছে না। তাদের সংগঠনের বৈধ কোন রেজিস্ট্রেশনও নেই। ক্ষমতাসীন দলের অনুসারী হলে লাইসেন্স পাবে; অনুসারী না হলে লাইসেন্স পাবে না বলেও ঘোষণা দিচ্ছে তারা। ইজিবাইক নিয়ে এখন খুলনাতে রাজনীতি হচ্ছে।”
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন