নারায়ণগঞ্জ থেকে স্টাফ রিপোর্টার : কারো কাছে মন্ত্রীর মেয়ের জামাতা। কেউ চিনেন র্যাবের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা হিসেবে। আর কারো কাছে সে একজন ঠান্ডামাথার খুনী! সোমবার আলোচিত সাতখুন মামলায় তাকে খুনী সাবস্ত করে ফাঁসির দন্ড দিয়েছে নারায়ণগঞ্জ দায়রা জজ আদালত। এ রায় প্রদান করেন বিচারক সৈয়দ এনায়েত হোসেন।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, ঢাকা (নবাবগঞ্জ এবং দোহার থানা), নারায়নগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, নরসিংদী, কুমিল্লা, চাঁদপুর, নোয়াখালী ও লক্ষীপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে র্যাব-১১ এর এলাকা। তার শ্বশুর আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় নেতা ও মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া। লক্ষীপুর, চাঁদপুর, কুমিল্লা ও নারায়ণগঞ্জসহ প্রায় পুরা এলাকাতেই তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপকর্মের অভিযোগ রয়েছে।
নারায়ণগঞ্জের নজরুল ও অ্যাড. চন্দন কুমার সরকারসহ সাতজনকে খুনের আগে ২০১৩ সালের নভেম্বরের ২৮ তারিখে কুমিল্লার লাকসামের সাবেক বিএনপি এমপি উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাইফুল ইসলাম হিরু এবং পৌর বিএনপির সভাপতি হুমায়ুন কবির পারভেজকে গুমের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। প্রথমে সাদা পোশাকে র্যাব পরিচয়ে উঠিয়ে নেয়ার পরে বলা হয় এ ব্যাপারে র্যাব জানেনা। আজ পর্যন্ত তাদের খোঁজ মিলেনি।
সূত্র জানায়, লেঃ কর্নেল তারেক সাঈদের গ্রামের বাড়ী হচ্ছে পিরোজপুর জেলার মঠবাড়ীয়া থানার দক্ষিন দেবত্র এলাকায়। বাবা কর্নেল (অব:) মুজিব, দাদা সৈয়দ আলী মাঝি। তারেকের বড় ভাই সুমন ডাক্তার, মেঝ তারেক, ৩য় ভাই বাংলাদেশ নৌবাহিনী লে. কমান্ডার মুসা ও ছোট ভাই ওমর ড্যানিডার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কর্মরত।
তাদের মধ্যে শেষ ৩ ভাই-ই সাবেক ক্যাডেট। এর মধ্যে তারেক কুমিল্লা ক্যাডেট, অন্য দুইজন মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজের ছাত্র ছিল। তাদের তিনজনের বিরুদ্ধে ছিল শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ।
সূত্রমতে, তারেক সাঈদ ছিলেন দূর্দান্ত ডানপিঠে। আইনের লেবাসে সে ছিল আইন ভাঙার মহাকারিগর। অনেকের কাছে সে ঠান্ডামাথার খুনী হিসেবেও পরিচিত। শুধু তাই নয়; ব্যক্তি জীবনেও তিনি ছিলেন উশৃঙ্খল প্রকৃতির।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন