বুধবার, ০৩ জুলাই ২০২৪, ১৯ আষাঢ় ১৪৩১, ২৬ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

নিবন্ধ

চিঠিপত্র : নিরাপদ সড়ক চাই

| প্রকাশের সময় : ২৩ জানুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

সিলেট জেলাধীন জকিগঞ্জ উপজেলা পর্যটনকেন্দ্র কিংবা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য সমধিক পরিচিত। হাজার হাজার মানুষের বসবাস এই উপজেলায়। কিন্তু এই উপজেলা থেকে শহরে যাওয়ার সব রাস্তার অবস্থাই বেহাল। এই অবস্থায় ইমার্জেন্সি রোগীদের উন্নত চিকিৎসার জন্য সময়মতো শহরের হাসপাতালে পৌঁছানো দুঃসাধ্য হয়ে পড়ে। সুতরাং এই সড়কটিকে সংস্কারের মাধ্যমে নিরাপদ করা হোক। এটা এখন জকিগঞ্জের মানুষের প্রাণের দাবি। এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
রেদ্বওয়ান মাহমুদ, জকিগঞ্জ, সিলেট।

পাবলিক প্লেসে ধূমপান
রাস্তা, শপিং মল, বাস, পার্কের মতো পাবলিক প্লেসগুলোতে সিগারেটে সুখটান দিতে দ্বিধা করেন না ধূমপায়ীরা। ধোয়া ছাড়ছেন বাতাসে; সেই ধোয়া ঢুকে যাচ্ছে নিঃশ্বাসের সঙ্গে যারা ধূমপান করেন না। ধূমপান না করেও তাদের ক্যান্সারসহ নানাবিধ মরণব্যাধিতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে আমাদের এ সমস্যা থেকে পরিত্রাণের পথ খোঁজা উচিত। পাবলিক প্লেসগুলোতে ধূমপান নিষিদ্ধ হওয়া একান্ত প্রয়োজন।
আলমগীর ইমন, সরকারি কমার্স কলেজ, চট্টগ্রাম।

বাল্যবিবাহের শেষ কোথায়?
কিছু দিন আগে পত্রিকার একটি খবরে চোখ আটকে যায়। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে ১৪ বছর বয়সী শিশু হালিমার বিয়ে হতে চলেছে স্থানীয় ইউপি সদস্যের সহায়তায় জন্ম নিবন্ধন সনদে বয়স বাড়ানোর মাধ্যমে। যেখানে তার বয়স দেখানো হয়েছে ১৮ বছর। এই একটি খবরই নয়। এভাবে জন্মনিবন্ধন সনদে বয়স বাড়িয়ে বাল্যবিবাহ দিতে সহায়তা করছেন সমাজের দায়িত্বশীল লোকজন। এই জালিয়াতির জন্য বাল্যবিবাহ রোধ করা সম্ভব হচ্ছে না। দায়ী ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনা হলেই বাল্যবিবাহের অভিশাপ নির্মূল করা সম্ভব।
মো. তারেক আজিজ বাপ্পী, হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল, ঢাকা বিশ্ববদ্যালয়।

শিক্ষার্থীকে তিরস্কার নয়, উৎসাহিত করুন
শিক্ষার্থী কোনো বিষয়ে অকৃতকার্য হলেই তাকে খারাপ শিক্ষার্থী মনে করা হয়। কিংবা ক্লাসে কোনো বিষয়ে পড়া না পারলে সে শিক্ষার্থী মেধাহীন, একে দিয়ে কিছুই হবে নাÑ এরূপ ধারণা পোষণ করা হয়। স্যারের শাসন, অভিভাবকের বকুনি ইত্যাদি নিত্যসঙ্গী হয় এসব শিক্ষার্থীর। শুরু হয় স্কুল পলায়ন তথা স্কুল থেকে ঝরে পড়া। যেখানে শিক্ষক-অভিভাবক প্রত্যেকেরই উচিত ছিল ওই শিক্ষার্থীকে উৎসাহিত করা যে, তুমি পারবে; কারণ সাফল্য-ব্যর্থতার সিঁড়ি বেয়েই আসে কিংবা বারবার চেষ্টার ফলে কঠিন বিষয় অতি সহজ হয় তথা হৃদয়ঙ্গম হয়। তুমি পরিশ্রম কর- তুমি সফল হবেই। কিন্তু পরিতাপের বিষয় হলো, স্কুল-শিক্ষক থেকে শুরু করে অভিভাবক, প্রতিবেশী এমনকি বন্ধুবান্ধব সবাই উৎসাহিত তো করেই না বরং শিক্ষার্থীকে তিরস্কার ও নিরুৎসাহিত করে। ফলে ওই শিক্ষার্থী হতাশায় হাল ছেড়ে দেয় জীবন সংগ্রামের। অসৎ সঙ্গে মিশতে মিশতে জড়িয়ে পড়ে নানাবিধ কুকর্মে। মাদক পাচার চক্র, সন্ত্রাসী গোষ্ঠী, ডাকাত দল, ছিনতাইকারী কিংবা বাল্যবিবাহ, নারী নির্যাতন, শিশু নির্যাতন, ইভটিজিং, যৌতুকের ঘটনাসহ ইত্যাদি নানাবিধ অসামাজিক কর্মকা- ওইসব শিক্ষার্থীর ঝরে পড়ার কারণেই অহির্নিশি ঘটে চলেছে সমাজে। আর তাই এ ভয়ানক পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণ তথা সুস্থ সমাজ ও জীবনের প্রত্যাশায় শিক্ষক-অভিভাবকসহ সবার মানসিকতার পরিবর্তন হওয়া উচিত। সেই সঙ্গে সামগ্রিক শিক্ষণ ও শিখন পদ্ধতির পরিবর্তন এবং সহজিকরণের পদক্ষেপ গ্রহণ সময়ের দাবি।
পবিত্র সমদ্দার
শিক্ষার্থী, ঝালকাঠি সরকারি কলেজ, ঝালকাঠি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন