বিংশ শতাব্দীর শেষ দুই দশকের গুজরাট। আর সেই রাজ্যেই মদের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি আছে। যে এই মদের নেশার কাছে দাস তার তো এই তরলটি লাগবেই সেখানেই রইসের (শাহরুখ খান) মতো মানুষের সৃষ্টি। রইস অবৈধ মদের কারবার করে যাকে চোরাকারবার বলাই শ্রেয়। কিন্তু এর পেছনে রইসেরও এক ধরনের যুক্তি আছে। তার মা (শিবা চাদ্ধা) তাকে এক সময় বলেছিল, কোন কাজই ছোট নয়, আর কাজের চেয়ে বড় আর কোনও ধর্ম নেই। এই অসার যুক্তির ওপর বিশ্বাস স্থাপন করে সে অবৈধ মদের কারবার চালায়। তার কাছে এই ব্যবসার জন্য যা সঠিক তাই সঠিক আর যা সঠিক নয় তা সঠিক নয়। আর তার কাজে বাধা সৃষ্টি করলেই সে তার শত্রæ। তাকে যেভাবেই হোক পথ থেকে সরাতে সে পিছ পা হয় না। এভাবে তার অবৈধ ব্যবসার প্রসার হতে থাকে। আর একসময় সে পরিণত হয় রাজ্যের সবচেয়ে ক্ষমতাধর মানুষে। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে একেবারে রাজনৈতিক কিছু ব্যক্তিত্বের সঙ্গে তার গভীর সম্পর্ক। কিছু মানুষের কাছে সে দানবীর পর্যায়ের আবার কিছু মানুষ তাকে অপরাধী হিসেবেই জানে। এমনই একজন মানুষ পুলিশ অফিসার জয়দীপ আম্বালাল মজমুদার (নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকি)। সে হুমকি দেয় যেভাবেই হোক রইসকে রুখবে। সে জানায়- তার জন্য শ্বাস নেয়াও কঠিন করে দেবে। শেষে রইস তার রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে তার বদলির ব্যবস্থা করে আর মজমুদার হুমকি দেয় বদলি হলেও সে রইসকে দেখে নেবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন