বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার : িছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে প্রতিপক্ষের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীদের হকস্টিক দিয়ে পেঠানোর অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন প্রিন্সের বিরূদ্ধে। বুধবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলে এ ঘটনা ঘটে। এতে কমপক্ষে ৮জন আহতের খবর পাওয়া গেছে।
আহতরা হলেন- প্রথম বর্ষের সাগর আহমেদ, মনিরুল, রুহুল, সাগর উদ্দীন। দ্বিতীয় বর্ষের রতন ও আলী এবং চতুর্থ বর্ষের ইমতিয়াজ, মার্স্টাসের ফরহাদ। এদের মধ্যে তিনজনকে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিক্যালে ভর্তি করা হয়েছে। এ সময় প্রিন্সের হাতে লাঞ্ছিত হয়েছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের উপ-প্রচার সম্পাদক আব্দুল হক রনি।
জানা যায়, হলের ১০৯, ১১০ ও ১১১ নম্বর রুমে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীরা অবস্থান করছেন। প্রতিটি রুমে প্রায় ৩০-৪০ জন শিক্ষার্থী অবস্থান করছেন। ১০৯নং রুমে হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইউছুফ উদ্দীন খান এবং ১১০ ও ১১১ নং রুমে সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মাসুদ লিমনের অনুসারীরা অবস্থান করত। সভাপতি অনুসারীদের অভিযোগ, লিমনের অনুসারীরা রুমে প্রায় রাতেই উচ্চস্বরে গান করে। গত পরশু দিন গভীর রাত পর্যন্ত গান করলে ইউছুফের অনুসারীরা ইউছুফকে অবহিত করে। পরের দিন গতকাল সন্ধ্যায় লিমনের অনুসারীরা ক্যাম্পাস থেকে মিছিল নিয়ে হলে ফেরে আবারও উচ্চস্বরে গান করতে থাকে। এদিকে, বুধবার সকালে ওয়াশ রুম থেকে ফেরার সময় ইউছুফের গ্রুপের প্রথম বর্ষেও ছাত্র আতিককে মারধর করে লিমনের অনুসারীরা। এসময় দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন প্রিন্স ঘটনাস্থলে হকস্টিক নিয়ে এসে ১০৯ নং রুমে ইউছুপের অনুসারীদের মারধর করতে থাকে। এসময় হলের সিনিয়াররাও আসলে সিনিয়ারদেরও মারধর করতে ঔদ্যত হন প্রিন্স। এ সময় প্রিন্সের হাতে লাঞ্ছিত হন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের উপ-প্রচার সম্পাদক আব্দুল হক রনি। প্রসঙ্গত, হলে প্রিন্সের রাজনীতি করে আব্দুল্লাহ আল মাসুদ লিমন।
জানতে চাইলে হল সভাপতি ইউছুফ উদ্দীন খান বলেন, সেক্রেটাফর গ্রুপের ছেলেরা আমার গ্রুপের গণরুমের সামনে এসে উচ্চস্বরে গান গাইতে থাকে ও গতকাল রাতে তারা মিছিল নিয়ে হলে এসে আমার গ্রুপের গণরুমের সামনে উচ্চস্বরে সেøাগান দিতে থাকে ও দরজা থাপড়াতে থাকে। পরে ছেলেরা আমার কাছে অভিযোগ জানানোর পর আমি তাদের কে সকাল পর্যন্ত ধৈর্য ধরতে বলি। সকালে দুই গ্রুপের সিনিয়ররা মিলে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করলে হঠাৎ প্রিন্স ভাই এসে একাধারে ১০৯ নং রুমের সবাইকে হকিস্টিক দিয়ে মারতে থাকেন, এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়।
হল সেক্রেটারি লিমন বলেন এটা একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা। এটা দুইটি ছেলের মধ্যে ব্যক্তিগত ঝামেলা। পরে দুই গ্রুপের সিনিয়ররা ব্যাপারটা মীমাংসা করার সময় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে প্রিন্স ভাই এসে তাদের শান্ত করেন ও রুমে ফেরত পাঠান। তিনি কাউকে আঘাত করেননি, এটা মিথ্যা অভিযোগ।
এ ব্যাপারে জানার জন্য প্রিন্সকে ফোন দেয়া হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন