শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ২৮ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

নিবন্ধ

চিঠিপত্র : মাদক ব্যবসা বন্ধ করা হোক

| প্রকাশের সময় : ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন পরিষদ ও দুটি পৌরসভা এখন জীবন ধ্বংসকারী মাদকে ভাসছে। উপজেলার তাহেরপুর, মোহনগঞ্জ, হাটগাঙ্গোপাড়া, মচমইল, মাদারীগঞ্জ, ভবানীগঞ্জসহ অন্তত শতাধিক মাদক স্পটে হেরোইন, অ্যালকোহল, ফেনসিডিল, গাঁজা, ইয়াবা, দেশি-বিদেশি মদসহ নানা ধরনের মাদকদ্রব্য হাত বাড়ালেই মেলে। মাঝেমধ্যে স্থানীয় প্রশাসন এসব মাদক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিলেও পুলিশ কোনোভাবেই মরণনেশা মাদকের অবৈধ কেনাবেচা ব্ধ করতে পারেনি। বরং মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গেই তাদের সখ্য। ফলে মাদক চোরাকারবারিরা ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়ে যাচ্ছে। কিছু দিন আগে বিষাক্ত মদ পানে এখানে কয়েকজনের মৃত্যু হলেও প্রশাসনের টনক নড়েনি। মাদকের কারণে এই এলাকার সামাজিক নিরাপত্তা মারাত্মকভাবে বিঘিœত হচ্ছে। অভিভাবকরা সন্তানদের নিয়ে বিপাকে পড়েছে। নেশার টাকা জোগাড় করতে নেশাগ্রস্তরা নানা অপরাধমূলক কাজ করছে। এলাকাগুলোতে চুরি-ছিনতাইও আকস্মিকভাবে বেড়ে গেছে। বাগমারার কোথায় কোথায় মাদকের স্পট আছে ও বেচাকেনা হয় তা লোকাল থানার সবার জানা। প্রশাসনের চোখের সামনে এসব ঘটছে। কিন্তু তারা কেউ এগিয়ে আসে না। কারণ রাজনৈতিক নেতারা এখানে হস্তক্ষেপ করেন।
তাই জনবহুল এসব উপজেলায় দ্রুত মাদকের অবৈধ ব্যবসা বন্ধ করার জন্য স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশ সুপার ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
মো. ফারুক আহমেদ, বাগমারা, রাজশাহী।

হাতিরঝিলে দৃষ্টিনন্দন মসজিদ হোক
হাতিরঝিলের ঠিক মধ্যখানে একটি মসজিদ রয়েছে। কিন্তু মসজিদটি পাকা করার কোনো উদ্যোগ দেখা যায় না। যদিও হাতিরঝিলের সৌন্দর্যের সঙ্গে বিষয়টি জড়িত। এখানে ব্যস্ত নগরবাসী আসে যান্ত্রিক নগরীর একঘেয়েমি দূর করতে। হাতিরঝিলের মসজিদটির ব্যাপারে ঝিল কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত কী? এখানে মসজিদ থাকলে তা দৃষ্টিনন্দনও হওয়া উচিত, আর না থাকলে নয়। আমরা এ ব্যাপারে সরকারের সিদ্ধান্ত জানতে চাই।
মনসুর আলম, রামপুরা, ঢাকা।

কৃষিভূমি রক্ষা করুন
এমনিতেই আমাদের কৃষিভূমির পরিমাণ কম। তার ওপর যদি কৃষিভূমি ধ্বংস হতে থাকে তাহলে অদূর ভবিষ্যতে দেশের অবস্থা কী দাঁড়াবে তা চিন্তা করতেও ভয় হয়। প্রয়োজনবোধে আইন করে কৃষিভূমি রক্ষার উদ্যোগ নিতে হবে। কৃষিভূমিতে বাড়িঘর বা স্থাপনা নির্মাণ করা যাবে না। প্রয়োজনে মূল পুরাতন বাড়ির মধ্যেই নির্মাণের বিষয়টি প্রাধান্য দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে সরকার সহজ শর্তে ঋণ প্রদানের মাধ্যমে দ্বিতল বা বহুতল বিশিষ্ট বাড়ি নির্মাণের জন্য উৎসাহীকরার বিষয়টি বিবেচনা করতে পারে, যাতে অংশীদারগণ একই ভবনে বা বাড়িতে বসবাস করতে পারেন। তাহলে আলাদা নতুন বাড়ি নির্মাণের প্রয়োজনীয়তা কমে যাবে। সর্বোপরি, কৃষিভূমিতে ইটভাটা বা অন্য স্থাপনা নির্মাণের ক্ষেত্রে ক্ষতির বিষয়টি সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিবেচনাপূর্বক অনুমতি প্রদানের বিষয়টি বিবেচনা করলে কৃষিভূমি রক্ষা পাবে।
লিংকন, নোয়াখালী।

বেসরকারি স্কুল নিয়ন্ত্রণে আনা প্রয়োজন
উৎস আমার কাজিন। একটি কিন্ডারগার্টেনে চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ত। প্রায়ই বিষণœ দেখতাম। জিজ্ঞেস করে জানতে চাইতাম বিষণœতার কারণ। শেয়ার করত না। হয়তো আমদের বয়সের ব্যবধানটা মাঝখানের দেয়াল ছিল। হঠাৎ একদিন শুনলাম উৎস বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে! নয়-দশ বছরের একটি শিশুর এ অপ্রত্যাশিত ঘটনায় পরিবারের সবাই শোকাহত হয়। বিশেষ করে মা-বাবা।
পত্রিকায় নিখোঁজ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হলো। প্রায় এক মাস পরে এক অপরিচিত নাম্বার থেকে ফোন এল। উৎসের সন্ধান পেলাম। আমি তাকে আনতে গেলাম। তখনই উৎস আমাকে শেয়ার করল- বাড়ি পালিয়ে চায়ের দোকানে কাজ নেওয়া এবং বাড়িতে বিষণœ থাকার কারণ। বইয়ের সংখ্যা বেশি হওয়ায় প্রতিদিনের স্কুলের পড়া শেষ করতে পারছিল না। তাই প্রতিদিন পাওনা ছিল টিচারের শাস্তি। না পারছিল মা-বাবার সঙ্গে শেয়ার করতে, না পারছিল সইতে। তাই বাড়ি পালিয়েছে। পরে তাকে আমার পরামর্শে সরকারি স্কুলে ভর্তি করানো হয়। ২০১৫ সালে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ নিয়ে স্কুল শেষ করে।
বেসরকারি স্কুলগুলোতে জাতীয় শিক্ষাক্রম কর্তৃক নির্ধারিত বইয়ের অতিরিক্ত পড়ানো হয়। যা বাধাগ্রস্ত করে শিশুর স্বাভাবিক বিকাশ। প্রাথমিকে শিশুর শরীরের ১০ শতাংশের বেশি ওজনের ব্যাগ বহন নিষিদ্ধে ছয় মাসের মধ্যে সুনির্দিষ্ট আইন প্রণয়নের হাইকোর্টের নির্দেশনাকে স্বাগত জানাই। নিঃসন্দেহে ভালো উদ্যোগ। বাস্তবায়িত হোক। পাশাপাশি আরেকটি আইনের মাধ্যমে বেসরকারি স্কুলগুলোকে নিয়ন্ত্রণে এনে শিশুদের স্বাভাবিক বিকাশের সুযোগ সৃষ্টি সময়ের অপরিহার্য দাবি।
আলমগীর ইমন, লোহাগাড়া, চট্টগ্রাম।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন