বানারীপাড়া (বরিশাল) উপজেলা সংবাদদাতা : বানারীপাড়ায় দিলরুবা নামে এক নববধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে নরোত্তমপুর গ্রামের মল্লিক বাড়ির সামনের নির্জন রাস্তা থেকে অজ্ঞাত পরিচয় এক তরুণীর গলায় ওড়না পেঁচানো লাশ পড়ে থাকতে দেখে পথচারীরা পুলিশকে খবর দেয়। তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে ছুটে যান বানারীপাড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. ফারুক খানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম। এদিকে রাতেই বরিশাল জেলা সহকারী পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) শাহাবুদ্দিন কবির ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। পরে রাত ১১টার দিকে অজ্ঞাত পরিচয় ওই তরুণীর পরিচয় পাওয়া যায়। এ ঘটনায় নববধূর স্বামী শামিম হাওলাদার, শ্বশুর আলম হাওলাদার, শাশুড়ি মনোয়ারা বেগম, নিহতের ভগ্নিপতি আল-অমিন হাওলাদার, বোন শিল্পী ও স্বামীর বন্ধু মনিরকে আটক করেছে পুলিশ। এ ছাড়াও রাতে লাশের ছবি তোলার সময় ঘটনাস্থল থেকে বরিশালের জুয়েলারি দোকানের কর্মচারী সুমনকে আটক করা হয়। স্বজনরা এসে ওই লাশ পৌর শহরের ১ নং ওয়ার্ডের উত্তরপাড় বাজারের চা দোকানি শামিমের সদ্য বিবাহিত স্ত্রী ও আহম্মদাবাদ বেতাল গ্রামের আলম হাওলাদারের পুত্রবধূ দিলরুবার বলে শনাক্ত করে।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, দুই মাস আগে বরিশালের কোতয়ালী থানার চন্দ্র মোহন গ্রামের মোশারেফ খানের মেয়ে সদ্য জেএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ দিলরুবার সঙ্গে বানারীপাড়ার বেতাল গ্রামের আলম হাওলাদারের ছেলে চা দোকানি শামিমের বিয়ে হয়। আনুষ্ঠানিকভাবে তুলে না দিলেও শামিম এক মাস আগে দিলরুবাকে নিজ বাড়িতে বেড়ানোর কথা বলে নিয়ে আসে। আটক দিলরুবার ভগ্নিপতি আল-আমিন হাওলাদার জানান, শুক্রবার দুপুরে সে ও দিলরুবার বড় বোন শিল্পী বেতাল গ্রামে ভায়রা শামিমদের বাড়িতে বেড়াতে আসে। বিকেলে তারা দিলরুবাকে সূর্যমণির মেলায় নিয়ে যায়। এক পর্যায় দিলরুবা স্বামীর সঙ্গে কথা বলতে বলতে বোন এবং ভগ্নিপতিকে বলে আমি শামিমের কাছে যাই। এর পরই নরোত্তমপুর গ্রামের মল্লিক বাড়ির সামনের নির্জন রাস্তায় দিলরুবার লাশ পড়ে থাকতে দেখেন পথচারীরা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন