ইনকিলাব ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে যে কোনো চুক্তিতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতাদের একজোট থাকার প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে একমত হলেও ট্রাম্পের সঙ্গে কেমন সম্পর্ক হবে সে বিষয়ে মতভেদ দেখা দিয়েছে। একজোট থাকার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়ে জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মারকেল বলেন, অনেক ক্ষেত্রেই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইউরোপের দেশগুলোর সম্পর্কের বিষয়গুলো এখনও এক। গত শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনে মারকেল বলেন, আমরা আবারও আমাদের সার্বিক মূল্যবোধের বিষয়টি পরিষ্কার করে বলছি, আমরা জোটবদ্ধতায় বিশ্বাসী। ইইউ আরও অনেক দেশের সঙ্গে উন্মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি করতে আগ্রহী, যেখান ট্রাম্প বিষয়টিকে পেছন দিকে টানছেন। তবে অব্যাহত জঙ্গি হুমকির বিষয়ে আমরা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সহযোগিতা করবো। ট্রাম্পের অভিষেকের পর ইইউ নেতাদের এটি প্রথম সম্মেলন। মাল্টায় ওই সম্মেলনে ট্রাম্প ও তার নীতি; বিশেষ করে নেটোর প্রয়োজনীয়তা এবং উন্মুক্ত বানিজ্য ও মুসলিম শরণার্থীদের উপর ট্রাম্পের সাম্প্রতিক নিষেধাজ্ঞা নিয়ে ইইউ নেতারা আলোচনা করেছেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। যুক্তরাজ্য ইইউ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার (ব্রেক্সিট) সিদ্ধান্ত নিলেও শুক্রবারের সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে। অভিষেকের পর মেই প্রথম কোনো বিশ্বনেতা যিনি ট্রাম্পের সঙ্গে হোয়াইট হাউজে দেখা করেছেন। ইইউ নেতাদের আশ্বস্ত করে মে বলেন, ইউরোপের দেশগুলোর প্রতিরক্ষায় সহযোগিতা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ট্রাম্প। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া অলন্দ ট্রাম্পের সমালোচনা করে বলেন, তার ব্রেক্সিটের প্রশংসা এবং ইইউ ভেঙ্গে পড়া নিয়ে পূর্বানুমান আমি কিছুতেই মেনে নিতে পারছি না। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের কল্পনা না করে অনেক দেশেরই বরং আগে ইউরোপীয় ইউনিয়নে থেকে নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবা উচিত। যুক্তরাজ্য ইউরোপের সঙ্গে ওয়াশিংটনের যোগাযোগের সেতু হতে পারে-ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর এমন পরামর্শে পানি ঢেলে দিয়ে লিথুয়ানিয়ার প্রেসিডেন্ট ডালিয়া গ্রিবাউস্কাইটে বলেন, ইউরোপের সেতুর প্রয়োজন নেই। কয়েক দিন আগে ট্রাম্পকে রাশিয়া, চীন ও উগ্রপন্থি জঙ্গিদের মত বিশ্বের জন্য হুমকি বলেছেন ইইউর ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রধান ডোনাল্ড টাস্ক। যদিও সম্মেলনে কয়েকজন নেতা ট্রাম্পের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। তাদের একজন পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী বেয়াটা স্জিডিলো বলেন, ইউরোপের নেতারা উৎকণ্ঠার পরিবেশ তৈরি করতে চাইছে...তারা ভুল করছে। যুক্তরা্েরর সঙ্গে আমাদের সম্পর্কের পথে কেউ বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারবে না। স্জিডিলো ইউরোপে শরণার্থী প্রবেশ করতে দেওয়ার ঘোর বিরোধী। রয়টার্স।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন