শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ২৮ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

নিবন্ধ

চিঠিপত্র : ধূপখোলা মাঠকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দেয়া হোক

| প্রকাশের সময় : ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ঢাকার গেন্ডারিয়ার ঐতিহাসিক ও ঐতিহ্যবাহী ধূপখোলা মাঠের প্রতি এখন স্বার্থান্বেষী মহলের শ্যেন দৃষ্টি পড়েছে। তারা এখন অল্পবয়সী ও তরুণদের প্রিয় এই খেলার মাঠে বাণিজ্যিক শিশুপার্ক তৈরি করতে উঠেপড়ে লেগেছে। গত শতাব্দীর ৫০ ও ৬০ দশকে আমরা শৈশব ও কিশোরে এই মাঠে খেলাধুলা ও শরীরচর্চা করেছি। আমাদের বাবা-কাকা ও বড়দের প্রত্যুষে এই মাঠে হাঁটতে দেখেছি। এখানে আয়োজিত অনেক বড় বড় ফুটবল ও ক্রিকেট ম্যাচ প্রত্যক্ষ করেছি। পরে জাতীয় দলে খেলেছেন এমন অনেক কৃতী ফুটবল ও ক্রিকেট তারকা এই মাঠ থেকে উঠে এসেছেন। পাকিস্তান আমলে আমরা এই মাঠে সে সময়ের নামি ফুটবলার ওমর, আবদুল্লাহ, মুসা, মারি, গফুর, বালুচদের খেলা দেখেছি। আবদুল হামিদের মতো কৃতী ধারাভাষ্যকারের হাতেখড়িও এই মাঠে হয়েছে। এই মাঠে একসময় নিয়মিতভাবে সার্কাস, মেলা, নাটক ও বিদেশি দূতাবাসের উদ্যোগে প্রামান্য চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হতো। এখনো এলাকার বিভিন্ন স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা এই মাঠেই হয়ে থাকে। স্বাধীনতা পূর্ববর্তী ও পরবর্তীকালে ধূপখোলা মাঠে আয়োজিত ঐতিহাসিক সব জনসভায় বঙ্গবন্ধু, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, জেনারেল ওসমানী, ড. কামাল হোসেন প্রমুখ বরেণ্য নেতা ভাষণ দিয়েছেন।
১৯৮২ সালে জেনারেল এরশাদ ক্ষমতায় এসে প্রথম এই খোলামেলা, অবারিত মাঠের টুটি চেপে ধরেন এর চারপাশে মার্কেট নির্মাণ করে দিয়ে। শুরু হয় ধূপখোলা মাঠের বাণিজ্যিকীকরণ। সেসময় মাঠটিকে তিন ভাগে ভাগ করে দেওয়া হয়- মাঠের উত্তর পাশে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের খেলার মাঠ, দক্ষিণে স্থানীয় খেলার মাঠ এবং পূর্বে ইস্ট অ্যান্ড ক্লাবের মাঠ। কয়েক বছর আগে গুলিস্তান-যাত্রাবাড়ী ফ্লাইওভার নির্মাণের সময়ে স্থানীয় খেলার মাঠ অংশে ভারী ভারী যন্ত্রপাতি, দানবাকৃতির পরিবহন যান ও নির্মাণসামগ্রী রেখে মাঠটিকে একরকম বিধ্বস্ত করে ফেলা হয়। তার ওপর মাঠের দক্ষিণ অংশে মার্কেটের দোকানঘরের ওপর সারি সারি ঘর তুলে নির্মাণ-শ্রমিকদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়। এভাবে প্রতিদিন ভোরে বিশেষ করে মহিলাদের হাঁটা বন্ধ হয়ে যায়। ঐ ঘরগুলো এখন পর্যন্ত ভেঙ্গে ফেলার কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। ফ্লাইওভারের কাজ শেষ হলেও নির্মাণ প্রতিষ্ঠানটি মাঠটিকে সম্পূর্ণ আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দেয়নি। এখন এই মাঠে একটি প্রভাবশালী মহল বাণিজ্যিক শিশুপার্ক নির্মাণের পাঁয়তারা শুরু করেছে। এই দুঃসংবাদ এলাকাবাসীর মনে গভীর উদ্বেগ ও হতাশার জন্ম দিয়েছে। দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়রের কাছে এলাকাবাসী হিসেবে আমদের আবেদন- নামের মতোই খোলামেলা পরিবেশের ঐতিহ্যবাহী ধূপখোলা মাঠে উন্নয়নের নামে বাণিজ্যিক শিশুপার্ক করার কোনো সিদ্ধান্ত না নিয়ে জনবহুল এই এলাকার শিশু-কিশোর-তরুণদের খেলার ও বড়দের হাঁটাচলা করার, একটু শ্বাস নেওয়ার মাঠটির প্রয়োজনীয় সংস্কার করে একে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দিতে সহায়তা করুন।
ফিরোজ আহমদ কামাল, গেন্ডারিয়া, ঢাকা।

ডিপ্লোমা ইন ল্যাব টেকনোলজিস্টদের আবেদন
বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের হেলথ টেকনোলজি অ্যান্ড সার্ভিসেস থেকে পাস করা ছাত্রছাত্রীরা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে নিয়োগকৃত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার সুযোগ পাচ্ছে না। কারণ এতে উল্লেখ থাকে- বাংলাদেশ স্টেট মেডিকেল ফ্যাকাল্টি, বাংলাদেশ নার্সিং অ্যান্ড মিডওফারি কাউন্সিল এবং বাংলাদেশ ফার্মেসি কাউন্সিল থেকে নিবন্ধিত হতে হবে। এর দরুন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের আওতায় ৯৪৭৪ সিনিয়র স্টাফ নার্স নিয়োগকৃত পরীক্ষা দিতে পারেননি। কারণ তারা বাংলাদেশ নার্সিং অ্যান্ড মিডওফারি কাউন্সিল থেকে নিবন্ধিত নন। এর ফলে আমরা যেমন দক্ষ জনবল হওয়া সত্ত্বেও চাকরিতে প্রবেশাধিকার হারাচ্ছি, তেমনি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে উচ্চতর শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। সুতরাং আমাদের বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে আকুল আবেদন জানাচ্ছি।
মো. রুকনুজ্জামান
গ্রামঃ কালে ঠিকাদারপাড়া, খলিলগঞ্জ, কুড়িগ্রাম।

বেকুটিয়া ফেরিঘাট
পিরোজপুরের বেকুটিয়া ফেরিঘাট হয়েই বরিশাল, পটুয়াখালী, কুয়াকাটা, খেপুপাড়া, বরগুনা, ঝালকাঠির বাসগুলো বাগেরহাট, মংলা, খুলনা, যশোর, বেনাপোল ও কুষ্টিয়াসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে চলাচল করে। কিন্তু বেকুটিয়ার কচা নদীতে যানবাহন ও যাত্রী পারাপারে দুটি ফেরি থাকলেও সেগুলো প্রায়ই অচল থাকে। এও দেখা গেছে, মাঝ নদীতে এসে ফেরির ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে গেল। তখনই দেখা দেয় ফেরির যাত্রীদের মধ্যে ভয়ভীতি। গত ১২ জানুয়ারি সকালে এমনি একটি ঘটনা ঘটেছে। ফেরির ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর সেটিকে ¯্রােত দক্ষিণে নিয়ে যায়। এ অবস্থায় কয়েকটি নৌকা এসে ফেরির লোকজনকে উদ্ধার করে। বেকুটিয়ার ফেরিতে ওঠা তাই নিরাপদ নয়। বহু পুরনো ফেরি দুটি এখন লক্কড়-ঝক্কড় হয়ে গেছে। কচা নদীর ওপর সেতু হলে এ পথের যাতায়াত ব্যবস্থা আরো সহজ হবে।
লিয়াকত হোসেন খোকন
রূপনগর, ঢাকা।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন