সখিপুর উপজেলা সংবাদদাতা : টাঙ্গাইল বনবিভাগের সখিপুর সংরক্ষিত বনাঞ্চলের জমিতে পোল্ট্রি ফার্ম ভাঙতে গিয়ে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার মধ্যে উভয়পক্ষের কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছে। বিট কর্মকর্তা, বনপ্রহরীদের অবরুদ্ধ করে রাখে। সখিপুর থানা পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে আনে। ঘটনাটি ঘটেছে, গতকাল (বৃহস্পতিবার) সকাল ৬টার সময় কালিদাস বিটের ইছাদিঘী আতিয়া মধ্যপাড়া এলাকায়। নির্মিত পোল্ট্রি ফার্মটি উপজেলার মুচারিয়া পাথার মৌজার ২নং খতিয়ানের ২১৮৮ নং দাগে ইছাদিঘী আতিয়া মধ্যপাড়া।
বৃহস্পতিবার সকালে কালিদাস বিট অফিসার মো. সিরাজুল ইসলামের নেতৃত্বে বনপ্রহরী তোফাজ্জল হোসেন, সিরাজুল ইসলাম খান, বন মালি মজিবরসহ শতাধিক বনবিভাগের স্টাফ ও শ্রমিক নিয়ে ইছাদিঘী আতিয়া মধ্যপাড়া মৃত শামছুল হকের ছেলে মোজাম্মেলের নির্মিত পোল্ট্রি ফার্ম ভাঙচুর করতে থাকলে বাড়ির পুরুষ –মহিলারা এসে বাধা দেয়। এ সময় কয়েকদফা ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়ার সময় উভয়পক্ষের কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়। এ সময় বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী বনবিভাগের লোকদের বেঁধে ফেলে অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে সখিপুর থানা পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে আনে। পোল্ট্রি ফার্মটি ভাঙায় প্রায় তিন লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্ত মোজাম্মেল জানায়। আহতদের সখিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আহতরা হলো- মোজাম্মেল (২৫), দুলাল মিয়া (৪০), মোতালেব (৩০), মমতাজ (৫৬), সাজেদা (২৫), সালেহা (৪০), জুয়েল (১৮)। অপরপক্ষের কালিদাস বিট কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম (৪০), বনপ্রহরী তোফাজ্জল হোসেন (৫০), বনপ্রহরী সিরাজুল ইসলাম খান (৩৫), বন মালি মজিবর রহমান (৪৫), বিল্লাল (৩২)সহ ১৫ জন।
আহত মমতাজ বলেন, পোল্ট্রি ফার্ম নির্মান করার জন্য মাটি ফেলার সময় ২০হাজার এবং ঘর উত্তোলনের সময় ২০ হাজার মোট ৪০হাজার টাকা ফরেস্টারকে ঘুষ দিয়েছি। এ ব্যাপারে কালিদাস বিট অফিসার মো.সিরাজুল ইসলাম ঘুষের টাকার কথা অস্বীকার করে বলেন,বনবিভাগের জমি উদ্ধার করতে গিয়ে আহত হয়েছি। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত উভয় পক্ষ থানায় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন