খুলনা ব্যুরো : খুলনার রূপসায় মেয়ের জামাই খায়রুল ইসলাম পরাগকে (২৫) বিয়ের মাত্র ২৫ দিনের মাথায় হত্যা করা হয়েছে। শ্বশুরবাড়িতে খুনের অভিযোগে শাশুড়িসহ ছয়জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গতকাল (সোমবার) সকাল সাড়ে ৯টায় রূপসার তিলকে তরফদার বাড়ির সেফটি ট্যাংক থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। খায়রুলের স্ত্রী তামান্না ও তার শাশুড়ি খুনের বিষয়টি পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে। নিহত পরাগ রূপসা উপজেলার দক্ষিণ খাজাডাঙ্গা গ্রামের খতিবুল ইসলাম সরদারের ছেলে। এ ঘটনায় স্থানীয় সেলিম শেখের ছেলে শাকিল, আনোয়ারের ছেলে নাজিম, নাজিমের মামা মানিক, প্রতিবেশী আলী হোসেন, শ্বাশুড়ি শামসুন্নাহার জোৎস্না (৩৮), পরাগের স্ত্রী ফাহিমা হোসেন তামান্নাসহ (১৯) ছয়জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
নিহতের পারিবারিক সূত্র জানান, চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি তিলক গ্রামের তোফাজ্জেল হোসেন মুরাদের কন্যা ফাহিমা হোসেন তামান্নার সাথে বিয়ে হয় পরাগের। গত (রোববার) রাত ১০টার দিকে পরাগ শাশুড়ির ফোন পেয়ে নিজ বাড়ি থেকে মোটরসাইকেলে রওনা দেয়। এরপর থেকে তার মোবাইল সেটটি বন্ধ পাওয়া যায়। তার সাথে প্রায় দুই লাখ টাকাও ছিল। রাত সাড়ে ১২টার দিকে শ্বশুরবাড়িতে যোগাযোগ করলে সেখানে যায়নি বলে তারা জানান। এরপর সারারাত খোঁজাখুঁজির পর একপর্যায়ে রক্তের দাগ দেখে তরফদার বাড়ির সেফটি ট্যাংকের ভেতরে তার মরদেহ দেখতে পান। পরাগকে খোঁজার সময় রূপসা থানার ওসিও সাথে ছিলেন বলে তিনি জানান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন