দীর্ঘদিন ধরে নানা সমস্যায় জর্জরিত সরকারি হাইস্কুলগুলো। তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নেই বললেই চলে। মাস্টাররোলে নিয়োগপ্রাপ্তদের দিয়ে কাজ চালানো ঝুঁকিপূর্ণ। শিক্ষক সংকট মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। লোকাল শহর ও অনেক উপজেলা পর্যায়ে বহু সরকারি হাইস্কুলে অর্ধেক শিক্ষকও নেই। প্রতিদিন ৫-৬টি ক্লাস, পরীক্ষার সময় ১০০০-১২০০ খাতা দেখা, অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন, প্রভৃতি কারণে শিক্ষকরা শারীরিক ও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। তথ্য ও যোগাযোগ, চারুকারু, কর্মও জীবনীমুখী শিক্ষা, এসব বিষয় চালু হলেও শিক্ষক নেই। গেজেট করার প্রায় পাঁচ বছর অতিক্রান্ত হলেও নিয়োগবিধি তৈরি হয়নি। সঠিক বিধি না থাকায় ২৫-২৬ বছর ধরে প্রমোশন নেই। সর্বশেষ ২০% সরাসরি নিয়োগের বিরুদ্ধেও রিট করা হয়েছে। মামলার জটে সবেতনে কিছু শিক্ষককে প্রমোশন দেয়া হয়েছে। অনেকের চাকরি ৮ বছর ১২ বছর পূর্ণ হয়েছে। কিন্তু ধাপ পরিবর্তন হচ্ছে না সিলেকশন বা টাইমস্কেল তুলে দেয়ার কারণে। দীর্ঘদিন প্রমোশন না পেয়ে অনেকে অবসরে চলে গেছেন আর যারা আছেন, তারাও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। সরকারি স্কুলে বিভিন্ন ক্লাস থেকে ভর্তি করা হয়। কোথাও প্রথম শ্রেণি, কোথাও তৃতীয় শ্রেণি আবার কোথাও ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে ক্লাস শুরু। কোথাও কোথাও একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণিও আছে। একই ক্লাসে কোথাও একটি সেকশন আবার কোথাও দুটি। এই বিশৃঙ্খল অবস্থা কাটাতে এবং সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে সমস্যাগুলোর সমাধান জরুরি। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
মোঃ আশরাফুল ইসলাম
চুয়াডাঙ্গা।
ব্যাংকে প্রহরী নেই!
পুরান ঢাকায় রূপালী ব্যাংকের গেন্ডারিয়া শাখায় দীর্ঘদিন নিরাপত্তা প্রহরী বা গার্ড না থাকায় ব্যাংকটি মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। ব্যাংকে গ্রাহকরা লেনদেন করতে বা টাকা জমা দিতে বা তুলতে ভয় পান। দুপুরের মধ্যেই ব্যাংকটির কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়। নিয়মমাফিক মাসের সব কর্মদিবসে ব্যাংকটিতে গ্যাস ও টেলিফোন বিল জমা নেয়া হয় না। গ্রাহকদের অভিযোগ, ব্যাংকটিতে নেই শৃঙ্খলা। মনে হয়, লোকবল কম থাকার কারণে রূপালী ব্যাংক, গেন্ডারিয়া শাখায় বিশৃঙ্খলা, অযত্ম, অবহেলা চলছে।
আশা করি, অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অচিরেই গেন্ডারিয়া শাখা রূপালী ব্যাংকের কার্যক্রম অন্যান্য ব্যাংকের মতো স্বাভাবিক করার জন্য আরো যত্মবান হবেন।
মাহবুব উদ্দিন চৌধুরী
১৭ ফরিদাবাদ, গেন্ডারিয়া, ঢাকা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন