পানি পান করার সঙ্গে সঙ্গে শরীরের রন্ধ্রে রন্ধ্রে পানি প্রবেশ করে শরীরের শ্রান্তি ক্লান্তি ও অবসাদ দূর করে সতেজ ও উদ্দীপ্ত করে তোলে। এজন্য একজন পরিশ্রমী ব্যক্তিকে প্রতিদিন চার থেকে পাঁচ লিটার পানি পান করতে হবে। পানি কর্মোদ্যোগ ও কর্মউদ্দীপনা সৃষ্টি করে। পানি কিডনিকে সুস্থ রাখে ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। প্রচুর পানি পান করলে পেটেও কিডনিতে পাথর সৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। পানি দীর্ঘদিন স্বল্প পরিমাণে পান করলে এবং তার কারণে প্রাথমিক অবস্থায় কিডনিতে সামান্য পাথর দেখা দিলে চিকিৎসকরা প্রচুর পানি পানের পরামর্শ দিয়ে থাকেন। প্রচুর পানি পান করলে প্র¯্রাবের বেগে পাথর অপসারিত হয়।
দুপুরে হয়তো প্রচুর গুরুপাক খাবার খাওয়া হয়েছে। প্রচুর তেল, ঝাল ও মসলা পেটে জমা হয়েছে। এক্ষেত্রে প্রচুর পানি পান করলে পেটে গ্যাসের সৃষ্টি হবে না। পেট ফাঁপা ও টক ঢেঁকুর ওঠা দূর হবে। বদহজম রোগ থেকেও রেহাই মিলবে। স্বল্প পানি পানকারীদের শরীরে প্রচুর এনজাইম তৈরি হয় না বলে চিকিৎসকরা বলে থাকেন। এনজাইম খাবার হজমের জন্য প্রধান সহায়ক উপাদান। অতএব শরীরে প্রচুর এনজাইম তৈরির জন্য প্রচুর পানি পান করতে হবে।
আগেই বলা হয়েছে-কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে প্রচুর পানি পান করতে হবে। স্বল্প পানি পান পেটে কষার সৃষ্টি হয়। ঐ কষাই কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণ। পেটে কষার সৃষ্টি হলে কোষ্ঠকাঠিন্য অবধারিত। কোষ্ঠকাঠিন্য হলে পাইলস ও ফেস্টুলা রোগের মতো অতিশয় জটিল রোগের সৃষ্টি হবে। একমাত্র অস্ত্রোপচারই এইসব রোগের ব্যবস্থাপত্র। অথচ প্রথম থেকেই প্রচুর পানি পান করলে রোগের হাত থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব।
অলিউল হক খান
ঠাকুর বাড়ি, গ্রাম-গোপীনাথপুর,
ডাকাঘর: মুকসুদপুর, জেলা: গোপালগঞ্জ।
ঝিটকায় ফায়ার সার্ভিস প্রয়োজন
মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর থানাধীন ঝিটকা ঘনবসতিপূর্ণ একটি এলাকা। ইছামতি নদীর তীরে ঝিটকা হাট গরু, পেঁয়াজ, হাজারি গুড় ও কাঁচামরিচের জন্য বিখ্যাত। ঝিটকা হাট থেকে প্রতিদিন শত শত ট্রাক পেঁয়াজ, কাঁচামরিচ রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যায়। এখানে ডিগ্রি কলেজ, গার্লস হাইস্কুল, কিন্ডারগার্টেন, আলিয়া মাদ্রাসা, জামে মসজিদ, ক্লিনিক, ব্যাংক বীমা প্রতিষ্ঠান এবং সিনেমা হলসহ অনেকগুলো এনজিও প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এ এলাকায় কখনো আগুন লাগলে তা দ্রæত নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য কোনো ব্যবস্থা নেই। তাই ঝিটকায় একটি ফায়ার সার্ভিস স্টেশন স্থাপনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি।
এমএ আওয়াল
চালা, ঝিটকা, মানিকগঞ্জ।
শ্যামবাজারের উন্নয়ন চাই
এক সময় নদীপথে আসা-যাওয়া ও নিত্যদিনের কাঁচাবাজারের মালামালের জন্য পুরনো ঢাকার শ্যামবাজারই ছিল একমাত্র অবলম্বন। এর পাশেই লালকুঠি। পাকিস্তান আমলে বিয়ে-শাদি বা অনুষ্ঠানাদির জন্য লালকুঠি বা ফরাশগঞ্জ মইনউদ্দিন চৌধুরী মেমোরিয়াল হলই ছিল যথেষ্ট। পাইকারি কাঁচামাল ও বাজার-সদাই করার জন্য এখনো শ্যামবাজারের খ্যাতি থাকলেও যানজটের কারণে মানুষ কারওয়ানবাজারকে বেছে নিয়েছে। শ্যামবাজার ও লালকুঠি এলাকার রাস্তাঘাট ভালো নয়। শ্যামবাজার ও ব্যাকল্যান্ডের রাস্তাঘাট ঠিক হলে পোস্তগোলা থেকে মোহাম্মদপুর পর্যন্ত যাতায়াত খুবই সহজ হবে। আশা করি, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এ ব্যাপারে উদ্যোগ নেবে।
মাহবুবউদ্দিন চৌধুরী
১৭ ফরিদাবাদ-গেন্ডারিয়া, ঢাকা-১২০৪
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন