শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ২৮ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

নিবন্ধ

ভাষা আন্দোলনের যত প্রথম

| প্রকাশের সময় : ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭, ১২:০০ এএম

এম. কে. দোলন বিশ্বাস
(পূর্ব প্রকাশিতের পর)
প্রথম শহীদ মিনার : ১৯৫২ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি গভীর রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ ব্যারাক হোস্টেলের ১২নং গেইটের সামনে মেডিকেল কলেজের ছাত্রদের সম্মিলিত শ্রমে নির্মিত হয়েছিল প্রথম শহীদ মিনার।
২১ ফেব্রুয়ারি ছাত্রদের উপরে পুলিশের নির্বিচার গুলিতে অনেকেই শহীদ হন। তাদের স্মরণে খুব দ্রুত ২৩ ফেব্রুয়ারি বিকেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজের ছাত্ররা নির্মাণ করে একটি স্মৃতিস্তম্ভ যা ছিল আমাদের প্রথম শহীদ মিনার। ওই শহীদ মিনারটি ছিল ১০ ফুট উঁচু এবং ৬ ফুট চওড়া। নকশা করেছিলেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের তৎকালীন চতুর্থ বর্ষের ছাত্র বদরুল আলম, সঙ্গে ছিলেন সাঈদ হায়দার। শহীদ মিনার তৈরির কাজ তদারকি করেন জিএস শরফুদ্দিন। দুজন রাজমিস্ত্রীর সাহায্যে মিনারটি নির্মাণ করেন তারা।
২৪ ফেব্রুয়ারি সকালে ভাষাশহীদ শফিউরের বাবা অনানুষ্ঠানিকভাবে ওই শহীদ মিনারটির উদ্বোধন করেন। পরে ২৬ ফেব্রুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে শহীদ মিনারটি উদ্বোধন করেন আবুল কালাম শামসুদ্দিন। কিন্তু ওইদিনই পুলিশ শহীদ মিনারটি ভেঙে দেয়। পরে ঢাকা কলেজের সামনে আবার একটি শহীদ মিনার নির্মিত হয়েছিল কিন্তু সেটিও গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। বর্তমানে আমরা যে শহীদ মিনার দেখছি, তার ভিত্তিপ্রস্তুর স্থাপন করা হয়েছিল ১৯৫৬ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি। ওই শহীদ মিনারের স্থপতি হামিদুর রহমান।
শহীদ মিনার ধ্বংসের প্রতিবাদে প্রথম কবিতা : বায়ান্নো সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি পুলিশের হাতে প্রথম শহীদ মিনার ধ্বংসের প্রতিক্রিয়ায় কবি আলাউদ্দিন আল আজাদ রচনা করেন ‘স্মৃতিস্তম্ভ’। ঐতিহাসিক ওই কবিতাটির কয়েকটি চরণ- ‘স্মৃতির মিনার ভেঙ্গেছে তোমার? ভয় কি বন্ধু আমরা এখনো/চারকোটি পরিবার/খাড়া রয়েছি তো। যে-ভিৎ কখনো কোনো রাজন্য/পারেনি ভাঙ্গতে।’
স্মৃতিস্তম্ভ থেকে শহীদ মিনার : একুশের শহীদদের স্মরণে নির্মিত শহীদ মিনারের প্রথম নাম ছিল ‘স্মৃতিস্তম্ভ’। ১৯৫২ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মেডিকেল কলেজের ছাত্রদের যৌথশ্রমে নির্মিত প্রথম শহীদ মিনারে ‘শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ’ নামটিই লেখা ছিল। প্রথম শহীদ মিনারের নকশাকার বদরুল আলমের সুশ্রী হাতের লেখা ‘স্মৃতিস্তম্ভ’ নামটিই তখন শোভা পায় এবং পরিচিতি লাভ করে। ‘স্মৃতিস্তম্ভ’ কীভাবে শহীদ মিনার হলো এ ব্যাপারে প্রথম শহীদ মিনারের অন্যতম স্থপতি, তৎকালীন ঢাকা মেডিকেল ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক, ভাষাসংগ্রামী কর্নেল (অব.) ডা. শরফুদ্দিন আহমদ বলেন, ‘প্রথম শহীদ মিনারের নাম ছিল ‘শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ’। পরে লোকমুখে শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ থেকে হয়ে যায় শহীদ মিনার।’ জানা যায়, শহীদ মিনার শব্দটির জন্মদাতা আবদুল মনসুর আহমদ। তিনিই প্রথম স্মৃতিস্তম্ভের বদলে শহীদ মিনার শব্দটির সূত্রপাত করেন।
প্রথম শহীদ মিনার ভাঙার প্রত্যক্ষ সাক্ষী ছিলেন আলাউদ্দিন আল আজাদ। পুলিশের এ নির্মমতা তাঁর হৃদয়কে বেদনাহত করে, তাঁকে বিদ্রোহী করে তোলে। পুলিশের হাতে প্রথম শহীদ মিনার ধ্বংসের তীব্র প্রতিক্রিয়ায় ইকবাল হলে বসে সঙ্গে সঙ্গেই ওই কবিতাটি রচনা করেন।
প্রথম শহীদ দিবস পালন : ১৯৫৩ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি প্রথমবারের মতো পালন করা হয় শহীদ দিবস। ওই দিন বিভিন্ন স্তরের ও শ্রেণির মানুষ বিশেষ করে মহিলারা খালি পায়ে ও সুনিয়ন্ত্রিতভাবে পরিচালিত দীর্ঘ শোভাযাত্রা নিয়ে শহর প্রদক্ষিণ করে। দলে দলে নগরবাসী আজিমপুর কবরস্থানে গিয়ে শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনাসহ কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে। বেলা ১২টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে সমবেত হয় শোভাযাত্রীরা। ১২টার সময় সেখান থেকে সুশৃঙ্খলভাবে বের হয় তারা। শোভাযাত্রীরা শোকজ্ঞাপক কালো পতাকা, কালো ব্যাজ ধারণ করে ‘রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই’, ‘রাজবন্দীদের মুক্তি চাই’ প্রভৃতিতে শ্লোগান সহকারে অগ্রসর হতে থাকে।
প্রথম শহীদ দিবস উপলক্ষে ওইদিন বিকাল ৩টায় ঢাকার আরমানিটোলা ময়দানে এক বিশাল জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। উল্লেখ্য, ২১ ফেব্রুয়ারিকে শহীদ দিবস হিসেবে পালনের জন্য ২৮ জানুযারি ১৯৫৩ তারিখে তমদ্দুন মজলিসের এক সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় এবং তা বাস্তবায়নের জন্য সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদের সহযোগিতা গ্রহণ করা হয়। সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ ৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৫৩ সালে এক বৈঠকে একুশে ফেব্রুয়ারিকে ‘শহীদ দিবস’ হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।
প্রথম সংকলন : একুশের প্রথম সংকলনের নাম ‘একুশে ফেব্রুয়ারি’। এটি সম্পাদনা করেছেন কবি হাসান হাফিজুর রহমান। ১৯৫৩ সালে পুঁথিপত্র প্রকাশনী থেকে সংকলনটি প্রকাশিত হয়। প্রকাশক ছিলেন বিশিষ্ট রাজনৈতিক কর্মী মোহাম্মদ সুলতান। আলী আশরাফ, শামসুর রাহমান, বোরহানউদ্দিন খান জাহাঙ্গীর, আবদুল গণি হাজারী, ফজলে লোহানী, আলাউদ্দিন আল আজাদ, আনিস চৌধুরী, আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ, জামালউদ্দিন, আতাউর রহমান, সৈয়দ শামসুল হক, হাসান হাফিজুর রহমান, শওকত হোসেন, সাইয়িদ আতীকুল্লাহ, আনিসুজ্জামান, সিরাজুল ইসলাম, আতোয়ার রহমান, আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী, তোফাজ্জল হোসেন, কবির উদ্দিন আহমদের লেখায় সমৃদ্ধ ওই সংকলনের অসাধারণ স্কেচগুলো করেন মুর্তজা বশীর। হাসান হাফিজুর রহমানের অনুরোধে নিজ হাতে উৎসর্গপত্রটি লিখে দেন আনিসুজ্জামান। পাইওনিয়ার প্রেসের পক্ষে এম এ মুকিত ছেপেছেন এবং বøক তৈরি করেছে এইচম্যান কোম্পানি, বাদামতলী, ঢাকা। ক্রাউন সাইজের ১৮৩ পৃষ্ঠার ওই সংখ্যাটির দাম রাখা হয়েছিল দুই টাকা আট আনা। মায়ের গয়না বিক্রি করে সংকলনটি প্রকাশের টাকা জোগাড় করেছিলেন হাসান হাফিজুর রহমান। এটি প্রকাশিত হওয়ার পর প্রকাশকের আস্তানায় তল্লাশি চালায় পুলিশ। শেষ পর্যন্ত সংকলনটিকে নিষিদ্ধ করে সরকার। পরে ৫৬ সালে আতাউর রহমান খান মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়।
ঢাকার বাইরে প্রকাশিত পুস্তক : একুশের হত্যাকান্ডে পর বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার যৌক্তিকথা নিয়ে ঢাকার বাইরে প্রথম পুস্তক প্রকাশিত হয় নরসিংদীতে। ১৯৫২ সালের মার্চ-এপ্রিল মাস ‘বায়ান্নার পান্ডুলিপি : বাংলা বনাম উর্দু রাষ্ট্রভাষা বিতর্ক’ শিরোনামে পুস্তকটি রচনা করেন মোহাম্মদ হানীফ পাঠান। উল্লেখ্য, ১৯৫২ সালে ‘জমিয়তে ওলামায়ে এছলাম’ কর্তৃক ‘উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করার পক্ষে পঞ্চাশ পয়েন্ট’ নামে একটি পুস্তিকা প্রকাশিত হয়। ওই পুস্তিকা লেখার প্রতিবাদে উক্ত ৫০টি পয়েন্ট এর যুক্তি খন্ডন করে হানীফ পাঠান আলোচ্য গ্রন্থটি রচনা করেন।
বাংলা কলেজ : বাংলা ভাষা চালু করার লক্ষ্যে প্রথম প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার মাধ্যম হিসেবে ‘বাংলা কলেজ’ প্রতিষ্ঠা করা হয়। ১৯৬২ সালের পয়লা অক্টোবরে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিষ্ঠিত বাংলা কলেজটির প্রতিষ্ঠাতা প্রিন্সিপাল ছিলেন আবুল কাসেম।
একুশের প্রথম স্মরণিকা : ঢাকা কলেজ ছাত্রাবাসের পক্ষ থেকে ১৯৫৩ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত চার পৃষ্ঠার পুস্তিকা শহীদের স্মরণে একুশের প্রথম স্মরণিকা। স্মরণিকার শুরুতেই আছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘উদয়ের পথে শুনি কার বাণী, ভয় নাই ওরে ভয় নাই/নিঃশেষে প্রাণ যে করিবে দান, ক্ষয় নাই তার ক্ষয় নাই।’ পরে ওই স্মরণিকাতেই ছাপা হয় কাজী নজরুল ইসলামের ‘বন্দী থাকা হীন অপমান হাঁকবে যে বীর তরুণ/শিরদাঁড়া যার শক্ত তাজা রক্ত যাহার অরুণ’। আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর লেখা একুশের গান ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি ভুলিতে পারি’।
এছাড়া স্মরণিকায় ছিল ‘আমাদের কথা’ ও ‘ভুলি নাই রক্তরাঙা একুশের কথা’ শিরোনামের দুটি ছোট নিবন্ধ। ‘ঢাকা কলেজ ছাত্রাবাসের পক্ষ থেকে জাতীয় জীবনে চিরস্মরণীয় একুশে ফেব্রুয়ারি মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষার সংগ্রামে যাঁরা প্রাণ দিয়েছেন, সেই বীর শহীদদের স্মরণে’ উৎসর্গ করা হয় ওই স্মরণিকা। স্মরণিকাটিতে ‘নিজে পড়িয়া অপরকে পড়িতে দিন’ শ্লোগান সংবলিত একটি আবেদনও ছিল।
পাকিস্তান গণপরিষদে প্রথম বাংলায় বক্তৃতা : বায়ান্নোর ১২ আগস্ট সব ভ্রুকুটি অগ্রাহ্য করে মাওলানা আবদুর রশীদ তর্কবাগীশ পাকিস্তান গণপরিষদে প্রথমভারের মতো বাংলায় বক্তৃতা শুরু করেন। পশ্চিম পাকিস্তানি গণপরিষদ সদস্যরা নানাবিধ উপহাস করে ওই সময় তর্কবাগীশকে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করে। কিন্তু উপহাস উপেক্ষা করেই তর্কবাগীশ বাংলায় বক্তব্য দেন। বাংলায় বক্তৃতা রেকর্ড করার জন্য ওই সময় আইনসভায় কোনো ব্যবস্থা ছিল না। মাওলানা তর্কবাগীশ বেশ কয়েকবার স্পিকারের দৃষ্টি আকর্ষণের পর পাকিস্তান গণপরিষদে বাংলা বক্তৃতা রেকর্ড করার জন্য লোক নিয়োগ করা হয়।
একুশ স্মরণে প্রথম বিশেষ সংখ্যা : একুশে ফেব্রুয়ারির গুলি ও ছাত্রহত্যার প্রতিবাদে ২২ ফেব্রুয়ারি সারা দেশে হরতাল পালিত হয়। ওই দিন মিছিলে আবার গুলি চালায় পুলিশ; হতাহত হয় বহু ছাত্র-জনতা। একুশের ওই রক্তাক্ত ঘটনার পর ২৩ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত হয় সাপ্তাহিক সৈনিকের শহীদ সংখ্যা। সকালে পত্রিকা প্রকাশের মাত্র দুই ঘণ্টার মধ্যে এক হাজার কপি শেষ হলে পরে পুনর্মুদ্রণ করা হয়। ভাষা আন্দোলনের অমর শহীদদের স্মরণে কোনো পত্রিকার প্রথম বিশেষ সংখ্যা।
প্রথম উপন্যাস : একুশে ও ভাষা আন্দোলনের উপর লেখা প্রথম উপন্যাসের নাম ‘আরেক ফাল্গুন’। উপন্যাসটি লেখেন জহির রায়হান। শহীদ দিবস পালন, একুশের মিটিং-মিছিল, সরকারি বাধা, শহীদ মিনার নির্মাণসহ একুশের স্মৃতিবিজড়িত নানা ঘটনা নাটকটির প্রতিপাদ্য। পঞ্চাশের দশকে এটি একটি পত্রিকায় ছাপা হয়। উপন্যাসটি বই আকারে বের হয় ১৯৬৩ সালে।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস : একুশে ফেব্রুয়ারি ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ হিসেবে প্রথম স্বীকৃতি পায় ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর। প্যারিসে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান ইউনেস্কোর ৩৩তম সাধারণ সম্মেলনে দিবসটি আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়।
ভাষা শহীদদের নামে গ্রাম : ২০০৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে সর্বপ্রথম সরকারিভাবে ভাষা শহীদদের নামে গ্রামের নামকরণ শুরু হয়। তা ছাড়া ভাষা শহীদদের নামে জাদুঘর এবং গ্রন্থাগার প্রতিষ্ঠা করা হয়। রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের ৫৫ বছর পর প্রথমবারের মতো ওই স্বীকৃতি ইতিহাসে একটি মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত। ভাষা শহীদ ও বীরশ্রেষ্ঠদের স্মৃতি রক্ষায় সরকারের গৃহীত কর্মসূচির অধীনে উল্লেখিত প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত করা হয়েছে।
বিদেশে স্থাপিত শহীদ মিনার : বিদেশের মাটিতে প্রথম শহীদ মিনার উদ্বোধন করা হয় ২০০৬ সালের ১৬ এপ্রিলে। এটি স্থাপিত জাপানের রাজধানী টোকিওর ইকেবুকো পার্কে।
ভাষা আন্দোলন গবেষণাকেন্দ্র ও জাদুঘর : ২০০৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ভাষা আন্দোলনের প্রকৃত ইতিহাস রচনা, গবেষণা এবং একুশের স্মৃতি রক্ষার্থে বেসরকারি উদ্যোগে ভাষাসৈনিক কাজী গোলাম মাহবুব ট্রাস্টের পরিচালনা ও সহযোগিতায় প্রতিষ্ঠিত হয় ভাষা আন্দোলন গবেষণা কেন্দ্র জাদুঘর। ওই প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান ও ম্যানিজিং ট্রাস্টি বেগম পেয়ারী মাহবুব।
(তথ্যসূত্র : বাংলাদেশ প্রতিদিন- ১৯.০২.২০১৬, প্রথম আলো- ২০০৮, দ্যা ডেইলি স্টার- ২০০৮)
লেখক: দৈনিক সংবাদের সাবেক সহ-সম্পাদক

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন