স্টাফ রিপোর্টার : সংসদ ভবনে আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের সভা বৃহস্পতিবার রাতে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আগামী নির্বাচনে অংশ নেবে বিএনপি। দলীয় সংসদ সদস্যদের নিজ নিজ এলাকার অতীতের নির্বাচনী ফলাফলের তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে বিশ্লেষণ করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, আগামী নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেবে। আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের শক্ত প্রতিদ্ব›িদ্বতার মুখোমুখি হবে হবে। সুতরাং অতীতের নির্বাচনের ফল হাতে নিয়ে আগামী সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে হবে।
বৈঠকে শেখ হাসিনা বলেন, নির্বাচন কমিশনে গিয়ে আগের সবগুলো নির্বাচনের ফল জড়ো করেন। সেখানে দেখেন অতীতে কারা কারা প্রার্থী হয়েছিলেন, কোন দল কত ভোট পেয়েছিল।
প্রধানমন্ত্রী বলেন সংসদ সদস্যদের সাধারণ মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াতে হবে। জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন থেকে নির্বাচনে জয়ী হওয়া যাবে না। তিনি আরও বলেন, জনগণ আপনাদের অনেক দিয়েছে। এবার তাদের কিছু দেওয়ার চেষ্টা করেন। তবেই নির্বাচনে জিততে পারবেন। এলাকার সংসদ সদস্যদের অবস্থান কী, দলের অবস্থান কী, সবই তাঁর জানা আছে। জনগণের সঙ্গে যাদের সম্পর্ক নেই তাদের খবরও তাঁর কাছে আছে। এসব সংসদ সদস্য যদি বর্তমান সরকারের বাকি মেয়াদে জনগণের কাছাকাছি যেতে ব্যর্থ হন, তবে আগামী নির্বাচনের তাঁরা দলীয় মনোনয়ন পাবেন না।
স¤প্রতি কানাডার ফেডারেল আদালতে বিএনপিকে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ উল্লেখ করে বের হওয়া রায়ের বিষয়টি জনগণের মধ্যে ব্যাপক প্রচারের নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, বিএনপি-জামায়াতের ‘সন্ত্রাসী কর্মকান্ড’ জনগণের কাছে তুলে ধরতে হবে এবং পদ্মাসেতুর বিষয়ে সরকারের নৈতিক জয় ও বিশ্বব্যাংকের নৈতিক পরাজয়সহ সরকারের অন্যান্য উন্নয়নের বিষয়গুলো তুলে ধরতে হবে।
সভায় প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান, স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক, হাছান মাহমুদ, শামীম ওসমান, মনিরুল ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য দেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন