চারটি করে র্যাযিস পেয়েছে ‘হিলারি’স অ্যামেরিকা’ এবং ‘ব্যাটম্যান ভি. সুপারম্যান’
এই আসরের গোল্ডেন রাস্পবেরি অ্যাওয়ার্ডস বেশ কয়েক দিক থেকে আগের থেকে আলাদা। হলিউডের সবচেয়ে বাজে চলচ্চিত্রগুলোকে নিয়ে অবমাননার এই পুরস্কার দানকারীদের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে এইবার এতো বেশি সংখ্যায় জঘন্য চলচ্চিত্র মুক্তি পেয়েছে যে সাধারণ ৯ বিভাগে মনোনয়নের সংখ্যা পাঁচ থেকে বাড়িয়ে ৬ করা হয়েছে।
এবারে র্যাযি চ্যাম্পিয়ন হিসেবে টাই হয়েছে ‘হিলারি’স অ্যামেরিকা : দ্য সিক্রেট হিস্ট্রি অফ দ্য ডেমোক্রেটিক পার্টি’ এবং ‘ব্যাটম্যান ভি. সুপারম্যান : ডন অফ জাস্টিস’-এর মধ্যে। দুটি ফিল্মই চারটি করে র্যাযি পেয়েছে, যথাক্রমে মনোনয়ন পেয়েছিল ৫ ও সর্বোচ্চ ৮ বিভাগে।
যে সন্ধ্যায় অস্কার দেয়া হয় ঠিক তার আগের দিন দেয়া হয় গোল্ডেন রাস্পবেরি অ্যাওয়ার্ডস, সংক্ষেপে যাকে বলা হয় র্যাযিস বা জিআরএ। অস্কারের একেবারে বিপরীত উদ্দেশ্য এটির। অস্কার যেমন দেয়া হয় উৎকৃষ্টতার স্মারক হিসেবে র্যাযিস দেয়া হয় নিকৃষ্টতার স্বীকৃতি হিসেবে।
বলাই বাহুল্য অস্কারে যেমন তারার মেলা বসে এখানে ঠিক তার বিপরীত। সাধারণত কোন তারকা উপযাচক হয়ে এই গঞ্জনামূলক পুরস্কার (!) নিতে এখানে আসে না। তবে একেবারে যে আসে না তা নয়। বেশ কয়েকজন তারকা এর প্রহসন-মূল্য বুঝতে পেরে হাজিরা দিয়েছেন। এদের মধ্যে আছেন টম গ্রিন (নিকৃষ্টতম অভিনেতা ও পরিচালক), হ্যালি বেরি (নিকৃষ্টতম অভিনেত্রী), স্যান্ড্রা বুলক (নিকৃষ্টতম অভিনেত্রী), মাইকেল ফেরিস (নিকৃষ্টতম চিত্রনাট্য), জো এস্টারহাস (নিকৃষ্টতম চিত্রনাট্য) এবং পল ভারহোভেন (নিকৃষ্টতম পরিচালক)। মজার ব্যাপার হচ্ছে ১৯৯৮ সালে ব্রায়ান হেলগেল্যান্ড এবং ২০১০ সালে স্যান্ড্রা বুলক র্যাযিস গঞ্জনা লাভের পরের সন্ধ্যায়ই অস্কার পেয়েছিলেন, তবে অন্য চলচ্চিত্রের জন্য। এবারও র্যাযিস পেয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে মন্তব্য করে নজির সৃষ্টি করেছেন ‘হিলারি’স অ্যামেরিকা’ পরিচালক অভিনেতা দীনেশ ডি’সুজা। তার চলচ্চিত্রটি ছিল ডনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষে প্রচার চলচ্চিত্র, যেটি প্রামাণ্য চলচ্চিত্রের ধারায় নির্মাণ করা হয়েছে।
নিকৃষ্টতম চলচ্চিত্র : ‘হিলারি’স অ্যামেরিকা : দ্য সিক্রেট হিস্ট্রি অফ দ্য ডেমোক্রেটিক পার্টি’।
নিকৃষ্টতম পরিচালক : দীনেশ ডি’সুজা (‘হিলারি’স অ্যামেরিকা : দ্য সিক্রেট হিস্ট্রি অফ দ্য ডেমোক্রেটিক পার্টি’)।
নিকৃষ্টতম অভিনেতা : দীনেশ ডি’সুজা (‘হিলারি’স অ্যামেরিকা : দ্য সিক্রেট হিস্ট্রি অফ দ্য ডেমোক্রেটিক পার্টি’)।
নিকৃষ্টতম অভিনেত্রী : রেবেকা টার্নার (‘হিলারি’স অ্যামেরিকা : দ্য সিক্রেট হিস্ট্রি অফ দ্য ডেমোক্রেটিক পার্টি’)।
নিকৃষ্টতম পার্শ্ব অভিনেতা : জেসি আইজেনবার্গ (‘ব্যাটম্যান ভি. সুপারম্যান : ডন অফ জাস্টিস’)।
নিকৃষ্টতম পার্শ্ব অভিনেত্রী : ক্রিস্টেন উইগ (‘জুল্যান্ডার টু’)।
নিকৃষ্টতম পর্দা সমন্বয় : বেন অ্যাফ্লেক এবং হেনরি ক্যাভিল (‘ব্যাটম্যান ভি. সুপারম্যান : ডন অফ জাস্টিস’)।
নিকৃষ্টতম প্রিকুয়েল, রিমেক, রিপ-অফ (নকল) এবং সিকুয়েল : ‘ব্যাটম্যান ভি. সুপারম্যান : ডন অফ জাস্টিস’।
নিকৃষ্টতম চিত্রনাট্য : ‘ব্যাটম্যান ভি. সুপারম্যান : ডন অফ জাস্টিস’।
র্যাযিস রিডিমার অ্যাওয়ার্ড (যে আগেও এই পুরস্কার পেয়েছে) : মেল গিবসন (‘হ্যাকস রিজ’)।
ব্যারি এল. বামস্টেড অ্যাওয়ার্ড (বাণিজ্যিক বা সৃজনশীল ব্যর্থতার জন্য) : ‘মিসকনডাক্ট’; নির্মাণ ব্যয়- ১১ মিলিয়ন ডলার, সংগ্রহ- ১৫,১৫০ ডলার।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন