শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নিবন্ধ

চিঠিপত্র : ফুটপাতে মোটরসাইকেল

প্রকাশের সময় : ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ফুটপাত মানে নির্বিঘেœ পায়ে হেঁটে চলার পথ। ফুটপাতে চলাচলের সময় কোনো ধরনের প্রতিবন্ধকতা কোনোভাবেই কাম্য নয়। অথচ ঢাকার রাস্তার দু’পাশে যে ফুটপাত রয়েছে তা প্রয়োজনের তুলনায় অতি সামান্য। আবার যেটুকু ফুটপাত রয়েছে তার অধিকাংশ জনসাধারণের নির্বিঘেœ চলাচলের অনুপযোগী। দৃষ্টান্ত হিসেবে আমরা বলতে পারি মহামান্য হাইকোর্টের সুস্পষ্ট নির্দেশ অমান্য এবং সিটি করপোরেশনের নিয়ম-নীতির কোনোরকম তোয়াক্কা না করে যত্রতত্র ফুটপাত দখল করে ছোট ছোট দোকান সাজিয়ে বসা এবং ফুটপাতে মোটরসাইকেল চালিয়ে জনসাধারণের স্বাভাবিক চলাচলে বাধা সৃষ্টি করার কথা।
২০১২ সালে মহামান্য হাইকোর্ট ফুটপাতে মোটরসাইকেল চালানো নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন। সেইসঙ্গে নগরবাসীর স্বাভাবিক চলাচল নিশ্চিত করতে ফুটপাতে মোটরসাইকেল চালালে দায়ী চালকদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণে পুলিশের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন। মহামান্য হাইকোর্টের সুস্পষ্ট নির্দেশ অমান্য করে ফুটপাতে মোটরসাইকেল চালানো স্পষ্টতই আদালত অবমাননার শামিল।
আমরা জনগণ যদি সচেতন না হই, রাষ্ট্রীয় আইনের প্রতি যদি আমাদের ন্যূনতম শ্রদ্ধাবোধ না থাকে তবে পুলিশের একার পক্ষে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। কাজেই আমাদের প্রত্যেকের উচিত রাষ্ট্রীয় আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া এবং যার যার অবস্থান থেকে নিজেদের দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে সচেতন হওয়া। পুলিশ ও জনগণ সকলের সহযোগিতা ও সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে একটি সুশৃঙ্খল ও সুন্দর নগরী গড়ে তোলাই হোক আমাদের অঙ্গীকার।
মো. ওমর ফারুক
শিক্ষক, জাগো ফাউন্ডেশন অনলাইন স্কুল, ঢাকা।

চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা
বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রি নিয়ে ছাত্রছাত্রীদের বের হতে দেশনজট ও বিভিন্ন কারণে বয়স ২৮-২৯ হয়ে যায়। কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশে চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩০ হওয়ায় দু-এক বছরের মধ্যে সীমিত সংখ্যক পদে বিপুল সংখ্যক শিক্ষিত বেকারের চাকরি লাভ কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। ফলে তাদের বয়স ৩০ বছর অতিক্রম করে। চাকরিতে আবেদনের সুযোগ হারিয়ে তারা বেকার হয়ে পড়ে।
আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৪০, বিভিন্ন প্রদেশে ৩৮ থেকে ৪০, শ্রীলঙ্কায় ৪৫, ফ্রান্সে ৪০, ইন্দোনেশিয়ায় ৩৫, ফিলিপাইন, তুরস্ক ও সুইডেনে যথাক্রমে সর্বনি¤œ ১৮, ১৮ ও ১৬ এবং সর্বোচ্চ অবসরের আগের দিন পর্যন্ত। আফ্রিকায় চাকরিপ্রার্থীদের বয়স ২১ হলে এবং প্রয়োজনীয় শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকলে যে কেনো বয়সে আবেদন করা যায়। রাশিয়া, হংকং, দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাজ্যে যোগ্যতা থাকলে অবসরের আগের দিনও যে কেউ সরকারি চাকরিতে প্রবেশ করতে পারে।
সরকারের যেহেতু আর্থিক ক্ষতির কোনো কারণ নেই, সেহেতু বিপুল সংখ্যক শিক্ষিত বেকারের চাকরিতে প্রবেশের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে জনগণকে মানবসম্পদে রূপান্তরের জন্য ভারত ও পৃথিবীর অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে চাকরিতে প্রবেশের বয়স সর্বনি¤œ ৩৫, কারিগরি ইঞ্জিনিয়ারিং ও সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অভিজ্ঞতা সম্পন্ন প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ৩৮ অথবা অন্য বিভাগে কর্মরত অভিজ্ঞতা সম্পন্ন প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ৪০ বছর করার জন্য সরকারের সদয় সৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
মো. হারুন-উর-রশিদ,
উত্তর যাত্রাবাড়ি, ঢাকা-১২০৪।

অবসরের বয়স
দেশের মানুষের গড় আয়ু বেড়েছে সে কারণে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবসরের বয়সও বেড়েছে। এখন স্বভাবতই প্রশ্ন ওঠে, বেসরকারি শিক্ষকদের কি গড় আয়ু বাড়েনি? সরকারি চাকরিজীবীদের চাকরির বয়সসীমা বাড়ানো হলো ঠিক আছে, কিন্তু বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের ক্ষেত্রে অনাদিকাল থেকে চলে আসা বয়সসীমা বহাল থাকল, এটা কি বৈষম্য নয়?
আমরা বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীরা আশা করি, সরকারি চাকরিজীবীদের বয়সসীমা যেমন দুই বছর বাড়ানো হয়েছে, তেমনি বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের ক্ষেত্রে তা দুই বছর বাড়ানো হবে, যদিও তাদের অবসরের বয়সসীমা এমনিতেই ৬০ বছর। কিন্তু সার্বিক বিবেচনায় বেসরকারি কর্মকর্তাদের অবসরের বয়সসীমা ৬২ বছর করা বাঞ্ছনীয়।
একেএম হুমায়ূন কবির ভুইয়া
গাজীপুর।

বাহাদুর ঘাটে সেতু চাই
যে দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা যত উন্নত, সে দেশ তত উন্নত। আমাদের দেশের যোগাযোগব্যবস্থা মূলত ঢাকাকেন্দ্রিক। বর্তমানে মাওয়াতে পদ্মা সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে। সেতুটি নির্মিত হলে দক্ষিণের ২১টি জেলার সঙ্গে ঢাকার যোগাযোগের জন্য বঙ্গবন্ধু সেতুর আর প্রয়োজন হবে না। রংপুর বিভাগের জেলাগুলোর বঙ্গবন্ধু সেতুর ওপর দিয়ে সড়কপথে ঢাকায় যাওয়ার প্রবেশদ্বার হচ্ছে বগুড়া জেলা। কিন্তু রেলপথে বঙ্গবন্ধু সেতুর সঙ্গে বগুড়া জেলার সরাসরি যোগাযোগ নেই। তাই রেলপথে ঢাকায় যেতে হলে অনেক পথ ঘুরে বঙ্গবন্ধু সেতুর ওপর দিয়ে ঢাকায় যেতে হয়। যমুনা নদীর তল দিয়ে বাহাদুরাবাদ ঘাট এবং বালাশি ঘাটের মধ্যে টানেল নির্মাণ করা হবে বলে খবর এসেছে। কিন্তু এই টানেল নির্মাণ করা হলে তার দৈর্ঘ্য ১৫ কিলোমিটারের কম হবে না। এতে প্রচুর অর্থের প্রয়োজন হবে। আর যদি বহুমুখী সেতু নির্মাণ করা হয়, তবে এর দৈর্ঘ্য বঙ্গবন্ধু সেতুর চেয়েও কম হবে।
জামালপুর জেলার বাহাদুরাবাদ ঘাট ও গাইবান্ধা জেলার বোনারপাড়ার মধ্যে একটি বহুমুখী সেতু নির্মিত হলে ঢাকার সঙ্গে এই অঞ্চলের দূরত্ব অনেক কমে আসবে।
একসময় ঢাকার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের রেলযোগাযোগ ছিল এই বোনারপাড়া দিয়ে ফেরি পারাপারের মাধ্যমে। আর সেতুটি নির্মিত হলে বোনারপাড়া রেলস্টেশন তার অতীত ঐতিহ্য ফিরে পাবে।
আবু হাসনাত খান
ময়মনসিংহ।


শিক্ষকের প্রতি অবহেলা
প্রায়ই আমাদের দেশের রাজনৈতিক নেতা, আমলা ও জাতির অভিভাবকদের মুখে শুনি, শিক্ষকরা মানুষ গড়ার কারিগর। যদি তাই হয়, তাহলে শিক্ষকরা এত অবহেলিত কেন? বেসরকারি এমপিওভুক্ত স্কুলের শিক্ষকরা মাসে চিকিৎসা ভাতা ও বাড়িভাড়া পাবেন যথাক্রমে ৫০০ ও ১ হাজার টাকা। সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা চিকিৎসা ভাতা ও বাড়িভাড়া পাবেন যথাক্রমে ১ হাজার ৫০০ টাকা ও অবস্থানভেদে মূল বেতনের ৪০ থেকে ৫৫ শতাংশ।
বেসরকারি শিক্ষকরা সারাজীবনে টাইম স্কেল পেতেন মাত্র একটি, অথচ সরকারি চাকরিজীবীরা পান তিনটি। বর্তমানে ১ হাজার টাকায় বস্তিতে একটি ঘর ভাড়া পাওয়া কঠিন, অথচ মাধ্যমিক শিক্ষার ক্ষেত্রে বেসরকারি স্কুলের শিক্ষকরাই মুখ্য ভূমিকা পালন করছেন। যে শিক্ষক সারাজীবন অসংখ্য ডাক্তার, প্রকৌশলী, আমলা, রাজনীতিবিদ তৈরিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করলেন, সেই শিক্ষকের মানসম্মত বাসস্থানের সুযোগ হয় না, তাকে সইতে হয় নানা রকম গঞ্জনা। অথচ অনেকেই বলছেন, আমাদের এগিয়ে যেতে হলে শিক্ষায় গুরুত্ব দেওয়ার বিকল্প নেই। তার জন্য মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষকতা পেশায় আসতে উৎসাহিত করতে হবে।
সুধাংশু শেখর যায়
শিক্ষক, সাভার, ঢাকা।


ভোগান্তি দূর করুন
নানা কারণেই আজ বাংলাদেশ উন্নয়নশীল বিশ্বের রোল মডেল। কিন্তু তারপরও এখনো দেশের অনেক কিছুই আমাদের নজরের বাইরে থেকে যাচ্ছে। মনে হয়, চাঁদপুর সদর উপজেলায় ইচলি চৌরাস্তা থেকে ফরিদগঞ্জগামী ওয়াপদা রাস্তাটির বেহাল দশা দেখার কেউ নেই। চাঁদপুর শহরে প্রবেশ করার জন্য এ রাস্তাটিই একমাত্র পথ।
চাঁদপুরের দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলের এ অংশের কোমলমতি ছাত্রছাত্রী, চাকরিজীবী, গুরুত্বপূর্ণ মালামালসহ অ্যাম্বুলেন্স এ রাস্তা দিয়ে প্রতিনিয়ত যাতায়াত করে। ফলে প্রায়ই এখানে ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটছে। রাস্তার পিচঢালা পথের তো দেখা মেলা ভার, তার ওপর রাস্তার ইট-সুরকি উঠে গিয়ে এমন দশা হয়েছে যে, বৃষ্টি হলে মনে হয়, রাস্তার ওপর ছোট ছোট পুকুর তৈরি হয়েছে। কিন্তু দুঃখের বিষয়, কর্তৃপক্ষ বিষয়টি জেনেও কী কারণে যেন নিশ্চুপ।
তাই কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, এ রাস্তাটির আশু সংস্কারের ব্যবস্থা গ্রহণ করে জনগণকে ভোগান্তির হাত থেকে রক্ষা করুন।
মোহাম্মদ রাজীব খান
চাঁদপুর।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন