শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ২৮ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

নিবন্ধ

চিঠিপত্র : সড়ক পাকা করার আবেদন

| প্রকাশের সময় : ৪ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম

নরসিংদী জেলার রায়পুরা উপজেলাধীন পাহাড়তলী বাজার-মধ্যনগর বাজার সড়কটি অত্যন্ত জনগুরুত্বপূর্ণ। সড়কটির পাশে মাদ্রাসা, উচ্চ বিদ্যালয়, প্রাথমিক বিদ্যালয়, কিন্ডারগার্টেন স্কুল, ইউনিয়ন ভূমি অফিস, ইউনিয়ন কৃষি অফিস, কবি শামসুর রাহমান স্মৃতি পাঠাগার, কবির পৈতৃকভিটা, কমিউনিটি সেন্টার, গবাদি পশুর কৃত্রিম প্রজনন উপকেন্দ্র, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য উপকেন্দ্র, এনজিও প্রতিষ্ঠানের অফিস ও দুই প্রান্তে দুটি বৃহৎ বাজারসহ শতাধিক বসতবাড়ি রয়েছে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না করায় সড়কটি বেহাল অবস্থায় পড়ে আছে। ফলে এ অঞ্চলের বিভিন্ন গ্রামের মানুষ হাটুরিয়া-স্কুলগামী ছাত্রছাত্রী ও অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীকে যাতায়াতের ক্ষেত্রে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
এলজিইডির অধীন তিন কিলোমিটার দীর্ঘ এই সড়কটি কাঁচা হওয়ায় একদিকে যেমন ভরা বর্ষার সময় অতিবর্ষণে বিভিন্ন স্থানে বড় বড় খানাখন্দের সৃষ্টি হয় তেমনি অন্যদিকে শুষ্ক মৌসুমে ছোট ছোট যান্ত্রিক ও অযান্ত্রিক যান চলাচলের ফলে সড়কের আশপাশের বসতবাড়ি, দোকানপাট, সরকারি দপ্তর ও স্কুলগুলো ধুলোবালিতে সয়লাব হয়ে যায়। শুধু তাই নয়, রাস্তার উড়ন্ত ধুলোবালিতেও এখানকার নানা বয়সী মানুষ সর্দিকাশি ও শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। তাই জনস্বার্থে জরুরি ভিত্তিতে উল্লিখিত কাঁচা সড়কটি সংস্কারের পাশাপাশি পাকা করার জন্য এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
এরশাদুর রহমান চন্দন
পাহাড়তলী, রায়পুরা, নরসিংদী।

ওষুধের মূল্য বৃদ্ধি কেন?
স্বনামধন্য ওষুধ কোম্পানিগুলো নীরবে ওষুধের দাম বাড়িয়ে গ্রাহকদের ওপর চাপ সৃষ্টি করেছে। ওষুধের মূল্য ক্রমশ সাধারণ গ্রাহকদের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে। গ্রাহকরা অসহায়। অথচ এ ব্যাপারে সরকারি কোনো পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে না। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, ক্যালবো ডি-এর দাম ছিল ১৫০ টাকা। দাম বেড়ে হয়েছে ২১০ টাকা। নিউরো-বি দাম ছিল ১৫০ টাকা। এখন বেড়ে হয়েছে ২৪০ টাকা। ওষুধের দাম বৃদ্ধিতে সরকারি নিয়ন্ত্রণ নেই বলে মনে হয়। এদিকে সাধারণ গ্রাহকরা দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। বিষয়টির প্রতি সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। সেই সঙ্গে ওষুধের মূল্য বৃদ্ধি রোধে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিনীত আবেদন জানাচ্ছি।
আবু জাফর ওবায়েদ
মিরপুর, ঢাকা-১২১৬।

উন্মুক্ত স্থানে ধুমপান বন্ধ করুন
উন্মুক্ত স্থানে ধুমপান করে পাশের জনের ক্ষতি করছেÑ এটা অনেকে বুঝতে পারে না। সিগারেটের ধোঁয়া যখন মানুষ ভেতর থেকে ছেড়ে দেয় তখন ধোঁয়ার সঙ্গে মানুষের কার্বন যুক্ত হয়, যা শিশুসহ অন্য অধূমপায়ী মানুষের ফুসফুসে ক্ষতি করে। দেশে প্রকাশ্যে ধূমপান না করার আইন থাকলেও এর কোনো কার্যকারিতা নেই বললেই চলে। প্রতিনিয়ত রাস্তা, উন্মুক্ত স্থানে মানুষ ধূমপান করছে। আমরা চোখের সামনেই এটা দেখতে পাচ্ছি। কিন্তু কেউই বাধা দিচ্ছি না। পরিবারে অনেক বাবাও তাঁর শিশু সন্তানকে কোলে নিয়েই নির্দ্বিধায় ধূমপান করছেন। সবচেয়ে অবাক ব্যাপার, সিগারেটের প্যাকেটের গায়ে একটা বীভৎস ছবি দিয়ে সিগারেট খাওয়া নিরুৎসাহ করা হচ্ছে অথচ এটি তুচ্ছ বিষয় হিসেবে সবাই ধরে নিচ্ছে। ধূমপান নিয়ে নতুনভাবে সামাজিক তৎপরতা বাড়ানো প্রয়োজন। সচেতনতা বাড়াতে কাজ করা প্রয়োজন। এ জন্য প্রকাশ্যে ধূমপান এখনই বন্ধ করতে হবে। আইনের প্রয়োগ ও ব্যবহার বাড়াতে হবে। যারা ধূমপান করছে তাদের সচেতনতা এ ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখতে পারে।
সাইদ চৌধুরী
শ্রীপুর, গাজীপুর।

মুন্সীগঞ্জে সরকারি মেডিক্যাল কলেজ চাই
ঢাকা মহানগরের কাছাকাছি জেলা মুন্সীগঞ্জ। ঢাকার জিরো পয়েন্ট থেকে সড়কযোগে মাত্র দেড় ঘণ্টায় মুন্সীগঞ্জ শহরে পৌঁছানো যায়। ঢাকার খুব কাছে বলে মুন্সীগঞ্জে একটি সরকারি মেডিক্যাল কলেজ স্থাপন ও পরিচালনা হবে যৌক্তিক কাজ। কোনো সন্দেহ নেই, এটা মুন্সীগঞ্জ জেলা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের লোকজনের স্বাস্থ্যসেবা বৃদ্ধিতে অবদান রাখবে। তাই মুন্সীগঞ্জে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে একটি ৫০০ শয্যার মেডিক্যাল ও একটি পরিপূর্ণ সরকারি মেডিক্যাল কলেজ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করার অনুরোধ করছি।
মো. আশরাফ হোসেন
বাসাবো, ঢাকা

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন