শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নিবন্ধ

চিঠিপত্র : কিশোরগঞ্জে ট্রেনের টিকিটে অনিয়ম

| প্রকাশের সময় : ৭ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ভৈরব থেকে ঢাকা পর্যন্ত দুই লেন রেললাইনে উন্নীত করা হলে কিশোরগঞ্জ-ঢাকার রেলযোগাযোগ জনপ্রিয়তার শীর্ষে আরোহণ করে। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে কিশোরগঞ্জের টিকিট মাস্টাররা টিকিটপ্রতি ২৫-৩০ টাকা পর্যন্ত বাড়িয়ে নিচ্ছেন। মানুষকে জিম্মি করে বেশি টাকা দিয়ে টিকিট কিনতে বাধ্য করা হচ্ছে। গত ১৩ ফেব্রæয়ারি ভোর ৬টায় কিশোরগঞ্জ এগারসিন্দুর প্রভাতি ট্রেনের টিকিট চাইতেই বলা হয় সিট নাই। কিছুক্ষণ পর বলা হয়-সিট দেওয়া যাবে, তবে ৫০ টাকা বেশি দিতে হবে। মাকে নিয়ে পরীক্ষা দিয়ে ফিরছি। মা বাসে চড়তে পারেন না, তাই বাধ্য হয়ে ২৫০ টাকার টিকিট ৩০০ টাকায় কিনতে হলো। দেখা গেল, টিকিট মাস্টার তাঁর ক্যাশ বাক্স থেকে আগেই প্রিন্ট করে রাখা টিকিট দিচ্ছেন। অনেকগুলো টিকিট তাঁর সেই ক্যাশ বাক্সে ভরা। যদিও ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা রয়েছে; তবু অবাধেই চলছে এই বেআইনি কাজ। সন্দেহ রয়েছে আদৌ কেউ ফুটেজ দেখেন কি না। আগে কালোবাজারি হতো। পত্রিকায় খবর বেরুলে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করার ফলে সম্পূর্ণভাবে কালোবাজারিমুক্ত হয়। কিন্তু অনিয়ম এখনো চলছেই। আশা করছি এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অতিসত্বর ব্যবস্থা নেবেন।
মো. সাম্পান
পূর্ব ভরাটী, বৈলাই, কিশোরগঞ্জ।

রাস্তায় ইটের সলিং করার আবেদন
আমরা ঝালকাঠি সদর উপজেলার নবগ্রাম ইউনিয়নের জগদীশপুর  (গৈহার)-এর বাসিন্দা। গৈহার পুরাতন সোনার বাড়ি থেকে মশুল বাড়ি পর্যন্ত সম্পূর্ণ কাঁচা রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করার সময় সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হয়। কাঁচা রাস্তায় বৃষ্টিতে হাঁটু পরিমাণ কাদা হয়ে যায়। বর্ষা মৌসুমে পানি ওঠে বলে রাস্তা যাতায়াতের সম্পূর্ণ অনুপযোগী হয়। এখানকার জগদীশপুর প্রাইমারি স্কুল থেকে গৈহার মশুল বাড়ি পর্যন্ত ইটের সলিং কাজের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হলেও যে অংশটুকু গৈহার নামে পরিচিত সে অংশটুকুর কাজ বন্ধ বিগত কয়েক বছর ধরে। তাই রাস্তাটিতে অন্তত ইটের সলিং করে চলাচলের উপযোগী করতে সংশ্লিষ্ট-কর্তৃপক্ষের কাছে বিনীত অনুরোধ করছি।
পবিত্র সমদ্দার
জগদীশপুর  (গৈহার), ঝালকাঠি

মুখে নয় কর্মে চাই একুশের প্রতি ভালোবাসা
একুশ শব্দটি বাঙালির রক্তের সঙ্গে মিশে আছে। ভাষার জন্য এমনিভাবে কেউ প্রাণ দেয়নি। জীবনকে তুচ্ছজ্ঞান করেনি। রক্তে রাজপথ রঞ্জিত করেনি। একুশ আমাদের গর্ব, অহংকার। আমাদের অনুপ্রেরণা। শুধু আমাদেরই নয়। বিশ্ব ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অংশ। স্বীকার করি বা নাই করিÑ একুশের শিক্ষা আমাদের জীবনে নেই। আমাদের কর্মে নেই। আমরা সুন্দর করে বাংলায় কথা বলি না। এত সুন্দর ভাষা বাংলা। সেটাও বা সঠিক করে ক’জন লিখি। চারদিকে এত এত বানান ভুল। সেটা রাজপথে সাইনবোর্ড হোক। পাঠ্যবই হোক। অন্য যা কিছুই হোক। এসব দখে একদমই মনে হয় নাÑ আমাদের মাতৃভাষা বাংলা। সন্তানদের বাংলা শেখানো হয় না। ঘরের মধ্যে বাংলার চর্চা নেই।
একুশে ফেব্রæয়ারি কী, কেন-অধিকাংশ তরুণ তা বলতে পারবে না। এই নির্মম সত্যগুলোকে আমরা অস্বীকার করি কীভাবে? বিদেশি ভাষা শেখা দোষের কিছু নয়। তাই বলে মায়ের ভাষাকে অবহেলা কেন। নতুন প্রজন্মকে একুশের ইতিহাস জানাতে হবে। ঘরে ঘরে বাংলার চর্চা চাই। বাংলায় কথা বলতে হবে। কর্মক্ষেত্রে শুদ্ধ বাংলা চর্চার বিকল্প নেই। তা না হলে একুশ এলো। অমনি নগ্ন পায়ে শহীদ মিনারে গিয়ে ফুলের শ্রদ্ধা জ্ঞাপন। ভাষাশহীদদের প্রতি এ হলো এক নির্মম তামাশা। এই তামাশার অবসান হওয়া জরুরি। বাংলাভাষার চর্চা বাড়াতে সরকারি উদ্যোগ দরকার। পাশাপাশি সচেতন মানুষদের এগিয়ে আসতে হবে।
মুহাম্মদ শফিকুর রহমান
বাড়ি ১০২, সড়ক ১১, বনানী, ঢাকা।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন