শনিবার, ০৬ জুলাই ২০২৪, ২২ আষাঢ় ১৪৩১, ২৯ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

নিবন্ধ

চিঠিপত্র : বিষাক্ত গুল জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি

| প্রকাশের সময় : ৯ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম

ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের গবেষণা (২০১১) থেকে জানা যায়, এক মাত্রার সিগারেটে নিকোটিনের মাত্রা এক মিলি গ্রাম। কিন্তু এক মাত্রার গুলে ধোঁয়াবিহীন তামাক যেমন গুলের নিকোটিনের মাত্রা ৪ দশমিক ৫ মিলিগ্রাম। অন্যদিকে চুনে রয়েছে প্যারা অ্যালোন ফেনল নামে এক ধরনের রাসায়নিক পদার্থ যা মুখে আলসার সৃষ্টি করতে পারে। এ আলসার ধীরে ধীরে ক্যান্সারে রূপান্তরিত হয়। নিকোটিন ও চুন এই দুটি বিষাক্ত বস্তুর কারণে গুল সেবন মানবদেহের জন্য মারাত্মক স্বাস্থ্যহানিকর একটি পণ্য।
চলতি অর্থবছর (২০১৬-২০১৭) থেকে স্থানীয় পর্যায়ে উৎপাদিত গুলের ওপর সম্পূরক শুল্ক ৬০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০০ শতাংশে উন্নীত করা হয়েছে। উদ্দেশ্য, স্বাস্থ্য সতর্কবাণী ও ট্যাক্স বৃদ্ধির ফলে গুলের উৎপাদন ও ব্যবহার হ্রাস পাবে। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপ ও ক্ষোভের বিষয়-পাড়া মহল্লায় গুল বিক্রেতা ও পান-সিগারেটের দোকানগুলোতে ঘুরে দেখা গেছে, প্রথম গুলের কোটায় রঙিন ছবিসহ স্বাস্থ্য সতর্কবাণী ঠিকভাবে মুদ্রিত করা হয়নি এবং দ্বিতীয়ত ট্যাক্স বৃদ্ধির আগে এক কৌটা গুলের খুচরা বিক্রয় মূল্য যা ছিল ট্যাক্স বৃদ্ধির পরেও তাই আছে। অর্থাৎ সর্বশেষ ভোক্তা পর্যায়ে গুলের মূল্য বাড়েনি। এক অনুসন্ধানে জানা যায়, ভোক্তা পর্যায়ে গুলের মূল্য উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি না পাওয়ার মূল্য কারণ হচ্ছে গুল ফ্যাক্টরি মালিকদের ব্যাপক ভ্যাট ফাঁকি। আর এই ভ্যাট ফাঁকির অন্যতম হাতিয়ার হচ্ছে গুলের প্রকৃত বিক্রয় মূল্য এবং উৎপাদনের পরিমাণের তথ্য গোপন করা।
পরিশেষে গুলের কৌটার মোড়কের অর্ধেকাংশ জুড়ে রঙিন ছবিসহ স্বাস্থ্য সতর্কবাণী মুদ্রণে বিধি অমান্য এবং ভ্যাট ফাঁকি-এ দুটি বিষয় কঠোরভাবে রোধকল্পে সরকার অবিলম্বে কার্যকর ব্যবস্থা নেবে বলে আশা করি।
মাহবুব আলী
৪১ আবদুল হাদী লেন
বংশাল, ঢাকা।
পাহাড়ে ভ্রমণ
আসুন পাহাড়ের দেশে পার্বত্য চট্টগ্রামে, সোনালি চাঁদের মায়ায় ভরা সুন্দরী রাতে যেখানে বনজ্যোৎ¯œায় ভেসে যায় সব। পাহাড় মুচকি হেসে বলেÑ আয়। নীল হৃদ ডাকে। পৃথিবীর সব নদী তিরতির বয়ে যায়। সকালে সূর্যের মতো ঝিকিমিকি রোদ ভেসে যায়। পাখি ডাকে। পাতারা ঝরে যায় নিঃশব্দে। এই তো পার্বত্য চট্টগ্রামের রূপ। আহা কত রূপে ঝলমল করে পার্বত্য চট্টগ্রামের রূপ। আহা কত রূপে ঝলমল করে পার্বত্য চট্টগ্রামের রাঙামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ির পাহাড়ি জনপদ। ঝরনা, জলপ্রপাত দেখায় চমক। আমাদের শুধুই হাতছানি দিয়ে ডাকে পাহাড়। এমনি মায়ার স্বর্গ আর কোথায় মেলে। মেলে শুধু আমার জন্মভূমি এই বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামেই। চলুন যাই ভ্রমণে পার্বত্য চট্টগ্রামের রাঙামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়িতে।
লিয়াকত হোসেন
রূপনগর, ঢাকা।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন