শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নিবন্ধ

চিঠিপত্র : অবশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধাদের স্বীকৃতি দিন

| প্রকাশের সময় : ১২ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম

বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের এক সূত্রে জানা যায় যে, ভারতের বিভিন্ন ক্যাম্প থেকে প্রায় আশি হাজার প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধার তালিকা ১৯৭২ সালে বাংলাদেশে আসে। কল্যাণ ট্রাস্ট ১৯৭৫ সালে মেজর জেনারেল (অব) আমিন আহমেদ ও লে. কর্নেল (অব) মোহাম্মদ আলীর নেতৃত্বে মূল জি বি রেজিস্টারে একাত্তর হাজার মুক্তিযোদ্ধার নাম লিপিবদ্ধ করে। ভারতের রামপুরহাট সেনানিবাসের নয় হাজার মুক্তিযোদ্ধার তথ্যে গ্রাম ও ডাকঘর না থাকায় তাঁদের ঐ মূল রেজিস্ট্রারের বাইরে রেখে কাজটি সম্পন্ন করা হয়। অবশিষ্ট তালিকা এখনো কল্যাণ ট্রাস্টে সংরক্ষিত আছে। রামপুরহাটের মুক্তিযোদ্ধাদের নাম লাল মুক্তিবার্তায় ও গেজেটে লিপিবদ্ধ হয়েছে। ভারতের বিভিন্ন ক্যাম্পের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের তথ্যাবলির সঙ্গে বীরভূম জেলার রামপুরহাট সেনানিবাস ক্যাম্পের মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকার কিছু তথ্যের মিল না থাকায় ঐ মুক্তিযোদ্ধাদের নামের তালিকা সরকারি মূল রেজিস্ট্রারে লিপিবদ্ধ না করার কোনো যৌক্তিক কারণ থাকতে পারে না। সংশ্লিষ্ট মুক্তিযোদ্ধারা তাঁদের নাম, পিতার নাম, উপজেলার নাম এবং ভারত সরকার প্রদত্ত এফ এফ নম্বরে মিল থাকলেই ঐ তালিকার দাবিদার। ঐসব মুক্তিযোদ্ধার নাম মূল রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ করলে কোনো মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে না এবং আর্থিক খরচও বাড়বে না। সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ে সিদ্ধান্তের অভাবে গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, ঝিনাইদহ, মাগুরা, নড়াইল, শরীয়তপুর ও যশোর- এই এগারো জেলার প্রায় নয় হাজার মুক্তিযোদ্ধার নাম কল্যাণ ট্রাস্টের মূল সরকারি রেজিস্টারে না থাকায় তাদের প্রায়ই ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার বদনাম শুনতে হয় যা অত্যন্ত বেদনার। রামপুরহাটে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত আমিসহ অনেক মুক্তিযোদ্ধা প্রমাণস্বরূপ কল্যাণ ট্রাস্টে সংরক্ষিত তাঁদের ভারতীয় তালিকার ফটোকপি সংরক্ষণ করেছেন। এ অবস্থায় তাঁদের নামের তালিকা মূল সরকারি রেজিস্টারে লিপিবদ্ধ করার মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে বিনীত আবেদন জানাচ্ছি।
মোঃ সিদ্দিকুর রহমান
ভারতীয় তালিকা নম্বর বি-২১৭ (এফ এফ)
গ্রামঃ গাওঘরা, ডাকঘর-হাসিমপুর
সদর উপজেলা, যশোর।

উপবৃত্তির টাকা গেল কোথায়?
আমার ছেলে মেহেদী হাসান শিশিরসহ আরো অনেক ছাত্রছাত্রী কুমিল্লা জেলার চান্দিনা উপজেলাধীন বড় গোবিন্দপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ফরম ফিলাপের টাকাসহ দুই বছরের উপবৃত্তির টাকা পাওয়ার জন্য অভিভাবকদের মোবাইল নম্বর দিয়ে মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট করে। অনেক মোবাইলে টাকার ম্যাসেজ এসেছে, অনেক মোবাইলে আসেনি। কোনো কোনো অভিভাবক ম্যাসেজ পড়তে পারে না। কোনো অভিবাবকদের দৃষ্টিশক্তি ভালো নয়। আবার কোনো কোনো অভিভাবক ম্যাসেজের ব্যাপারে সচেতন নন। এইসব কারণে ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট থেকে অনেক শিক্ষার্থীর উপবৃত্তির টাকা তোলা সম্ভব হয়নি। টাকা মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টেই রয়ে যায়। পরবর্তী সময়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকগণ কুমিল্লা শহরে ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের সঙ্গে যোগাযোগ করলে ব্যাংক কর্মকর্তাগণ কোনো উত্তর দিতে পারেননি। তাঁরা বলেন- টাকা দেওয়া শেষ, কিছু করার নাই। এ অবস্থায়, চান্দিনার উপবৃত্তি বঞ্চিত শিক্ষার্থীদের না পাওয়া টাকা পাওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
মোঃ রফিকুল আলম
প্রগতি বীজ ভান্ডার, চান্দিনা বাজার, কুমিল্লা।

পার্বত্য এলাকার ফল ও সবজি
আমরা সমতল অঞ্চলে বসবাসকারী মানুষ কার্বাইড ও ফরমালিন মিশ্রিত ফলমূল খেয়ে থাকি। অন্যদিকে প্রাকৃতিকভাবে উৎপাদিত পার্বত্য অঞ্চলগুলোর মৌসুমি ফল বলতে গেলে আমাদের হাতেই পড়ে না। প্রতি বছর বান্দরবান, খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটিতে কয়েকশ’ কোটি টাকার মৌসুমি ফলমূল উৎপাদন হয়; যেমন আম, কাঁঠাল, লিচু, আনারস, তরমুজ, কলা, কমলা, পেঁপে, পেয়ারা, লটকন ইত্যাদি। এখানে উৎপাদন হয় প্রচুর শাকসবজি ও তরিতরকারি। কিন্তু সুষ্ঠু সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণের সুযোগ-সুবিধার অভাবে প্রতি বছর কোটি কোটি টাকার পণ্য’ নষ্ট হচ্ছে। পার্বত্য অঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা আজো দুর্গম ও অনুন্নত। কিছু স্থানে নৌপথ থাকলেও অনেক স্থানে হাঁটার পথও নেই। ফলে চাষিরা নিজেদের উৎপাদিত, ফসল সঠিকভাবে বাজারজাত করতে পারেন না। সমতল থেকে ব্যবসায়ীরা কিনতে গেলেও দালাল বা ফরিয়াদের উপদ্রবে নায্যমূল্য থেকে চাষিরা বঞ্চিত হন। পার্বত্য অঞ্চলে পর্যটনসহ সার্বিক উন্নয়নের কথা অনেক শোনা যায়। কিন্তু বাস্তবে এর সুফল নেই। এমনকি ‘শান্তিচুক্তি’ বাস্তবায়ন ধীরগতির। অর্থনৈতিক পশ্চাৎপদতা ও অনুন্নত দূর হয়নি। এই অঞ্চলে উৎপাদিত পণ্যের সংরক্ষণের জন্য তিন পার্বত্য জেলায় হিমাগার নির্মাণ করা দরকার। সরকারিভাবে না হলে বেসরকারি উদ্যোগেও তা হতে পারে। পার্বত্য অঞ্চলের কৃষিপণ্যের সুষ্ঠু বাজারজাতকরণ, প্রক্রিয়াজাতকরণ, সর্বোপরি হিমাগার স্থাপনের জন্য উদ্যোগী হতে হবে।
জাহেদুর রহমান ইকবাল
আজাদ সেন্টার, ৫৫, পুরানা পল্টন, ঢাকা।

স্মরণী বা স্বরণী নয় সরণি বা সরণী  লিখুন
বাংলা ভাষায় প্রচলিত ‘সড়ক’ বাদ দিয়ে ‘সরণি’ দু’জন ব্যক্তিত্বের নাম রাজধানীতে দুটো সড়কের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হচ্ছে। মরহুম সৈয়দ নজরুল ইসলাম সরণি ও মরহুম তাজউদ্দীন আহমেদ সরণি। কিন্তু বিভিন্ন সরকারি অফিস, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, সংগঠন, সংস্থা তাদের সাইনবোর্ড, ব্যক্তিগত নামফলক, প্যাড, ম্যাগাজিন, স্মারক, অফিসিয়াল কাগজপত্রে ভুল বানান লিখে চলেছে। কেউ কেউ মনে করছেন, ‘স্মরণ’ থেকে বুঝি ‘স্মরণী’ হবে, তাই প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়াধীন জাতীয় জরিপ অধিদফতরে প্রবেশের পথে লাগানো সাইনবোর্ড লেখা হয়েছে ২৯, তাজউদ্দীন আহমেদ স্মরণী। মগবাজার রেলগেট সংলগ্ন ইনসাফ বারাকাহ কিডনি অ্যান্ড জেনারেল হাসপাতালের সাইনবোর্ডে লেখা তাজউদ্দীন আহমেদ সরণী। এ ছাড়া পল্টন মোড়, বিজয়নগর, মগবাজার মোড়, সাত রাস্তা, তেজগাঁও এলাকার শত শত প্রতিষ্ঠানের সাইনবোর্ডে সরণি বা সরণী বানানটি লেখা হয়েছে স্মরণী, স্মরণি, স্মরণী এভাবে- যা সত্যিই দৃষ্টিকটু ও এ মহান ব্যক্তিদ্বয়ের সম্মান ক্ষুণœ করার মতো। সবার জ্ঞাতার্থে তাই জানাচ্ছি- বাংলা একাডেমি থেকে প্রকাশিত (নরেন বিশ্বাস, ফেব্রুয়ারি ২০০৮) বাংলা উচ্চারণ অভিধানে সরণি বা সরণীর অর্থ লেখা- পথ, রাস্তা, শ্রেণি, সারি, রীতি বা প্রণালি। এ বিষয়টি অবহিত হয়ে অনুগ্রহপূর্বক ২০১৭ সালের এই ভাষার মাসে সবাই আপনাদের সাইনবোর্ডসহ যেখানে সেখানে ‘সরণি’ বা ‘সরণী’ শব্দটি ভুল বানানে লিখেছেন, সব লেখা সংশোধন করে মুর্ধন্য-এ হ্রাস-ইকার দিয়ে সরণি বা দন্তান-এ দীর্ঘ ঈ- কার দিয়ে সরণী লিখে বাংলা ভাষার প্রতি তথা এই সম্মানিত ব্যক্তিদ্বয়ের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করুন।
শামসুল করীম খোকন
তেজগাঁও, ঢাকা।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন