চট্টগ্রাম ব্যুরো : বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) কর্তৃক গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির ঘোষণায় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির নেতৃবৃন্দ গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। গতকাল (রোববার) এক বিবৃতিতে মেট্রোপলিটন চেম্বার নেতৃবৃন্দ বলেন, বিইআরসির ঘোষণায় দুই ধাপে শিল্পের গ্যাসের দাম ১৪.৪৫ শতাংশ বাড়িয়ে প্রতি ঘনমিটার ৭ টাকা ৭৬ পয়সা করা হয়। একইভাবে ক্যাপটিভ বিদ্যুতে গ্যাসের দাম ১৫ শতাংশ বাড়িয়ে প্রতি ঘনমিটারে ৯ টাকা ৬২ পয়সা করা হয়েছে। এ ছাড়া হাউজ হোল্ড ব্যবহারের ক্ষেত্রে ৪৬ শতাংশ, বাণিজ্যিক গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছে ৫০ শতাংশ এবং পরিবহনের গ্যাসের দাম বেড়েছে ১৪ দশমিক ২৯ শতাংশ।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির নেতৃবৃন্দ মনে করেন, শিল্পখাতে গ্যাসের চাপ সঠিকভাবে না থাকায় উৎপাদন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। যে বিষয়টি আগে সুরাহা না করে গ্যাসের দাম বাড়ানো যৌক্তিক কি না তা ভেবে দেখা দরকার। অন্যদিকে গ্যাসের ইভিএম মিটার বসানোর কথা থাকলেও ইভিএম মিটারও বসানো হচ্ছে না বিধায় শিল্প কারখানায় গ্যাস ব্যবহারের উপর নানা রকম সমস্যা হচ্ছে এবং আইন বহিভর্‚তভাবে ইচ্ছে মাফিক জরিমানা করা হচ্ছে। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রেসিডেন্ট দশ বছর আগেই সরকারের কাছে এলএনজি গ্যাসের গুরুত্ব তুলে ধরেন। তখন থেকেই যদি শিল্প কারখানায় এলএনজি গ্যাস সরবরাহ করা হতো তাহলে আজকের এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো না। এ মুহূর্তে শিল্প কারখানায় এলএনজি গ্যাস দ্রæত সরবরাহের ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন।
মেট্রোপলিটন চেম্বার নেতৃবৃন্দ বলেন, গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে বস্ত্রখাত। কারণ এ গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির ফলে সুতার উৎপাদন খরচ বেড়ে যাবে। পোশাক শিল্প মালিকরা বাড়তি দাম দিয়ে দেশিয় সুতা কিনবেন না। সে পর্যায়ে পোশাক খাতের উৎপাদনে স্থবিরতা আসবে। গ্যাসের দাম বৃদ্ধির কারণে পণ্যের উৎপাদন খরচ বাড়বে এবং উৎপাদিত পণ্যের পরিবহন খরচও বৃদ্ধি পাবে। অন্যদিকে বিনিয়োগের ক্ষেত্রেও এর প্রভাব পড়তে বাধ্য। তাই শিল্প খাতে এলএনজি গ্যাস সরবরাহের ব্যবস্থা করাসহ সাধারণ মানুষের ব্যবহার্যে গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির বিষয়টি যৌক্তিক পর্যায়ে পুনর্বিবেচনার জন্য চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বার নেতৃবৃন্দ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিইআরসির সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন