দেশে শিশুহত্যার ঘটনা উদ্বেগজনকভাবে বেড়ে চলেছে। গত ৫ বছরে ১ হাজার ১২২ শিশু হত্যার খবর দিয়েছে একটি জাতীয় দৈনিক। পারিবারিক বিরোধ, জায়গা-জমি নিয়ে বিরোধ, অপহরণ, কর্মক্ষেত্রে অমানুষিক শ্রমÑ এসবের বলি হচ্ছে নিরপরাধ, নিষ্পাপ শিশু।
সমাজের ভেতর ক্ষয় শুরু হতে থাকলে এসব নারকীয় ঘটনা বেড়ে যায়। শিশুরা বড়দের মতো প্রতিবাদ-প্রতিরোধ করতে পারে না, নীরবে অত্যাচার-নির্যাতন সহ্য করা ছাড়া তাদের জন্য উপায় নেই। নিরপরাধ শিশুদের হত্যার ঘটনায় যারা জড়িত, তাদের শাস্তি না দিলে বা অপরাধীদের দ্রুত পাকড়াও করা না গেলে সমাজে অপরাধপ্রবণতা কমবে না। সরকারি কর্তাব্যক্তিরা রাজন-রাকিব হত্যার দ্রুত বিচারের কথা বলেন। কিন্তু এতে আত্মশ্লাঘার বিষয় নেই, রাষ্ট্রের দায়িত্ব পালনে অবহেলা ও অক্ষমতার সুযোগ নেই। কেবল হত্যাকারী নয়, যাদের প্ররোচনায় ও নির্দেশে এসব নারকীয় হত্যাযজ্ঞ ঘটানো হচ্ছে, তাদেরও বিচার করতে হবে। নতুবা সমাজকে নিরাপদ করা যাবে না।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে যে আস্থার সঙ্কট তৈরি হয়েছে, সেটা থেকে তাদের বেরিয়ে আসতে হবে জনস্বার্থেই। অজুহাত দাঁড় করিয়ে দায়িত্ব এড়ানো চলবে না কোনোভাবেই। শিশুহত্যার বিরুদ্ধে সমাজের সকল পর্যায় থেকে প্রতিবাদ-প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
মো. রেদোয়ান হোসেন
শিক্ষার্থী, টাঙ্গাইল।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন