শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নিবন্ধ

চিঠিপত্র : বাসন সড়ক পাকা করা হোক

প্রকাশের সময় : ২১ জানুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

আমার গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ১৪নং ওয়ার্ডের বাসন সড়ক সংলগ্ন এলাকার অধিবাসী। “বসন সড়ক রাস্তাটি” ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়ক পশ্চিমদিকে। রাস্তটির দৈর্ঘ্য প্রায় ৪ কি.মি. এর মধ্যে ৩ কি.মি. ইটের সলিং করা এবং কার্পেটিং করা। বাকি এক কি.মি. রাস্তা মুন্সিবাড়ী কবির মাস্টারের বাড়ি থেকে পশ্চিম দিকে চৌধুরী ব্রিক ফিল্ড পর্যন্ত একবারেই কাঁচা। বিশেষ করে বন্যায় সময় এই এক কি.মি. রাস্তার উভয় পার্শ্বের মানুষের খুবই দুর্ভোগ পোড়াতে হয়। রাস্তার দুরবস্থার কারণে ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুলে যাওয়া বন্ধ হয়ে যায়।
বসন সড়ক নামের এই ৪ কি.মি. রাস্তাটির উভয় পার্শ্বে প্রায় ১৫-১৬টি প্রাইমারি স্কুল, হাই স্কুল এবং মাদ্রাসা আছে। ১৫-১৬টি ইন্ডাস্ট্রি আছে। এই এলাকায় প্রায় ৪ লক্ষাধিক মানুষের বসবাস। রাস্তাটি খুবই ব্যস্ত, ২৪ ঘণ্টা মানুষ চলাচল করে। বর্ষার সময় রাস্তাটি একবারেই চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়ে। যানবাহন প্রায়ই খাদে পড়ে যায়। রাস্তায় কোন লাইটিংয়ের ব্যবস্থা না থাকায়, সন্ধ্যার পর ছিন্তাই, চুরি এবং নেশা নানা রকম অপরাধ সংগঠিত হয়।
অতএব, রাস্তাটি অবিলম্বে সংস্কার ও পাকা করা হোক।
মো. শফিউদ্দিন তালুকদার
প্রধান শিক্ষক এবং পরিচালক
বিবিসি ইংলিশ মডেল স্কুল।

ফরিদাবাদে গ্যাস সঙ্কট
পুরনো ঢাকার ফরিদাবাদের আরসিম গেইট রিভারভিউ প্রজেক্ট, আইজি গেইট, পোস্তগোলা ও গেন্ডারিয়া এলাকার বেশ কিছু অংশে দিনের বেলায় কোন গ্যাস থাকে না। গ্যাস সঙ্কটের কারণে রান্না করা দুষ্কর হয়ে পড়েছে। নিয়মিত গ্যাস বিল দেয়া সত্ত্বেও ফরিদাবাদ, গেন্ডারিয়া, পোস্তগোলা এলাকায় গ্যাস সঙ্কটরে কোন সুরাহা হচ্ছে না।
পূর্বে পুরান ঢাকায় গ্যাস সঙ্কট এতো প্রকট ছিল না। অবৈধ গ্যাস সংযোগের পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ায় সংশ্লিষ্ট গ্যাস সঙ্কট দিন দিন বেড়েই চলছে। সংশ্লিষ্ট এক শ্রেণীর কর্মকর্তা ও কর্মচারীর দুর্নীতির জন্য গ্যাসের সরবরাহ বিঘিœত হচ্ছে। এ অবস্থা থেকে দ্রুত পরিত্রাণ পেতে চাই।
মাহবুবউদ্দিন চৌধুরী
আরসিম গেইট আ/এ, ফরিদাবাদ,
গেন্ডারিয়া, ঢাকা-১২০৪।

জনপ্রতিনিধির শিক্ষাগত যোগ্যতা প্রসঙ্গে
নির্বাচন প্রক্রিয়ার মধ্যদিয়ে আমরা জনপ্রতিনিধি পেয়ে থাকি। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য, নির্বাচন পদ্ধতির ত্রুটির কারণে সামাজিক ও রাজনৈতিক অস্থিরতা দিনদিন প্রকট আকার ধারণ করছে। জাতীয় এ সঙ্কট নিরসনে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন একান্ত অপরিহার্য। মূলত: জাতীয় নির্বাচন সকল দলের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হলে যোগ্য প্রতিনিধি নির্বাচিত করা সহজতর হয়। পরিসংখ্যান অনুযায়ী বতর্মান বাংলাদেশে শিক্ষিত লোকের সংখ্যা পূর্বের চেয়ে অনেক বেশি। কিন্তু স্থানীয় নির্বাচনে দেখা যায়, অশিক্ষিত হওয়া সত্ত্বেও কেউ কেউ কালো টাকা ও পেশী শক্তির বলে জনপ্রতিনিধি হওয়ার সুযোগ পায়। এটি আধুনিক সভ্য সমাজ নির্মাণের পথে বড় প্রতিবন্ধক। কেননা, অশিক্ষিত লোকরা কখনো জনগণের মৌলিক সমস্যার কথা সহজে বুঝতে পারে না। বিশ্বায়নের এ যুগে জনপ্রতিনিধি নির্বাচনের ক্ষেত্রে প্রার্থীর শিক্ষাগতযোগ্যতার বিষয়টি বিবেচনায় আনা উচিত। বিশ্বের সকল উন্নত রাষ্ট্রে জনপ্রতিনিধি নির্বাচনে উচ্চশিক্ষার যথাযথ মূল্যায়ন করা হয়ে থাকে। শুধু আমাদের স্বাধীন বাংলাদেশই এর ব্যতিক্রম। এই প্রেক্ষাপটে আমাদের নির্বাচন পদ্ধতির সংস্কার এখন সময়ের দাবি।
মো. নাজমুল আলম
মাগুড়াডাঙ্গী, পাংশা
রাজবাড়ী।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন