শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মহানগর

নারায়ণগঞ্জে ফিল্টার পানির ব্যবসা রমরমা

| প্রকাশের সময় : ২৫ মার্চ, ২০১৭, ১২:০০ এএম

নারায়ণগঞ্জ থেকে স্টাফ রিপোর্টার : সুপেয় পানির দুষ্প্রাপ্যতার সুযোগে নগর ও তার আশপাশের এলাকা জুড়ে বিস্তৃত হয়েছে ‘জার’ নামক প্লাস্টিক কন্টেইনার ভর্তি পানির রমরমা ব্যবসা। কমদামে বেশি পানির প্রলোভন দেখিয়ে চুটিয়ে ব্যবসা করছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। এক ধরনের অস্বচ্ছ ও প্লাস্টিকের কন্টেইনারে ভর্তি করে ‘মিনারেল ওয়াটার’ নামে বিক্রি করা হচ্ছে এ পানি। একটি জারে প্রায় ৪০ লিটার পানি থাকে। ৩০ থেকে ৪০ টাকায় পাওয়া যায় তা। এই পানির ব্যবসা ঘিরে গড়ে উঠেছে শক্তিশালী সিন্ডিকেট।
এই সিন্ডিকেট সদস্যরা পানি ফিল্টারিং করে জার ভর্তি করে। পরে জারের মুখ পাঞ্চিং মেশিন দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়। জানা গেছে, জারের পানি আদৌ পরিশোধন করা হয় না। সরাসরি ওয়াসার সাপ্লাই করা পানিতে ফিটকিরি ও দুর্গন্ধ দূর করার ট্যাবলেট মিশিয়ে তা কন্টেইনারে ভরে বাজারজাত করা হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই পানি বিশুদ্ধ নয়। এ ছাড়া প্লাস্টিক কন্টেইনার বেশিদিন ব্যবহার করলে কলিফর্ম নামক এক ধরনের জীবাণু তৈরি হতে পারে, যা মানব দেহের জন্য ক্ষতিকর।
অপরদিকে ওয়াসার পানি ব্যবহার করে অসন্তুষ্ট নগরবাসী। সেই সুযোগে বিশুদ্ধ ফিল্টার পানি বা স্বাস্থ্যকর পানি বলে বাজারে বোতলজাত, জারজাত পানি বিক্রি করছে বিভিন্ন কোম্পানি। ব্যবহারকারীসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সূত্রমতে এ পানিও অপরিচ্ছন্ন। অথচ তা প্রকাশ্যে কর্তৃপক্ষের সামনেই বিক্রি হচ্ছে চড়াদামে। অনেকেই অবৈধভাবে এ পানির ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন প্রকাশ্যে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডায়রিয়া-কলেরার সংক্রমণ ঘটছে পানিবাহিত জীবাণুর মাধ্যমে। গরমে মানুষের শরীরে পানির চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় তারা হাতের নাগালে যে পানি পায় সেটাই পান করে যা একেবারেই নিরাপদ নয়।
সারাদেশে বোতলজাত ও কনটেইনারে সরবরাহকৃত বিশুদ্ধ খাবার পানির নামে ভোক্তাদের সঙ্গে প্রকাশ্যে চলছে প্রতারণা। নারায়ণগঞ্জের তথাকথিত মিনারেল ওয়াটারের নামে যেসব বোতলজাত খাবার পানি দেদারসে বিক্রি হচ্ছে, হাতেগোনা দুএকটি বাদে এদের অধিকাংশই পান করার উপযুক্ত নয়।যারা এই ব্যবসা করছেন তারা বিশুদ্ধ পানির নামে সরাসরি ‘ডিপ টিউবওয়েল’ বা ওয়াসার সরবরাহকৃত পানি থেকে বোতল বা ঝাড়ে ভরে বাজারজাত করছে। চিকিৎসকরা বলছেন এসব পানি পান করার কারণেই নগরীর সাধারণ মানুষও শিল্পাঞ্চলের শ্রমিক শ্রেণির মধ্যে জন্ডিসের হার বেড়েছে।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন