এবি সিদ্দিক : ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ তারিখে ভারতে বাংলা দৈনিক আনন্দবাজারে অগ্নি রায়ের একটি রিপোর্ট ছিল পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতার ঢাকা সফরকে কেন্দ্র করে। তার আংশিক হলো: ‘গত তিন দিন ধরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সফরকে ঘিরে বাহ্যিক উচ্ছ¡াস, আন্তরিকতা এবং সৌজন্যের কোন অভাব ছিল না। আজকের বৈঠকেও দিদি শেখ হাসিনা তার বাসস্থান ‘গণভবনে’ ঢালাও আপ্যায়ন করলেন তার ছোট বোন মমতাকে। গত কাল মাঝরাতে ঐতিহাসিক শহিদ মিনারে শ্রদ্ধা জানানোর পর যেভাবে প্রোটোকলের তোয়াক্কা না করে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ছুটে গিয়েছিলেন একে অপরের দিকে আজ গোটা দিন সেই সুর বেজে গিয়েছে মমতার ফিরতি বিমান ধরা পর্যন্ত।’ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন ভারত সফরকে কেন্দ্র করে মমতা আবারো মুখ খুললেন। আনন্দবাজার পত্রিকায় প্রকাশিত রিপোর্টে বলা হয় (২৪ মার্চ): ‘মমতা বাংলাদেশকে ভালবাসেন, তার সঙ্গে সহযোগিতাতেও রাজি। কিন্তু তার জন্য রাজ্যের স্বার্থ-বিরোধী কোন কাজ তিনি করবেন না। তিস্তা চুক্তি প্রসঙ্গে এভাবেই ফের নিজের অবস্থান জানিয়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার এবিপি আনন্দে তিনি বলেন, এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তাকে রাজ্যের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিতেই হবে। মমতা আরও দাবি করেন, ‘শুনেছি ২৫ মে প্রধানমন্ত্রীর ঢাকা সফরে এমন একটা চুক্তি সই হবে। তবে আমাদের কেউ কিছু জানায়নি। সিকিমকে নিয়ে বৈঠকে বসার কথা ছিল। তারাও তো কিছু জানে না।’ তার অভিযোগ, মোদি সরকার রাজ্যকে কিছু না জানিয়েই নিজের মতো পদক্ষেপ করছে। যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে লঙ্ঘন করছে। মমতার দাবি, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার ব্যক্তিগত সম্পর্ক অটুট রয়েছে। অপরদিকে টিভি চ্যানেল এবিপি আনন্দকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে মমতা একথা স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন, তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি না হওয়ার কথা। চ্যানেলটির সিনিয়র এক্সিকিউটিভ এডিটর সুমন দের এক তিস্তা সম্পর্কিত প্রশ্নের উত্তরে মমতা জানান ‘রাজ্যের স্বার্থে যা করার আমি তাই করবো। আমি বাংলাদেশকে ভালবাসি। বাংলাদেশকে যতটা সাহায্য করার দরকার করবো কিন্তু সেটা রাজ্যকে বাঁচিয়ে।’ মমতা বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত সম্পর্ক খুব ভাল, রাজনৈতিক সম্পর্কও খুব ভাল। আর সে কারণেই ৬৬ বছরের পুরনো সমস্যা স্থলসীমান্ত সমস্যা মিটিয়ে ফেলেছি। কিন্তু সব কিছুতো আর পাওয়া যায় না। যেখানে রাজ্যের স্বার্থ রয়েছে সেখানে রাজ্যকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। কারণ আমি যেহেতু এ জায়গায় (মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্বে) আছি। মানুষতো আমাকে ধরবে। বাংলার স্বার্থে আমি মানুষের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা বা বেইমানি করতে পারি না। কিন্তু যেখানে আমি পারব এবং দুই দেশেরই ভাল হবে সেটা আমি অবশ্যই করব।’
১৯৭৫ সালে ফারাক্কা বাঁধ চালুর পর থেকে ভারত দুই দফায় কমপক্ষে ১০ বছর আন্তর্জাতিক পানি প্রবাহ গঙ্গা নদী থেকে একতরফাভাবে পানি প্রত্যাহার করে নিয়েছে। ১৯৭৫ সালের এপ্রিল থেকে ১৯৭৭ সালের নভেম্বর পর্যন্ত কোন চুক্তি বলবৎ ছিল না। এরপর আবার ১৯৮৮ সালে সমঝোতা স্মারকের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পর থেকে ১৯৯৬ সালের ডিসেম্বরে গঙ্গা চুক্তি স্বাক্ষরের আগ পর্যন্ত ভারত একতরফাভাবে পানি প্রত্যাহার করেছে। ভারতের এই পানি প্রত্যাহার ছিল সব আন্তর্জাতিক কনভেনশন ও আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। আমি বিশ্বাস করি, জাতিসংঘ কনভেনশন ১৯৯৭-এর ৫ ও ৭ ধারা অনুসারে ভারতের ওই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ এখনও তার আঞ্চলিক পরাশক্তির কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ দাবি করার অধিকার সংরক্ষণ করে। জেনারেল মইনের নেতৃত্বাধীন আধা সামরিক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত এক ভারসাম্যহীন নির্বাচনে ক্ষমতায় আসার ঠিক এক বছরের মাথায় ২০১০ সালের জানুয়ারিতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত সফরে যান। একতরফা কৃতজ্ঞতার ভারে ন্যুব্জ প্রধানমন্ত্রীর সেই সফর শেষে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ৫০ দফা বিশিষ্ট এক যৌথ ইশতেহার প্রকাশ করা হয়। যৌথ ইশতেহারের ২৭ নম্বর দফায় বলা হয় : ‘শুকনো মৌসুমে তিস্তার পানি প্রবাহের স্বল্পতার কারণে উভয় দেশের জনগণের দুর্ভোগের কথা স্বীকার করে তিস্তার পানি বণ্টন সংক্রান্ত বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার আলোচনা দ্রুত শেষ করার জন্য উভয় দেশের প্রধানমন্ত্রী মত দিয়েছেন। দুই প্রধানমন্ত্রী তাদের নিজ নিজ পানিসম্পদমন্ত্রীকে ২০১০ সালের এই ত্রৈমাসিকের মধ্যেই যৌথ নদী কমিশনের মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক আয়োজন করতে বলেছেন। যৌথ নদী কমিশনের বৈঠকে ফেনী, মনু, মুহুরী, খোয়াই, গোমতী, ধরলা ও দুধকুমার নদী প্রসঙ্গেও আলোচনা হবে।’ বাংলাদেশের জন্য দুর্ভাগ্যের ব্যাপার হলো, যদিও যৌথ ইশতেহারে তিস্তার পানি স্বল্পতার কারণে ভারত ও বাংলাদেশের জনগণের দুর্ভোগের কথা উল্লেখ করা হয়েছে, তবে এই তথ্য একেবারেই উল্লেখ করা হয়নি যে ভাটির দেশের জনগণের অধিকারকে উপেক্ষা করে একটি আন্তর্জাতিক নদীর ওপর দায়িত্বহীনভাবে একের পর এক বাঁধ দিয়ে এই পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য ভারতই দায়ী। যাই হোক, ২০১১ সালে ঢাকায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিংয়ের ফিরতি সফরের সময় তিস্তার পানি বণ্টন নিয়ে একটি আনুষ্ঠানিক চুক্তি হবে বলে আশা করেছিল বাংলাদেশ সরকার। অন্যদিকে সমগ্র বাংলাদেশের ওপর দিয়ে স্থল ট্রানজিট প্রোটোকল আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাক্ষরের জন্য খুবই উদগ্রীব ছিল ভারত। প্রধানমন্ত্রীর ভারতপন্থী উপদেষ্টাকুল আশায় ছিলেন যে, বাংলাদেশের দেশপ্রেমিক জনগণকে ধোঁকা দিয়ে তিস্তার পানি বণ্টন ও ট্রানজিট চুক্তির মতো একেবারেই আলাদা দুটি বিষয়ের মধ্যে এক প্রকার সংযোগ স্থাপনে হাসিনা সরকার সফল হবে। তবে তাদের এই অভিলাষ পূরণের পথে বাদ সাধেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। বাংলাদেশকে ন্যূনতম পানি দেয়ার ক্ষেত্রেও তিনি আপত্তি তোলেন। ফলে বর্তমান বাংলাদেশ সরকার ট্রানজিট চুক্তি স্বাক্ষর স্থগিত করতে বাধ্য হয়। আমাদের স্বাধীনতা অর্জনের পর থেকেই তিস্তার পানি বণ্টন নিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। ১৯৭২ সালে যখন যৌথ নদী কমিশন গঠন করা হয়, তখনও স্পর্শকাতর ও জনগণের প্রত্যাশা বিবেচনায় প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ে গঙ্গা ও তিস্তার পানি বণ্টন ইস্যুর মীমাংসা করার সিদ্ধান্ত হয়। দুর্ভাগ্যজনকভাবে শেখ মুজিবের সাড়ে তিন বছরের শাসনকালে কোনো ইস্যুরই মীমাংসা হয়নি। অন্যদিকে ভারতকে একতরফাভাবে ফারাক্কা বাঁধ চালুর অনুমতি দেয়ায় আমাদের জাতীয় স্বার্থের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। পাকিস্তান থেকে স্বাধীনতা অর্জনের পরও ভারত তিস্তা সমস্যার সমাধানে কোনো আগ্রহ দেখাচ্ছে না। এ প্রসঙ্গে ২০০১ সালের ১২ জানুয়ারি বাংলাদেশের তৎকালীন পানিসম্পদমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক যৌথ নদী কমিশনের ৩৪তম বৈঠকের সূচনাতে যে বক্তব্য দিয়েছিলেন তার উদ্ধৃতি দিচ্ছি : ‘১৯৯৭ সালের জুলাইয়ে কমিশনের ৩২তম বৈঠকে তিস্তাকে অগ্রাধিকার দিয়ে দু’দেশের সকল অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন নিয়ে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি প্রণয়নের লক্ষ্যে কাজ করার জন্য একটি যৌথ বিশেষজ্ঞ কমিটি (জেসিই) গঠন করা হয়েছে। ১৯৯৭ সালে জেসিইর প্রথম বৈঠকে সাতটি নদী নিয়ে আলোচনায় মতৈক্য হয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এর মধ্যে তিস্তাকে অগ্রাধিকার দিয়ে প্রথম দফায় তিস্তা, মনু, খোয়াই, গোমতী, মুহুরী, ধরলা ও দুধকুমার নদীর পানি বণ্টন নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা ছিল। আমি জানতে পেরেছি যে, এরপর ১৯৯৯ ও ২০০০ সালে জেআরসির মাত্র দুটি বৈঠক হয়েছে। জেআরসি গঠনের পর তিন বছরের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও তিস্তার পানি বণ্টন সংক্রান্ত কোনো প্রস্তাব কমিশনের (জেআরসির) নিকট জেসিই পেশ করতে পারেনি। বাদবাকি নদীগুলোর প্রসঙ্গ আলোচনার বাইরেই রাখলাম।’ বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের বিরাট অংশ তিস্তার পানি প্রবাহের ওপর নির্ভরশীল। তিস্তার ওপর ভারত ও বাংলাদেশে বাঁধ চালু রয়েছে। কোনো পানি বণ্টন চুক্তি না থাকায় বাংলাদেশের তিস্তা বাঁধ প্রকল্প পানি স্বল্পতায় ধুঁকছে। তিস্তার পানি প্রবাহও মারাত্মকভাবে কমে গেছে। স্বাভাবিকভাবে জানুয়ারির প্রথম ১০ দিনে যেখানে ৭,০০০ কিউসেক পানি প্রবাহিত হওয়ার কথা ছিল, সেখানে এ বছর ওই সময়ে প্রবাহিত হয়েছে মাত্র ৬০০ কিউসেক পানি। তিস্তার পানি বণ্টন নিয়ে দু’দেশের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। এ ব্যাপারে আরও বিলম্ব একেবারেই সহনীয় নয়। এ প্রসঙ্গে উল্লেখ করা যেতে পারে যে, সেই ১৯৭২ সাল থেকেই তিস্তার প্রসঙ্গ নিয়ে দু’দেশের মধ্যে আলোচনা চলছে। আওয়ামী লীগ নেতা মরহুম আবদুর রাজ্জাক নিজ দলের মধ্যেও গোঁড়া ভারতপন্থী রাজনীতিক হিসেবে পরিচিত ছিলেন। উপরে উদ্ধৃত বক্তৃতায় তিস্তা ইস্যুতে তার ব্যক্তিগত হতাশা স্পষ্টতই প্রতিফলিত হয়েছে। অন্যদিকে সিকিম থেকে বাংলাদেশের উপকূলের পথে তিস্তার দীর্ঘ ৪০০ কিলোমিটার জুড়ে ভারত মর্জিমাফিক বাঁধ নির্মাণ করে চলেছে। এর মধ্যে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গে গজলডোবার ওপর তিস্তা বাঁধ, সিকিমে দুটি জলবিদ্যুৎ বাঁধ একটি কুলেখানিতে ও অন্যটি আরও উজানের দিকে। ভারত সরকার তিস্তার ওপর নতুন বাঁধ নির্মাণের পরিকল্পনা করছে। একের পর এক বাঁধ নির্মাণের প্রতিক্রিয়ায় পানি প্রবাহে মারাত্মক বিঘœ ঘটেছে। এর ফলে নদীতে পলি জমেছে, নদীর গতিপথ পরিবর্তিত হয়েছে, ভাঙন তীব্রতর হয়েছে এবং পানি প্রবাহ মারাত্মকভাবে কমে গেছে। উজানে বাঁধ দিয়ে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ তিস্তা ও মহানন্দার প্রায় সব পানিই প্রত্যাহার করে নিচ্ছে। এক সময়ের প্রমত্তা তিস্তা এখন কার্যত একটি মৃত নদীতে পরিণত হয়েছে। শুকনো মৌসুমে গজলডোবা পয়েন্ট দিয়ে এখন ৫০০ কিউসেকেরও কম পানি আসছে। এমতাবস্থায় ভারতের অব্যাহত লুণ্ঠনের ইতিহাস ও বর্তমানে নদীর দুরবস্থা আমলে না নিয়ে যদি কোনো পানিবণ্টন চুক্তি করা হয়, তাতে কার্যত আমাদের পরাক্রমশালী প্রতিবেশীর দীর্ঘদিনের অপকর্মকেই অনুমোদন দেয়া হবে এবং বাংলাদেশের জনগণের ন্যায়সঙ্গত স্বার্থ জলাঞ্জলির বিনিময়ে কেবল বর্তমান ক্ষমতাসীনদের রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিল হবে। তিস্তার পানি প্রত্যাহারের মাধ্যমে ভারত বার্লিন রুলস ২০০৪-এর ১২ ও ১৩ ধারা স্পষ্টতই লঙ্ঘন করেছে। এই দুটি ধারায় পানির ন্যায়সঙ্গত ও যুক্তিসঙ্গত ব্যবহারের নীতি ব্যাখ্যা করা হয়েছে। মুমূর্ষু তিস্তার বাস্তব অবস্থা বিবেচনা করে আমাদের জনগণের দুর্ভোগ আংশিক লাঘবের জন্য বাংলাদেশের সামনে এখন দুটি পথ খোলা রয়েছে : ১. তিস্তার ওপর গজলডোবা ও অন্যান্য বাঁধ নির্মাণের আগে পানি প্রবাহের ঐতিহাসিক রেকর্ডের ভিত্তিতে পানি বণ্টনের আলোচনা করতে হবে। ২০০১ সালের জেআরসির বৈঠকে আবদুর রাজ্জাক যে বিবৃতি দিয়েছিলেন, তাতেও স্পষ্ট; নদীর বর্তমান যে অবস্থা তাতে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে বণ্টন করার মতো আদৌ কোনো পানি অবশিষ্ট নেই। ২. জাতিসংঘ কনভেনশন লঙ্ঘন করে আন্তর্জাতিক নদীর পানি একতরফা ব্যবহারের মাধ্যমে নদী হত্যার দায়ে ভারতের বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণ দাবি করতে হবে।
লেখক: সাংবাদিক
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন