স্টাফ রিপোর্টার : সংসদ নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের দিকে যেতেই হবে। এ যন্ত্র ব্যবহারে এটা একদিকে যেমন অর্থ সাশ্রয়ী তেমনি ফলাফল প্রকাশও দ্রæত করা যায়। তবে আগামী সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার সম্ভব নয়। কেননা, এই ভোটযন্ত্রের প্রতি রাজনৈতিক দল ও জনগণের এখনও আস্থা তৈরি হয়নি। আর এজন্য সময়ের প্রয়োজন। সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ড. এটিএম শামসুল হুদা গতকাল শনিবার বাংলাদেশ ফিল্ম ডেভেলপমেন্ট করপোরেশনের (বিএফডিসি) আট নম্বর ফ্লোরে আয়োজিত এক ছায়া সংসদে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। ছায়া সংসদটি দুইটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে আয়োজন করে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি (ডিএফডি)।
ড. এটিএম শামসুল হুদা বলেন, পরীক্ষামূলকভাবে স্থানীয় সরকারের নির্বাচনসহ কয়েকটি নির্বাচনে আগামী কয়েক বছর ইভিএম এর ব্যবহারের মাধ্যমে ভোটারদেরকে এ প্রক্রিয়ার সাথে পরিচিত করতে হবে। বর্তমানে বিশ্বের ২৭টি দেশে ইভিএম এর মাধ্যমে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তবে এ মেশিনের গঠন ও প্রকৃতিতে ভিন্নতা রয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর ফলাফল গ্রহণ না করার মানসিকতা দুঃখজনক। একই সাথে বিজয়ীরা রাষ্ট্র ও সমাজের সবকিছুর ওপর একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ নিয়ে থাকে তাই কেউ হেরে যাওয়ার ঝুঁকি নিতে চায় না। তাই আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতির ইতিবাচক পরিবর্তন প্রয়োজন।
সভাপতির বক্তব্যে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, গণতন্ত্র ও সুশাসন ছাড়া উন্নয়ন টেকসই করা করা যায় না। আর গণতন্ত্রের পূর্বশর্ত হলো একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন। ইভিএম -এর ব্যবহার সেই সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে পারে কি না সেটিই এখন দেখার বিষয়।
ছায়া সংসদে সরকারি দল বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অব ফ্যাশন এন্ড টেকনোলজি বিরোধী দল ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিকে পরাজিত করে। অনুষ্ঠান শেষে বিতার্কিকদের ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়। বিতর্ক অনুষ্ঠানে বিচারক ছিলেন অধ্যাপক আবু রইস, ড. এস এম মোর্শেদ এবং মোস্তাফিজুর রহমান খান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন