মঙ্গলবার, ০৯ জুলাই ২০২৪, ২৫ আষাঢ় ১৪৩১, ০২ মুহাররম ১৪৪৬ হিজরী

নিবন্ধ

বিচারপতি এস.এম. মুর্শেদ

| প্রকাশের সময় : ৩ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম


মাহবুবুর রশীদ


It is excellent to have a giant’s strength/but it is tyrannous to use it like a giant. শেকসপিয়রের এই উক্তিটি বিচারপতি মুর্শেদের খুবই প্রিয়। আমি তার একাধিক রায়ে এই উক্তিটি পড়েছি। এই উক্তির শাব্দিক অর্থ হলো যে, দানবের মতো শক্তি থাকাটা খুব ভালো। কিন্তু দানবের মতো সেই শক্তির প্রয়োগকে অত্যাচার বা নিপীড়ন বলা চলে। এর অন্তর্নিহিত মানে খুঁজতে হলে একটু গভীরভাবে ভাবতে হবে। যে কোনো ব্যক্তি যদি অসীম ক্ষমতার অধিকারী হন, সেটা নিঃসন্দেহে তার জন্য গর্বের এবং গৌরবের। দানব শক্তি প্রয়োগ করলে তা হয় বিবেক এবং কান্ড জ্ঞানহীন। তাই এখানে এই সতর্কবাণী উচ্চারিত হয়েছে যে, এই ক্ষমতা প্রয়োগ করতে হবে সংযত এবং সংযমের সঙ্গে। ক্ষমতা তাকে যেন অন্ধ এবং বধির না করে।
বিচারপতি মুর্শেদের উপরোক্ত উক্তির প্রতি অনুরাগই বুঝিয়ে দেয় তার জীবনের আদর্শ কি? সংযম, বিনয়, উদারতা এবং ক্ষমতার প্রতি অনাগ্রহ এসবই তার জীবনের দর্শন। ক্ষমতা তার কাছে যতটুকু এসেছে, তিনি তা সংযমের সঙ্গে প্রয়োগ করেছেন। ক্ষমতার পেছনে ছোটেননি। তাই তিনি পুতুল রাষ্ট্রপতি বা উপদেষ্টা/মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেননি বা করতে চাননি।
বিচারপতি মুর্শেদের পূর্ব পুরুষের কিঞ্চিত পরিচয় তুলে ধরছি। পিতৃক‚ল আমাদের নবী করিমের স্নেহের নাতি হজরত ইমাম হোসেনের বংশধর। মুঘল সম্রাট শাহজাহানের আমলে তারা মুর্শিদাবাদ বসবাস শুরু করেন। এই বংশেরই বিখ্যাত জুরিস্ট মুফতি সৈয়দ আলী রাশেদ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শুরুর দিকে সদর দেওয়ানি আদালতের প্রধান ছিলেন। বিচারপতি মুর্শেদের পিতা সৈয়দ আব্দুস সালেক মেধাবী ছাত্র ছিলেন। তিনি বেঙ্গল সিভিল সার্ভিসে যোগদান করে বগুড়া এবং দিনাজপুরের জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্ব পালন করেন। শেরেবাংলা এ. কে. ফজলুল হকের বোন আফজালুন্নেসা বেগম বিচারপতি মুর্শেদের মাতা। শেরেবাংলার পরিবার মহান মুসলিম সেনাপতি খালিদ বিন ওয়ালিদের বংশধর বলে দাবি করা হয়। তারা বাখেরগঞ্জ জেলার প্রতিষ্ঠাতা নবাব আগা বাকেরের উত্তরসূরি। উভয়ক‚ল পর্যালোচনা করলে এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, বিচারপতি মুর্শেদ অতীব গৌরবময় পারিবারিক ঐতিহ্যের অধিকারী।
১৯২৬ সালে বিচারপতি সৈয়দ মাহবুব মুর্শেদ রাজশাহী বিভাগের ভেতর প্রথম স্থান দখল করে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বগুড়া জিলা স্কুল থেকে প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। ১৯৩০ সালে কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে অর্থনীতিতে অনার্সসহ বিএ পাস করেন। এরপর একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৩২ ও ১৯৩৩ সালে যথাক্রমে এমএ এবং এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন। শেষোক্তটিতে প্রথম শ্রেণি। ১৯৩৯ সালে লিংকনস্্ ইন থেকে বার এট-ল’ ডিগ্রি লাভ করেন। এস.এম. মুর্শেদের যে পারিবারিক পটভূমি তাতে তার এই শিক্ষাগত অর্জনকে আমরা স্বাভাবিক বলে মনে করতে পারি। এই পরিবেশ উপযুক্ত সুযোগ-সুবিধা এবং তদারকিতে এরকম ফলাফল হওয়ার কথা। কিন্তু আমরা মুর্শেদের প্রতিভা, স্বাতন্ত্র্য ও দেশপ্রেমের পরিচয় পাব তার পরবর্তী কাজকর্মে।
বিলেতে থাকাকালে তিনি লন্ডন স্কুল অব ইকনোমিক্সের প্রখ্যাত অধ্যাপক হ্যারন্ড লাস্কি, বৃটিশ কমিউনিস্ট পার্টির রজনী পাম দত্ত এবং কৃষ্ণ মেননের সংস্পর্শে আসেন। তখন তিনি ইংরেজদের প্যালেস্টাইন নীতির সমালোচনা করে একটি নিবন্ধ লেখেন এবং তার সঙ্গে প্যালেস্টাইনের গ্রান্ড মুফতি আমিন আল হোসেইনির সঙ্গে যোগাযোগ ছিল।
দেশে ফিরে কলকাতা হাইকোর্টে ব্যারিস্টারি পেশায় যোগ দেন। তিনি প্রখ্যাত রাজনীতিক হুমায়ন কবির এবং আবুল মনসুর আহমদের সঙ্গে যোগাযোগ করে কংগ্রেস এবং প্রজা পার্টির জোট সরকার গঠনের চেষ্টা করেন। বাংলার কংগ্রেস নেতাদের জঙ্গি মনোভাবের জন্য এটা সম্ভব হয়নি। কিন্তু এখানে আমরা বিচারপতি মুর্শেদের যে পরিচয় পেলাম, তা হলো তিনি অনেকটা রাজপরিবারের সদস্যের মতো, অথচ তিনি এসেছিলেন সাধারণ মানুষের রাজনীতি করতে, তাদের কথা বলতে। চল্লিশ দশকের মাঝামাঝি সময় মুসলিম মজলিস নামে একটি প্রগতিশীল সংগঠনের জন্ম হয়। বিচারপতি মুর্শেদ এতে যোগদান করেন। ভারত বিভাগ যখন অনিবার্য হয়ে ওঠে, তখন আবুল হাশেমের নেতৃত্বে একটি দল তৎকালীন বাংলার প্রধানমন্ত্রী হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর সঙ্গে আলোচনা করেন স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলা গঠনের জন্য। এই আলোচনায় বিচারপতি মুর্শেদ এবং তার শ্বশুর কে এম জাকারিয়াও ছিলেন। এখানে উল্লেখ্য, কে এম জাকারিয়া কংগ্রেসের সদস্য এবং ১৯৩৮ সালে কলকাতা কর্পোরেশনের মেয়র ছিলেন। বৃটিশরা স্বায়ত্তশাসন প্রদানের পর ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত বাংলায় যে তিনজন প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন, তারা সবাই মুসলমান, কেননা বাংলায় মুসলমানরা সংখ্যাগরিষ্ঠ ছিল। তা সত্তে¡ও অবাঙালির হাতে নেতৃত্ব উঠিয়ে দিয়ে তৎকালীন রাজনৈতিক নেতারা তাদের নেতৃত্বের দেউলিয়াপনা প্রমাণ করেছেন। নেতৃত্ব বাংলার নেতাদের হাত থাকলে বাংলা ভাগ অনিবার্য হলেও আমরা পাকিস্তানের সংখ্যাগরিষ্ঠ, সেই হিসাবে পাকিস্তানের রাজধানী করাচি না হয়ে ঢাকায় হতে পারত। আমরা পাকিস্তানি শোষণের শিকার হতাম না।
ভারত বিভাগের পর তিনি ঢাকা হাইকোর্ট বারে যোগদান করেন। তিনি মহান ভাষা আন্দোলনে অংশ নেন। ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্ট যে ২১ দফার অঙ্গীকার করে নির্বাচন করে, তিনি সেই ২১ দফা প্রণয়নকারীদের অন্যতম। বাংলা সংস্কৃতিতে বিচারপতি মুর্শেদের অনন্য অবদান হলো, ১৯৬১ সালে রবীন্দ্র জন্মশতবার্ষিকীতে উদযাপন কমিটিতে নেতৃত্ব প্রদান। আয়ুব খান ১৯৫৮ সালের ৭ অক্টোবর প্রথম সামরিক আইন জারি করে প্রধান সামরিক শাসক হন। এরপর একই মাসের ২৭ তারিখে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ইস্কান্দার মির্জাকে নির্বাসিত করে দেশের প্রেসিডেন্ট হন। যা হোক আইয়ুব খান ক্ষমতায় এসে সকল দেশপ্রেমিক প্রগতিশীল রাজনীতিককে জেলে ঢুকিয়ে দেন। আর যারা বাইরে থাকেন তারা যেন রাজনীতি না করেন, তার জন্য এবডো (Elected Bodies Disqualification Ordinance) জারি করে তাদের পঙ্গু করার চেষ্টা করেন। এহেন শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতিতে আসে রবীন্দ্র জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের তিথি। আমরা লক্ষ্য করেছি যে, খানদানি মুসলমানদের বাংলা সংস্কৃতির প্রতি উদাসীন্য ছিল। ঢাকার নবাবক‚লের খাজা শাহাবুদ্দিন তো পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী হয়ে রেডিও টিভিতে রবীন্দ্র সংগীত বন্ধ করে দেন। ১৯৬১ সালের এই কৃষ্ণ সময়ে বিচারপতি মুর্শেদ বাঙালি সংস্কৃতির প্রভা হিসেবে দেখা দেন। তিনি রবীন্দ্র জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন কমিটির সভাপতির পদ নির্ভীক চিত্তে গ্রহণ করেন। জেনারেল সেক্রেটারি হন অধ্যাপক খান সারওয়ার মোর্শেদ। বিচারপতি মুর্শেদ একক প্রচেষ্টায় পুরো অনুষ্ঠানের অর্থ সংগ্রহ করেন। তার এই ভ‚মিকার জন্য তিনি ইতিহাসে অনন্য স্থান দখল করে আছেন।
এক্ষণে আমরা আলোচনা করব বিচারক হিসেবে বিচারপতির অর্জন। এখানে উল্লেখ্য যে, ১৯৫৫ সালে তিনি ঢাকা হাইকোর্টের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন। ১৯৬৩ সালে তার দেয়া আব্দুল হক বনাম ফজলুল কাদের চৌধুরী গং-এর শাসনতান্ত্রিক একটি মামলার রায় এক বিরাট বিস্ফোরণ। আয়ুব খান এসে যে অপ্রতিহত ক্ষমতা চালিয়ে যাচ্ছিলেন, এই রায় তার রাশ টেনে দরে। অন্তত শাসনতন্ত্র নিয়ে ক্ষমতার অপব্যহার বন্ধ হয়। এটি একটি দীর্ঘ রায়। পড়লে বোঝা যায় কোথাও কোনো আবেগ বা রাজনৈতিক বক্তব্য নেই। শাসনতান্ত্রিক প্রশ্নের উত্তর খোঁজা হয়েছে আইনের যৌক্তিক ব্যাখ্যার মাধ্যমে। এটা ঠিক যে উচ্চ বিচারালয়ের বিচারকদের মৌলিক চিন্তাভাবনা, বিচার বিশ্লেষণ এবং তার প্রয়োগের নির্দেশ দেয়ার সুযোগ রয়েছে। তবে তা যৌক্তিক এবং সর্বসাধারণের গ্রহণযোগ্য হওয়া বাঞ্ছনীয়। নইলে হাস্যকর হয়ে দাঁড়াবে। যেমন পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি মুনীর আইয়ুব খানের সামরিক অভ্যুত্থান সম্পর্কে বলেছিলেন, সামরিক অভ্যুত্থান সফল হলে তা বৈধ। অর্থাৎ জবরদখল করে মালিকানা পেতে তা বৈধ। কিন্তু বিচারপতি মুর্শেদের দেয়া রায়টি পড়লে বোঝা যাবে বিচারক হিসেবে তার প্রজ্ঞা ও নিষ্ঠা বাংলাদেশের শাসনতান্ত্রিক ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অংশ এই রায়টিতে প্রতিফলিত হয়েছে। এছাড়া ষাটের দশকে আরো কিছু ঐতিহাসিক রায় এসেছে। যেমন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন মামলা, অধ্যাপক মাহমুদ, ঢাকার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ইত্যাদি। এসব রায় পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্ট বহাল রাখে।
 ১৯৬৫ সালে পাকিস্তান-ভারত কাশ্মীর ইস্যুকে কেন্দ্র করে যুদ্ধ করে। ৬ সেপ্টেম্বর যুদ্ধ শুরু হয়। যুদ্ধ লাগার সঙ্গে সঙ্গে পাকিস্তান সরকার Defence of Pakistan rules নামে এক অধ্যাদেশ জারি করে। এর অধীনে বাঙালি দেশপ্রেমিক বিশেষ করে সংখ্যালঘুদের নির্বিচারে ধরপাকড় করা হয়। এসব বন্দির প্রথম একটি ব্যাচ ছাড়া পায় বিচারপতি মুর্শেদের রায়ের ফলে। রায়টি দেয়া হয় ১০ জানুয়ারি  তাসখন্দ চুক্তির পূর্বে। তৎকালীন সোভিয়েতের প্রধানমন্ত্রী কোসিগিনের নেতৃত্বে পাকিস্তান এবং ভারতের মধ্যে শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এই প্রথম ব্যাচের ভিতর বর্ষীয়ান নেতা ধীরেন্দ্রনাথ দত্তও ছিলেন। আইয়ুব-মোনেম খানের সরকার ধীরেন্দ্রনাথ দত্তকে দেশের শত্রু হিসেবে গণ্য করে গ্রেফতার করেছিল ১৯৬৫ সালে। আর সেই মহান নেতা একাত্তর সালে কুমিল্লা শহরের বাড়ি থেকে না পালিয়ে পাক বাহিনীর হাতে ধরা পড়েন। নিষ্ঠুর অত্যাচার করে তাকে হত্যা করা হয়। জীবন দিযে প্রমাণ করলেন তিনি দেশকে কত ভালোবাসেন। এই ধীরেন্দ্রনাথ ১৯৪৮ সালে করাচিতে প্রথমবারের মতো গণপরিষদে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবি তুলেছিলেন।
ন্যায়বিচার ও সত্য প্রতিষ্ঠার জন্য বিচারপতি এমন একটা ইমেজ গড়ে তুলেছিলেন যার আলো ছড়িয়ে উদ্ভাসিত করেছিল গোটা হাইকোর্টকে। অনুপ্রেরণা জুগিয়েছিল অন্যদের। বিচারপতি মুর্শেদের বর্ণাঢ্য ও ঘটনাবহুল বিচারকের দায়িত্বের পরিসমাপ্তি ঘটে যখন ১৯৬৭ সালে পূর্ব পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি হিসেবে পদত্যাগ করেন। ১৯৬৮ সালের শেষে আইয়ুব-মোনেম দুঃশাসনের বিরুদ্ধে গণঅভ্যুত্থান শুরু হয়। আইয়ুব তার পতন আসন্ন দেখে গোলটেবিল বৈঠকের আহ্বান  করে সকল রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করার জন্য। এখানেও তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রাখেন। ১৯৭১ সালে তিনি ঢাকা ছেড়ে চলে যাননি কিন্তু পাক সরকার তার নিকট থেকে সামান্যতম ফায়দাও নিতে পারেনি। ক্ষুদ্রতম একটা বিবৃতি তাকে দিয়ে দেয়া যায়নি।
১৯৭৪ সালে যখন বাংলাদেশকে ইসলামিক সম্মেলন (ওআইসি) যোগদানের আহ্বান জানানো হয়, তখন তিনি কোনো পূর্বশর্ত ছাড়াই এই সম্মেলনে যোগদানের পরামর্শ দেন। আবার একই সঙ্গে তিনি বাংলাদেশকে তার প্রতিবেশীদেরকে নিয়ে বৃহত্তর ঐক্য এবং পারস্পরিক সহযোগিতা গড়ে তোলার পরামর্শ দিয়েছিলেন। উপমহাদেশের সকল রাষ্ট্রকে নিয়ে গড়ে ওঠা সার্ক সেই লক্ষ্যে এগোতে চেষ্টা করছে। তিনি খোলাখুলিভাবে বঙ্গবন্ধুকে বাকশাল না করার উপদেশ দিয়েছিলেন।
দীর্ঘদিন রোগ ভোগের পর ১৯৭৯ সালের ৩ এপ্রিল তিনি মারা যান। ষাটের দশকে বিচারপতি মুর্শেদের কী ইমেজ ছিল, তা এখনকার কেউ কল্পনা করতে পারবে না। স্বাধীন বাংলাদেশে কেন আমরা তাকে অধিকতর দায়িত্ব দিয়ে কিছু নিতে পারলাম না, তা বোধগম্য নয়। তবে এতে তো আর তার ক্ষতি হয়নি। হয়েছে আমাদের। আমরা সংকীর্ণতার পরিচয় দিয়েছি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন