ড্যানিয়েল এসপিনোসা পরিচালিত সায়েন্স ফিকশন থ্রিলার ফিল্ম ‘লাইফ’। ‘চাইল্ড ফর্টিফোর’ (২০১৫), ‘সেইফ হাউস’ (২০১২), ‘ইজি মানি’ (২০১০), ‘আউটসাইড লাভ’ (২০০৭) এবং ‘বেবিলনস্কুজান’ (২০০৪) এসপিনোসা পরিচালিত চলচ্চিত্র।
ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন মহাশূন্যে এমন এক জায়গা যেখানে পৃথিবীর সব জাতি তাদের মিশন পরিচালনা করতে পারে। ছয় ক্রু সদস্যের মধ্য সেখানে অবস্থা করছিল মার্কিন মেডিক্যাল অফিসার ডেভিড জর্ডান (জেক জিলেনহাল), ব্রিটিশ কোয়ারেন্টিন অফিসার মিরেন্ডা নর্থ (রেবেকা ফার্গুসন), মার্কিন পাইলট রয় অ্যাডামস (রায়েন রেনল্ডস), জাপানি সিস্টেম এঞ্জিনিয়ার শো মুরাকামি (হিরোউয়ুকি সানাদা), ব্রিটিশ জীববিজ্ঞানী হিউ ডেরি (আরিয়োন বাকারে) এবং রুশ কমান্ডার কাটেরিনা গোলোভকিনা (অন্ডা দিহোভিচনায়া)। মঙ্গল পৃষ্ঠে পাঠানো একটি রোভার যান যখন সেখানে প্রাণের অস্তিত্ব খুঁজে পায় তাদের চেয়ে উৎফুল্ল আর কেউ ছিল না। পৃথিবী নামের গ্রহের বাইরে এই প্রথম প্রাণের সন্ধান পাওয়া গেল। তারা বদ্ধ একটি পাত্রে করে সেই সপ্রাণ এককোষী বস্তুটিকে স্পেস স্টেশনে নিয়ে আসে। স্বাভাবিকভাবে জীববিজ্ঞানী হিউ ডেরির ওপর ভার পড়ে সেই প্রাণটিকে প্রাথমিকভাবে পরীক্ষা করে দেখার। সেটির গতিবিধি আর আচরণ দেখে নিরাপদ বলেই প্রথমে মনে হয়। সেটির সংস্পর্শে যাবার পরই শুরু হলো বিপদের। সেটি ডেরিকে আক্রমণ করে বসে। এই আকস্মিক আক্রমণে নভোচারীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। তাদের প্রাথমিক পরিকল্পনায় ছিল সেটিকে পৃথিবীপৃষ্ঠে নিজে গবেষণা করা হবে। এই আক্রমণের পর সেই সিদ্ধান্ত নিয়ে তাদের মধ্যে সংশয়ের সৃষ্টি হয়। পৃথিবীতে আনলে এই প্রাণটিই যদি বিশাল বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়ায় তখন তা রুখবে কে? এই প্রাণটির কারণেই কী সম্ভাব্য মঙ্গলে প্রাণের অস্তিত্ব লোপ পেয়েছিল? তারা নিজেরাই কি এটির হাত থেকে রক্ষা পেয়ে পৃথিবীতে ফিরতে পারবে?
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন