মঙ্গলবার, ০৯ জুলাই ২০২৪, ২৫ আষাঢ় ১৪৩১, ০২ মুহাররম ১৪৪৬ হিজরী

নিবন্ধ

চিঠিপত্র : মেয়াদোত্তীর্ণ সিএনজি সিলিন্ডার নিষিদ্ধ করুন

| প্রকাশের সময় : ৮ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েন, সিএনজিচালিত গাড়িতে ব্যবহৃত সিলিন্ডারের প্রায় ৮৮ শতাংশই রিটেস্টও মেয়াদোত্তীর্ণ। রাজধানীসহ দেশব্যাপী বৈধ ও অনুমোদিত সিএনজি কনভার্সন সেন্টার রয়েছে ১৮০টি। সিএনজিচালিত গাড়ির রিটেস্ট করার জন্য কেন্দ্র রয়েছে মাত্র ১১টি। এত কমসংখ্যক কেন্দ্রের পক্ষে কিছুতেই ২ লাখ ৯৮ হাজার গাড়ির সিলিন্ডার রিটেস্ট করা সম্ভব নয়। এসব কেন্দ্রে এ পর্যন্ত মাত্র ৫৪ হাজার সিএনজি সিলিন্ডার রিটেস্টিং করা হয়েছে যা মোট সিলিন্ডারের মাত্র ১২ ভাগ। বৈধ বা অবৈধভাবে গাড়িতে সংযোজত আড়াই লক্ষাধিক সিএনজি সিলিন্ডার এখন জানমালের জন্য ভয়ঙ্কর হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। সড়ক-মহাসড়কে চলন্ত অবস্থায় প্রায়ই গাড়ির গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হচ্ছে, দুর্ঘটনায় যানবাহন ভস্মীভ‚ত হওয়াসহ প্রাণহানিও ঘটছে অহরহ।
প্রতিটি গাড়ির সিলিন্ডার পুনঃপরীক্ষা ও সিএনজি সিস্টেম পরীক্ষা এবং সিএনজি ফিলিং স্টেশনের বার্ষিক নিরাপত্তা জরিপ আইনগতভাবে বাধ্যতামূলক হলেও তা প্রতিপালন হচ্ছে না। একটি সিএনজি সিলিন্ডারের মেয়াদ ৫ বছর। এরপর সিলিন্ডারটি রিটেস্টিং করা হয়। রিটেস্টিংয়ে সিলিন্ডারটি গাড়ির জন্য উপযুক্ত হলে আরো ৩ বছর ব্যবহার করা হয়। গাড়ির ফিটনেস পরীক্ষায় সিলিন্ডার রিটেস্টিংয়ের বিধানযুক্ত করার পরও রিটেস্টিংয়ের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে না।
সিএনজি সিলিন্ডারে প্রতি বর্গ ইঞ্চিতে তিন হাজার পাউন্ড চাপে গ্যাস দেওয়া হয় এবং গ্যাস পূর্ণ করার সময় সিলিন্ডার ও গ্যাস উত্তপ্ত অবস্থায় থাকে। সিলিন্ডার যথাযথ না হলে বড় ধরনের অঘটন ও প্রাণহানি ঘটতে পারে। বাস-ট্রাকে ছয় থেকে আটটি সিলিন্ডার থাকে বলে বিস্ফোরণের ঝুঁকিও বেশি। ট্রাফিক আইন বাস্তবায়নে শিথিলতার সুযোগে গাড়ির মালিকরা মেয়াদোত্তীর্ণ সিএনজি সিলিন্ডার ব্যবহার করছেন। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সকর মহল থেকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ এবং সচেতনতা বৃদ্ধি একান্ত আবশ্যক।
ইফতেখার আহমেদ টিপু
ঢাকা।

মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের জাতীয় রেজিস্ট্রেশন প্রদান প্রসঙ্গে
সঠিক রোগনির্ণয়, রেডিও এবং ফিজিওথেরাপিসহ স্বাস্থ্য খাতে মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের অবদান অনস্বীকার্য। দেশে প্রতি বছর আটটি সরকারি ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজি (আইএইচটি) এবং শতাধিক বেসরকারি আইএইচটি থেকে পাঁচ হাজারের বেশি মেডিকেল টেকনোলজিস্ট বের হচ্ছে। পাস করা মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের একাংশ ঢাকা, চট্টগ্রাম ও রাজশাহীতে উচ্চশিক্ষা নিয়ে বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অল্প বেতন চাকরি করছে। আর বাকি অংশ মানবেতর জীবনযাপন করছে বেকারত্বের অভিশাপ নিয়ে। অবাক হবার মতো বিষয় হলো মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের রেজিস্ট্রেশন করার জন্য সরকারি নিয়ন্ত্রণাধীন কোনো সংস্থা বা কাউন্সিল নেই। যদিও চিকিৎসক বা মেডিকেল অ্যাসিসটেন্টকে বিএমডিসি, নার্সদের বিএনসি এবং ফার্মাসিস্টদের পিসিবি থেকে রেজিস্ট্রেশন প্রদান করা হয়। মধ্যপ্রাচ্যে এবং আফ্রিকায় বাংলাদেশি মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের জন্য রয়েছে প্রচুর সম্ভাবনা। কিন্তু বাংলাদেশ মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের জাতীয় রেজিস্ট্রেশন না থাকায় মধ্যপ্রাচ্য কিংবা আফ্রিকায় সে সব দেশের লাইসেন্সের জন্য আবেদন করতে পারে না। কারণ তাদের নিয়মানুযায়ী প্রত্যেক আবেদনকারীর স্ব-স্ব দেশের জাতীয় রেজিস্ট্রেশন প্রদান করা হলে হ্রাস পাবে ভুয়া সার্টিফিকেধারী মেডিকেল টেকনোলজিস্ট, পাশাপাশি বাংলাদেশের মেডিকেল টেকনোলজিস্টগণ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিজ নিজ যোগ্যতার প্রমাণ রাখতে পারবে এবং দেশ অর্জন করতে পারবে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা। এ বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
আশীষ শীল শ্রাবণ
বঙ্গবন্ধু মেডিকেল টেকনোলজিস্ট পরিষদ
চট্টগ্রাম।

 

বাকসু নির্বাচন চাই
যেহেতু ছাত্র সংসদ নির্বাচনে সকল ছাত্র সংগঠন অংশগ্রহণ করতে পারে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রত্যক্ষ ভোটে নেতৃত্ব নির্বাচিত হয়- তাই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা ও ছাত্র রাজনীতির সুষ্ঠু পরিবেশ বজার থাকে। একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ যেমন নেতৃত্ব বিকাশে সহায়তা করে তেমনি বিশ্ববিদ্যালয়ে সংস্কৃতি ও বুদ্ধিবৃত্তির চর্চাকে ত্বরান্বিত করে। এসব কথা চিন্তা করে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (বাকসু) নির্বাচন অবিলম্বে দেওয়া বিশ্ববিদ্যালয় জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এখানে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল সর্বশেষ ১৯৯৮ সালে। পরিশেষে, শীঘ্রই বাকসু নির্বাচনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন নেতৃত্বের বিকাশ হবে বলে আশা করছি।
রাকিবুল হাসান
শিক্ষার্থী, মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদ
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন