স্টাফ রিপোর্টার : তিস্তার পানি চুক্তি ও সুন্দরবনের জন্য হুমকিস্বরূপ রামপাল কয়লা বিদ্যুৎপ্রকল্পের বিষয় এড়িয়ে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের দৃঢ় বন্ধুত্ব হতে পারে না; বলে মন্তব্য করেছেন মানবাধিকার কর্মী অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল।
গতকাল শুক্রবার রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফর উপলক্ষে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ আহŸান জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনের সংগঠনটির সহসভাপতি ও সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটির আহŸায়ক অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে ‘গঙ্গা নদী ও ফারাক্কা ব্যারেজ; তিস্তা নদী ও গাজলডোবা ব্যারেজ; সুন্দরবন ও রামপাল কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প’ এই তিনটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে মীমাংসা হওয়া সবচাইতে জরুরি। এই বিষয়গুলো এড়িয়ে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যকার বন্ধুত্ব মধুর ও দৃঢ় হতে পারে না।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর এবারের সফরটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা আশা করছি, এ শীর্ষ বৈঠকে এই তিনটি বিষয়সহ এতদাঞ্চলের অন্যান্য নদী ও পরিবেশগত সমস্যাগুলো সমাধানে প্রাধান্য পাবে। আমাদের ন্যায্য প্রাপ্তি ও অধিকার নিশ্চিত করতে ভারতের সাথে আন্তরিক ও কার্যকর সংলাপের মাধ্যমে এসব সমস্যার সমাধান চাই। মূল বক্তব্যে সুনির্দিষ্ট দাবি তুলে ধরে তিনি বলেন, ভারত-বাংলাদেশ মিলে আন্তর্জাতিক পানি প্রবাহ ব্যবহারবিষয়ক জাতিসংঘ আইন ১৯৯৭/২০১৪ অনুসমর্থন ও তার ভিত্তিতে নদী সংরক্ষণ ও ব্যবহার বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। গঙ্গা অবরোধকারী ফারাক্কা বাঁধ খুলে দিয়ে মুক্ত গঙ্গা প্রবাহ নিশ্চিত করতে হবে। তিস্তা অববাহিকার সামগ্রিক মূল্যায়ন ও তার ভিত্তিতে পানি ব্যবহার পরিকল্পনা প্রণয়ন ও তা বাস্তবায়নে চুক্তি সম্পাদন করতে হবে। সুন্দরবনের বৈশ্বিক ও স্থানীয় গুরুত্ব ও দুই দেশ ও সারা বিশ্বের উদ্বেগাকুল সকল মানুষের আকাক্সক্ষা বিবেচনায় নিয়ে বন ধ্বংসাত্মক রামপাল প্রকল্প অবিলম্বে বাতিল করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে বাপার সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. আব্দুল মতিন, সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য শামসুল হুদা ও বাপা’র যুগ্ম সম্পাদক মিহির বিশ্বাস, সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য ও টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, বাপার নির্বাহী সদস্য জাকির হোসেন ও যুগ্ম সম্পাদক হুমায়ন কবির সুমন উপস্থিত ছিলেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন