স্টাফ রিপোর্টার : ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতাভুক্ত এলাকাকে ২০১৮ সালের মধ্যে সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন দক্ষিণের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন। একই সাথে তিনি আগামী জুনের মধ্যে যাত্রাবাড়ী এলাকার প্রতিটি ওয়ার্ড এলইডি লাইটের আওতায় আনার অঙ্গীকার করেছেন। গতকাল সোমবার দুপুরে যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তা পার্কে ‘জনতার মুখোমুখি জনপ্রতিনিধি’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
৪৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাজী আবুল কালাম অনু’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খান মোহাম্মদ বিলাল, প্রধান প্রকৌশলী ফরাজি সাহাব উদ্দিন, ভারপ্রাপ্ত রাজস্ব কর্মকর্তা ইউসূফ আলী সরদার, ডেমরা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হারুনর রশীদ মুন্না, সাবেক কমিশনার আর কে চৌধুরী ও গিয়াস উদ্দিন গেসুসহ আরো অনেকে।
সাঈদ খোকন বলেন, এরই মধ্যে পুরো ডিএসসিসি এলাকার ৩০০টি সড়ক সংস্কার করা হয়েছে। এই যাত্রাবাড়ীতে এক হাজার ৮০০ বিদ্যুৎ পোলের মধ্যে শতাধিক পোলে এলইডি লাইট লাগানো হয়েছে। জুনের মধ্যে পুরো কাজ শেষ হবে।
স্থানীয় বাসিন্দারা যাত্রাবাড়ী পার্ক ফেরতসহ একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন, কমিউনিটি সেন্টার নির্মাণ, কাঁচাবাজার স্থাপন, ময়লা-অবর্জনামুক্ত ফুটপাত, মাদক-সন্ত্রাসসহ বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের জন্য মেয়রের কাছে দাবি জানান।
জবাবে মেয়র জানান, জুনের প্রথম সপ্তাহে যাত্রাবাড়ী পার্ক আধুনিকায়ণের প্রকল্প উদ্বোধন করা হবে। জমি পেলে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাথমিক কাজ শুরু করা হবে। মাদক সমস্যা সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ করতে হবে।
নির্বাচনের সময় যেসব ওয়াদা দেয়া হয়েছিল, সেসব ওয়াদা অক্ষরে অক্ষরে পালন করা হবে উল্লেখ করে মেয়র বলেন, আমাদের কিছুসংখ্যক কর্মকর্তা-কর্মচারী দ্বারা এই নগরীর হাজারো সমস্যা সমাধান সম্ভব নয়। এজন্য আপনাদের প্রতিটি মানুষকে মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। তিনি বলেন, আমাদের ১১টি খাল রয়েছে। এই খালগুলো উদ্ধারে কাজ শুরু হয়েছে। এখন উন্নয়ন শুরু করা হবে। ওয়াসা, জেলা প্রশাসনসহ সবাইকে নিয়ে কাজ শুরু করা হবে।
স্থানীয় বাসিন্দা আবুল খায়ের বলেন, আমাদের একটা কমিউনিটি সেন্টার প্রয়োজন। আমরা কৃতি অধিদফতরের ১৬ শতকের একটি জমি চিহ্নিত করে আপনার কাছে আবেদন করেছি। আপনি উদ্যোগ নিলে সমাধান সম্ভব। এ সময় মেয়র বিষয়টি নিয়ে কাজ করবেন বলে আশ্বাস দেন। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, আপনারা জমি দেন। জমি পেলে সাথে সাথেই উদ্যোগ নেব।
এলাকার পানিবদ্ধতা নিয়ে স্থানীয়দের এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র সাঈদ খোকন জানান, এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৫১৮ কোটি টাকার একটি প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ এলাকায় কুকুরের উৎপাত রয়েছে। ফজরের নামাজের সময় কুকুরের কারণে রাস্তায় হাঁটা যায় না। ছেলে-মেয়েদেরকে স্কুলে পাঠানো যায় না। স্থানীয় বাসিন্দা সাঈদ মিলনের এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, আপনাদের এলাকায় একটি কাঁচাবাজার স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। খুব অল্প সময়ের মধ্যে এর কাজ শুরু করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন