নোয়াখালী ব্যুরো : হাতিয়া আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত যুবলীগ নেতা আশরাফ উদ্দিনের প্রথম জানাযা গতকাল (সোমবার) জেলা আওয়ামী লীগ কার্য্যালয় সড়কে অনুষ্ঠিত হয়। এতে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ খায়রুল আনম সেলিম, সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় এমপি একরামুল করিম চৌধুরী, পৌর মেয়র সহিদ উল্লা খান সোহেলসহ দলীয় নেতৃবৃন্দ শরীক হন। বিকালে তার মরদেহ চরকিং ইউনিয়নের নিজ বাড়িতে পৌঁছার পর উত্তেজিত লোকজন কর্তব্যরত হাতিয়া থানার ওসি (তদন্ত) জাকির হোসেনের উপর চড়াও হয়। এ সময় হামলাকারীরা ওসি জাকিরকে কিল ঘুষি ও ধাওয়া করে গায়ে গোবর নিক্ষেপ করে। উক্ত ঘটনার পর বশির উল্লা গ্রামের বোরহান মেম্বার ও মিজান মাস্টারের বাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। এ রিপোর্ট লিখা পর্য্যন্ত এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। রাতে আরো সহিংসতার আশংকা করছে দ্বীপবাসী। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে গতকাল জেলা সদর থেকে একজন এএসপি’র নেতৃত্বে শতাধিক পুলিশ প্রেরণ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, যুবলীগ নেতা আশরাফ উদ্দিন হত্যার জের ধরে রবিবার হাতিয়া উপজেলার চরকিং ও চরঈশ্বর ইউনিয়নে ২৫টি বাড়ি ও দোকান ৮টি ট্রলার ও ২টি হোন্ডায় অগ্নিসংযোগ করা হয় ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন