জাহেদ খোকন : নানা ঘাত-প্রতিঘাত পেরিয়ে অবশেষে উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে বাংলাদেশ উশু অ্যাসেসিয়েশনে। দেশে খেলাটিকে জনপ্রিয় করে তুলতে বর্তমানে একের পর এক কর্মসূচি হাতে নিচ্ছেন এই অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তারা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ সহকারী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. আবদুস সোবহান গোলাপ সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পরই যেন বেগবান হয় উশু অ্যাসোসিয়েশনের কার্যক্রম। দেশের উশুকে এগিয়ে নেয়ার প্রত্যয়ে কাজ শুরু করেন কর্মকর্তারা। গোলাপ গত বছরের জানুয়ারিতে দায়িত্বগ্রহণের পরের মাসেই গৌহাটি-শিলং সাউথ এশিয়ান (এসএ) গেমসে প্রত্যাশা অনুযায়ী সাফল্য পায় বাংলাদেশ উশু দল। স্বল্প সময়ের প্রস্তুতিতে ১২তম এসএ গেমসে লাল-সবুজরা জয় করে পাঁচটি ব্রোঞ্জপদক। এরপর আর থেমে থাকেনি উশুর কার্যক্রম। এ ধারাবাহিকতায় গত বছর আরও পাঁচটি কর্মসূচি সফলভাবে শেষ করেন কর্মকর্তারা। এসএ গেমসের পর গত মে মাসে আন্তর্জাতিক উশু ফেডারেশনের ব্যবস্থাপনায় আয়োজিত জাজেস প্রশিক্ষণ কোর্সে অংশ নিয়ে তিনটি লাইসেন্স অর্জন করে বাংলাদেশ। জুনে শুরু হয় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের অর্থায়নে তৃণমূল পর্যায়ে উশু প্রশিক্ষণ কর্মসূচি। যা শেষ হয় চলতি বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি। জুলাই মাসে জাতীয় কোচ ও জাজেস প্রশিক্ষণ কর্মসূচি শেষ করে উশু অ্যাসোসিয়েশন। সেপ্টেম্বরে তারা আয়োজন করে মেয়র মোহাম্মদ হানিফ কাপ প্রতিযোগিতা। এরপর প্রথম জাতীয় মহিলা উশু চ্যাম্পিয়নশিপ অনুষ্ঠিত হয় ডিসেম্বরে। ২১ থেকে ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে জাতীয় উশু কোচ ও জাজেস প্রশিক্ষণ কর্মসূচি। এবং ১৮ থেকে ২০ মে পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় উশু চ্যাম্পিয়নশিপ।
বিভিন্ন প্রতিযোগিতা আয়োজন ছাড়াও দেশের উশুকে এগিয়ে নিতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে উশুর বর্তমান কমিটি। তাদের মূল লক্ষ্য এখন একটি আন্তর্জাতিক মানের উশু কমপ্লেক্স গড়ে তোলা এবং অ্যাসোসিয়েশনকে ফেডারেশনে রূপান্তরিত করা। এ প্রসঙ্গে সাধারণ সম্পাদক আলমগীর শাহ ভুঁইয়া বলেন, ‘একটি আন্তর্জাতিক মানের আধুনিক উশু কমপ্লেক্স গড়ে তুলতে প্রচুর অর্থের প্রয়োজন। তাই আমাদের সভাপতি চীন দূতাবাসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করছেন। তাদের সহযোগিতা নিয়েই দেশে তৈরি হবে এই কমপ্লেক্স।’ যুগ্ন-সম্পাদক মো. দুলাল হোসেন বলেন, ‘নতুন সভাপতি পেয়ে নব-উদ্যোমে কাজ করে যাচ্ছি আমরা। অ্যাসোসিয়েশন থেকে ফেডারেশনে রূপান্তরিত করতে যা যা প্রয়োজন তার সবই করছি। সারাদেশে উশু খেলাকে ছড়িয়ে দিতে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। দেশের সব জেলায় কমিটি গঠনের লক্ষ্যে ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছি আমরা। এ ধারাবাহিকতায় সিলেটের সাবেক মেয়র বদরউদ্দিন কামরানকে সভাপতি করে সেখানে কমিটি গঠন করা হয়েছে।’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন