নারায়ণগঞ্জ থেকে স্টাফ রিপোর্টার : নারায়ণগঞ্জ সদরের বিভিন্ন আবাসিক এলাকায় টানা দু’মাস ধরে চলছে তীব্র গ্যাস সঙ্কট। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন স্থানীয়রা। গ্যাসের অভাবে উৎপাদন ও বেচাকেনা কম হওয়ায় লোকসানের মুখে পড়েছে শিল্প ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলো। আবার বাসা-বাড়িতে এই গ্যাস সঙ্কটের কারণে গৃহিণীদের সকালের রান্না হচ্ছে সন্ধ্যায়। তবুও এই সঙ্কট নিরসনে কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।
জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জবাসীর গ্যাসের দুর্ভোগ লাঘবে নতুন করে গ্যাসের পাইপলাইন স্থাপন করা হয় ২০১৫ সালে। সেই সময় গ্যাস সঙ্কট সমাধান করে তিতাস কর্তৃপক্ষ ও নারায়ণগঞ্জে সংসদ সদস্যরা আশ্বাস দিয়েছিলেন যে, নারায়ণগঞ্জবাসী আর কখনোই এ সমস্যায় ভুগবে না। এ সমস্যা থেকে মুক্তির জন্য ১৬ ইঞ্চি মোটা পাইপ স্থাপন করা হয়েছে। এ পাইপ দিয়ে গ্যাস সরবরাহে আগামী ৫০ বছরেও কোনো সমস্যা হবে না। কিন্তু নতুন গ্যাস সংযোগ উদ্বোধনের ১ মাস অতিবাহিত না হতেই পুনরায় নগরীজুড়ে গ্যাস সঙ্কট দেখা দিয়েছিল। তারই ধারাবাহিকতায় এখনও চলছে শহর ও শহরতলিতে তীব্র গ্যাস সঙ্কট। তিতাসের তথ্য মতে, নারায়ণগঞ্জ সদরে প্রায় ৩০ হাজার আবাসিক, ২৭৫টি বাণিজ্যিক, ১২১টি শিল্প প্রতিষ্ঠান ও ৩টি সিএনজি স্টেশনে গ্যাস সংযোগ রয়েছে। নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার গাবতলী আবাসিক এলাকা। লাকড়ি জ্বালিয়ে চলছে রান্নাবান্না। নিভু নিভু করে জ্বলছে গ্যাসের চুলা। একই অবস্থা বিভিন্ন আবাসিক এলাকায়ও।
গ্রাহকরা জানান, গত দু-তিন মাস ধরে এসব এলাকায় চলছে তীব্র গ্যাস সঙ্কট। বেশ কয়েকবার আন্দোলন ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানোর পরও কোনো সুরাহা হয়নি। একই ধরনের সঙ্কট জেলার বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলোতেও। গ্যাসের অভাবে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান টিকিয়ে রাখাটাও অনেকটা দুষ্কর হয়ে পড়েছে। মালিকদের অভিযোগ, ডিজেলের খরচ প্রায় ৩ গুণ। সেই সাথে গ্যাসের খরচ মিলে প্রায় ৪ গুণ লাগে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন