কক্সবাজার জেলা সংবাদদাতা : কক্সবাজারের চকরিয়ায় সড়কে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে খবর পেয়ে অভিযানে গেলে পুলিশের সাথে ডাকাতদলের মধ্যে ঘন্টাব্যাপী বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। এ সময় ডাকাতের গুলিতে পুলিশের এএসপি, তিন এসআইসহ ৭ পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হয়েছেন। গতকাল সোমবার ভোররাত তিনটার দিকে ফাসিয়াখালী-লামা-আলীকদম সড়কের চকরিয়া উপজেলার রিংভং বনবিটের অদুরে ডাইভারশন ব্রিজের দক্ষিণে পাহাড়ি সড়কে ঘটেছে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা। ঘটনার সময় পুলিশ ৬জনকে গ্রেফতার ও বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার করেছে।
চকরিয়া থানার ওসি (তদন্ত) মিজানুর রহমান বলেন, বন্দুকযুদ্ধের পরপর পুলিশ অভিযান চালিয়ে ঘটনাস্থল থেকে ডাকাতদলের ৬জন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে। তবে ওইসময় আরো ৬-৭জন পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের পূর্ব ডুমখালী এলাকার জাফর আলমের ছেলে বেলাল উদ্দিন (৩৮), একই গ্রামের হাজি নুরুল ইসলামের ছেলে মোজাম্মেল হক (২৫), আবদুল হামিদের ছেলে আবদুর রহিম (২৫), মৃত হাকিম আলীর ছেলে আবুল হোছাইন (৩০), মৃত ছৈয়দ আলমের ছেলে মহিউদ্দিন (২৫), খলিলুর রহমানের ছেলে মোহাম্মদ হোছন আলী (৩০)। তিনি বলেন, অভিযানের সময় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দেশে তৈরি তিনটি এলজি (কাটা বন্দুক), একটি একনলা বন্দুক, ৫ রাউন্ড কার্তুজ, ১৬ রাউন্ড ব্যবহৃত গুলির খোসা, একটি কিরিচ, দুটি রামদা ও দুটি চোরা উদ্ধার করেছে। ঘটনার সময় পুলিশ আত্মরক্ষার্থে ২০ রাউন্ড গুলি ছুঁেড়। তবে ওইসময় ডাকাতরা পুলিশকে লক্ষ্য করে অন্তত পক্ষে ৩৫-৪০ রাউন্ড গুলি বর্ষণ করেন।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, গতকাল সোমবার ভোররাত আনুমানিক তিনটার দিকে ফাসিয়াখালী-লামা-আলীকদম সড়কের চকরিয়া উপজেলার রিংভং বনবিটের অদুরে ডাইভারশন ব্রিজের দক্ষিণে সড়কে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল ১০-১২জনের সশস্ত্র ডাকাতদল। বিষয়টি গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পেরে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (চকরিয়া সার্কেল) কাজী মতিউল ইসলাম এবং থানার ওসি বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী ও ওসি তদন্ত মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে তাৎক্ষণিক সঙ্গীয় পুলিশদল নিয়ে সেখানে অভিযানে যান।
ওসি বলেন, এসময় ডাকাতরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে গুলিবর্ষণ করতে শুরু করে। জবাবে পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছোড়ে। এভাবে রাত ৪টা পর্যন্ত ডাকাতদলের সাথে পুলিশের গোলাগুলি চলে। এ সময় ডাকাতদলের গুলিতে পুলিশের এএসপি কাজী মতিউল ইসলাম, থানার এসআই কাওছার উদ্দিন চৌধুরী, এসআই সুকান্ত চৌধুরী, এসআই আলমগীর আলম, কনস্টেবল মোহাম্মদ ইব্রাহিম, মিনহাজ উদ্দিন ও সাজেদুল ইসলাম গুরুতর আহত হন। তাদেরকে ভোররাতে চকরিয়া উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেয়া হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন