মঙ্গলবার, ০৯ জুলাই ২০২৪, ২৫ আষাঢ় ১৪৩১, ০২ মুহাররম ১৪৪৬ হিজরী

নিবন্ধ

চিঠিপত্র : মিটফোর্ড হাসপাতাল এলাকায় ফুটপাত বেদখল

| প্রকাশের সময় : ২২ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম

দেশের স্বনামধন্য সরকারি হাসপাতালগুলোর মধ্যে মিটফোর্ড হাসপাতাল অন্যতম। ১৮৫৪ সালে বুড়িগঙ্গা নদীর তীর ঘেঁষে প্রতিষ্ঠিত হওয়া এই হাসপাতালটি বর্তমানেও বিশেষায়িত সেবা প্রদান করে চলেছে। বাবুবাজারের নিরিবিলি এলাকায় হাসপাতালটি প্রতিষ্ঠা করা হলেও সময়ের সাথে সাথে হাসপাতাল ঘিরে গড়ে উঠেছে অনেক বেসরকারি বাণিজ্য প্রতিষ্ঠান। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ওষুধ, চাল, কাগজ, ইস্পাত ও কুরিয়ার সার্ভিস উল্লেখযোগ্য। এসব ব্যবসায়ীর কর্মকান্ডে দিনের বেশির ভাগ সময়েই তীব্র যানজট দেখা যায়। বিশেষ করে রাতে অত্যন্ত ভয়াবহ অবস্থা পরিলক্ষিত হয়। ব্যবসায়ীরা তাদের দোকানে জিনিসপত্র, ওজন করার যন্ত্র ইত্যাদি ফুটপাতের বেশির ভাগ অংশ জুড়ে রাখে। কুরিয়ার সার্ভিসের ট্রাকগুলো রাস্তায় এলামেলোভাবে দাঁড়িয়ে পণ্য বোঝাই করার কারণে রাস্তায় প্রায় সময়ই যানজট লেগে থাকে। হাসপাতাল এলাকায় চলাচলকারী রোগীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় নিয়মিত। মাঝে মাঝে পথিমধ্যেই অনেক রোগী ইন্তেকাল করেন, যা অনাকাক্সিক্ষত। এই মহানগরের একজন নাগরিক হিসেবে আমি মনে করি, যথাযথ কর্তৃপক্ষের উচিত এ ধরনের অবিবেচনাসুলভ ব্যবসায়িক কর্মকান্ড কঠোর হস্তে দমন করা। অন্যথায় ভবিষ্যতে পরিস্থিতি আরো নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে।
মো. আল রাফিউ আহমেদ
ছাত্র, ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি, ঢাকা।

ভুয়া পুলিশের দৌরাত্ম্য কি থামবে না?
আইনের রক্ষক পুলিশ। জনগণের জানমাল ও দেশের স্বার্থ রক্ষায় পুলিশের গুরুত্ব অপরিসীম। আইন রক্ষায় পুলিশের অবদান সবচেয়ে বেশি বলেই আইনের রক্ষক বলা হয় পুলিশকে। কিন্তু ভুয়া পুলিশ সেজে পুলিশের পোশাক পরে ইদানীং যে অপতৎপরতা চলছে তা মেনে নেয়ার মতো নয়। এই অপতৎপরতায় গুম ও খুনের মতো ঘটনা বেশি বেশি ঘটছে। ভুয়া পুলিশের দৌরাত্ম্যে জনগণ অতিষ্ঠ। একজন পুলিশকে জনগণ কখনো তার চাকরি বিষয়ে প্রশ্ন করতে পারে না। পুলিশকে জনগণের কাছে জবাবদিহিতা করতে হয় না বলেই ভুয়া পুলিশের সংখ্যা বেড়েই যাচ্ছে। এতে ক্ষণœ হচ্ছে পুলিশ বাহিনীর গৌরবময় ঐতিহ্য। ভুয়া পুলিশের উদ্দেশ্যই হলো মানুষকে হয়রানি করা। গুম করে মোটা অংকের অর্থ আদায় করা। এরা দেশ, জাতি ও সমাজের শত্রু। এদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে। সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান করতে হবে।
মো. আজিনুর রহমান লিমন,
গ্রাম : আছানধনী মিয়াপাড়া,
ডাক : চাপানীহাট,
উপজেলা : ডিমলা, জেলা : নীলফামারী।

বগুড়ায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় চাই
রাজশাহী বিভাগের অন্তর্গত করতোয়া নদীর পাশে অবস্থিত বগুড়া উত্তরবঙ্গের একটি উন্নত শহর। উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার নামে খ্যাত জেলাটি শিল্প ও বাণিজ্যিক দিক দিয়ে যেমন উন্নত তেমনি শিক্ষার উন্নয়নের দিক দিয়েও অনেক এগিয়ে। বগুড়া জেলা শহরে রয়েছে অনেক উন্নত স্কুল এবং কলেজ। প্রতিবছরই অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী এসব স্কুল এবং কলেজ থেকে মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক ডিগ্রি অর্জন করে। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় বগুড়ায় কোনো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় না থাকায় এখানকার শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার জন্য দেশের অন্যান্য জেলায় অবস্থিত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি হতে হয়।
বগুড়ায় উচ্চশিক্ষার জন্য শুধু রয়েছে দুটি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ। এর একটি হলো সরকারি আজিজুল হক কলেজ এবং অপরটি সরকারি শাহ সুলতান কলেজ। যেখানে সিট সংখ্যা অতি নগণ্য। যেখানে বগুড়া থেকে প্রতিবছর কয়েক হাজার শিক্ষার্থী উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা অর্জন করে, সেখানে দুটি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের উচ্চশিক্ষার জন্য সিট সংখ্যা অতি নগণ্য। যার ফলে বগুড়া এবং এর আশেপাশে থাকা অনেক শিক্ষার্থী ইচ্ছা থাকা সত্তে¡ও উচ্চশিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। বাংলাদেশে বর্তমানে মোট পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ৩২টি যার মোট সিট সংখ্যা উচ্চ শিক্ষায় আগ্রহী শিক্ষার্থীর তুলনায় অনেক কম। অতএব বগুড়ায় একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হলে এখানকার শিক্ষার্থীরা যেমন উপকৃত হবে তেমনি দেশের বিভিন্ন স্থানের শিক্ষার্থীরা উচ্চশিক্ষা নেওয়ার মধ্যমে উপকৃত হবে।
যেহেতু একটি দেশ ও জাতির উন্নয়ন নির্ভর করে উক্ত দেশের শিক্ষা এবং শিক্ষা ব্যবস্থা উন্নয়নের মাধ্যমে। আর উচ্চশিক্ষার জন্য প্রধান জায়গা হলো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এবং বর্তমান বিশ্বের সঙ্গে তাল মেলাতে উচ্চশিক্ষার বিকল্প নেই। তাছাড়া বগুড়ায় একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবি এ অঞ্চলের মানুষের অনেক আগে থেকেই। অতএব বগুড়ায় একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
রাকিবুল হাসান
মাটিডালী, বগুড়া

হাওরবাসীর কাল
অপার সম্ভাবনা ও অজস্র সমস্যা নিয়ে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সাত জেলার ২৫ হাজার বর্গমিটার এলাকাজুড়ে হাওর এলাকা। এক একটি হাওর যেন এক একটি রত্মভান্ডার। দেশের মোট উৎপাদিত ধানের এক-পঞ্চমাংশ আসে হাওর এলাকা থেকে। হাওরবাসীর জীবন-জীবিকার একমাত্র সম্বল হলো এক ফসলি বোরো ধান। সারা বছর ধরে হাওরবাসী তাকিয়ে থাকে এ ফসলের দিকে। কিন্তু বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ যেমন খরা, বন্যা, অতিবৃষ্টি, শিলাবৃষ্টি, আগাম ঢল যেন পিছু ছাড়েনি হাওরবাসীর। প্রকৃতির সঙ্গে লড়াই করে আবর্তিত হয় হাওরজীবন। তবে তারা হাল ছাড়েনি। এবারো বোরো চাষ হয় বরাবরের মতো। কিন্তু নিষ্ঠুর প্রকৃতির তা সহ্য হয় না। কয়েক দিন আগে যেখানে বাতাসে সবুজ ধানের শিষ দোল খেয়েছে, সেখানে আজ থইথই করছে পানি। কয়েক দিন পরেই যেখানে দেখা যাওয়ার কথা ছিল শুধুই সোনালি ধান, সেখানে আজ জলে জলাকার। কয়েকদিন ধরে টানা বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলে নদ-নদীতে বান ডাকে। প্রথমে বৃষ্টির পানিতে হাওরের নিচু এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। উপর্যুপরি বৃষ্টির ফলে হাওর এলাকার বিভিন্ন হাওর রক্ষা বাঁধ হুমকির সম্মুখীন হয়ে দাঁড়ায়। বাঁধ রক্ষার জন্য প্রাণান্ত চেষ্টা চালায় হাওরবাসী। কিন্তু না, শেষ রক্ষা হয়নি। অনেক এলাকার বাঁধ ভেঙে তলিয়ে যায় হাওরবাসীর জান এক ফসলি ধান। এমন একটি বাঁধ মোহনগঞ্জের ডিঙ্গাপোড়া হাওরের চর হাইজদা বাঁধ। চেষ্টা করেও রক্ষা করা গেল না। উঠতি ফসল হারিয়ে দিশেহারা হাওরবাসী। এ যেন হাওরবাসীর বাড়া ভাতে ছাই। খেয়ালি প্রকৃতি বড় অসময়ে কেড়ে নিল হাওরবাসীর মুখের গ্রাস।
বছর বছর এভাবেই প্রকৃতির খেয়ালে তছনছ হচ্ছে হাওরবাসীর স্বপ্ন-সাধ। প্রকৃতির ওপর আমাদের হাত নেই সত্যি। কিšুÍ বিভিন্ন হাওর রক্ষা বাঁধের জন্য দরকার টেকসই ব্যবস্থাপনা ও স্থায়ী সমাধান। যার মাধ্যমে ভাঙনের কবল থেকে বাঁচতে পারে হাওরবাসী, রক্ষা পেতে পারে তাদের জান এক ফসলি ধান।
শ্যামল চৌধুরী
মোহনগঞ্জ, নেত্রকোনা।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন