গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা সংবাদদাতা : গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে স্বামী পরিত্যক্তা বুদ্ধি প্রতিবন্ধী এক যুবতীকে ধর্ষণ ও সাত মাসের গর্ভ গর্ভপাত ঘটানোর মামলায় ১০ দিনেও গ্রেফতার হয়নি মূল আসামি ধর্ষক নজরুল ইসলাম।
গোবিন্দগঞ্জ থানায় দায়ের হওয়া মামলা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার দরবস্ত ইউনিয়নের হোসেনপুর গ্রামের মোঃ আনতা মিয়ার স্বামী পরিত্যক্তা বুদ্ধি প্রতিবন্ধী মেয়েকে (২৪) প্রতিবেশী জামাল উদ্দিনের পুত্র মোঃ নজরুল ইসলাম (৩৫) নানা প্রলোভনে ফুসলিয়ে ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী মেয়েটি গর্ভবতী হলে সাত মাস পর ঘটনাটি প্রকাশ পায়। এরপর ওই গ্রামের সামাজিক সালিশকারী মৃত ময়েজ উদ্দিনের পুত্র মোঃ মজনু মিয়া (৫০) ও মৃত নাজির মাহমুদের পুত্র মোঃ সমেজ উদ্দিনের (৫৩) শরণাপন্ন হয়ে সালিশ-বিচারের প্রার্থনা করলে তারা সালিশ-বিচার করে দেয়ার আশ্বাস দেয়।
অতঃপর সালিশকারী ব্যক্তিদ্বয় ধর্ষক নজরুল ইসলামের সাথে আতাত করে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে সময় ক্ষেপনসহ টালবাহানা করে ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার অপচেষ্টায় লিপ্ত হয় এবং ভিকটিমের গর্ভের সাত মাসের বাচ্চাটিকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে ভিকটিমকে ঔষধ খাওয়ায়। এতে ভিকটিমের গর্ভের সাত মাসের বাচ্চাটি মারা যায়।
এ ঘটনায় ভিকটিমের ভাই মোঃ আব্দুল কাদের কান্দুরা বাদী হয়ে ধর্ষক নজরুল ইসলাম ও ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার অপচেষ্টায় লিপ্ত মোঃ মজনু মিয়া ও মোঃ সমেজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। গোবিন্দগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মজিবুর রহমান পিপিএম জানান, ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণের ফলে গর্ভবতী এবং একই উদ্দেশ্যে নবজাত শিশুর মৃত্যু ঘটানোর অপরাধে আসামিদের নামে এফআইআর হয়েছে। তিনি আরো জানান, এফআইআরভুক্ত আসামি সমেজ উদ্দিনকে পুলিশ গতকাল মঙ্গলবার গ্রেফতার করেছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন