মঙ্গলবার, ০৯ জুলাই ২০২৪, ২৫ আষাঢ় ১৪৩১, ০২ মুহাররম ১৪৪৬ হিজরী

নিবন্ধ

চিঠিপত্র : সেন্দিয়ার গণহত্যা রয়ে গেছে আড়ালেই

| প্রকাশের সময় : ৩০ এপ্রিল, ২০১৭, ১২:০০ এএম

মহান মুক্তিযুদ্ধের এক খন্ডিত ইতিহাস মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার সেন্দিয়া গণহত্যার ঘটনা। আজ পর্যন্ত এ ঘটনাটি অনুসন্ধানের জন্য কেউ এগিয়ে আসেননি। এমনকি মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস গবেষকরাও। দেওয়া হয়নি ১২৭ জন শহীদকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি। পাশাপাশি ৬টি গণকবর রয়ে গেছে অনাবিষ্কৃত। ১৯৭১ সালে সম্ভবত ১৯ মে, বাংলা ১৩৭৮ সালের ৫ জৈষ্ঠ হিন্দু অধ্যুষিত সেন্দিয়া, পলিতা, ছাতিয়ানবাড়ি ও খালিয়া গ্রামের ১২৭ জনকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। এ হত্যাকান্ড থেকে রেহাই পায়নি শিশুরাও। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পাকবাহিনীর একটি ক্যাম্প ছিল মাদারীপুর জেলার রাজৈর উপজেলাধীন টেকেরহাট বন্দরে। তখন নদীপথ ছাড়া প্রত্যন্ত অঞ্চলে যাতায়াতের কোনো পথ ছিল না।
ঘটনার দিন পাকবাহিনী লঞ্চযোগে গোপালগঞ্জের ভেন্না বাড়িতে নেমে চরচামটা থেকে গুলিবর্ষণ ও অগ্নিসংযোগ করতে করতে মাদারীপুরের কদমবাড়ি ইউনিয়নের মহিষমারীর ভেতর দিয়ে প্রথমে উল্লাবাড়িতে গণহত্যা চালায়। উল্লাবাড়ি থেকে পথে পথে অগ্নিসংযোগ, লুণ্ঠন ও গুলি চালিয়ে হত্যা করতে করতে সেন্দিয়ার ভেতরে ঢোকে। এই সংবাদ পেয়ে সেন্দিয়া, পলিতা, ছাতিয়ানবাড়ি ও খালিয়া গ্রামের আবালবৃদ্ধবনিতা আশ্রয় নেয় পার্শ্ববর্তী পশ্চিম সেন্দিয়া আখক্ষেতে। পাকবাহিনী ততক্ষণে পুরো এলাকা ঘিরে গণহত্যা শুরু করে। পাকিস্তান হানাদার বাহিনী এই গণহত্যা চালিয়ে পশ্চিম দিকে অগ্রসর হওয়ার সময় হঠাৎ করে আখক্ষেত থেকে একটি ছাগলের ডাক শুনতে পায়। কিছু বুঝে ওঠার আগেই তারা ব্রাশফায়ার করে শতাধিক মানুষকে হত্যা করে। নারীরাই মূলত এই গণহত্যার শিকার হয়েছিলেন। স্বাধীনতা যুদ্ধের ৪৬ বছর পেরিয়ে গেলেও সেন্দিয়ার গণহত্যার ব্যাপারে তেমন লেখালেখি হয়নি। অনুসন্ধান করা হয়নি এলাকার ৬টি বধ্যভূমির।
ঐ দিনের সেই নির্মম হত্যাযজ্ঞের মধ্যে মৃত মায়ের বুকের দুধপান করছিল প্রভাস, আজকের মোশী বাড়ৈই। তার সার্বিক প্রচেষ্টায় এবং স্থানীয় লোকজন বানিয়ারচরের মাইকেল বাড়ৈর তত্ত¡াবধায়নে ২০০৯ সালের ১৪ এপ্রিল সেন্দিয়ায় একটি শহীদ স্মৃতিফলক স্থাপিত হয়। স্মৃতিফলকে ১২৬ জন শহীদের নামে উল্লেখ করা হয়েছে। পাকহানাদাররা ঘরে আগুন দিয়ে যে বৃদ্ধাকে হত্যা করে তার নাম জানা যায়নি।
নৃপেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী
রাজৈর, মাদারীপুর।

বাকৃবি ক্যাম্পাসে নিরাপত্তার সংকট
প্রশাসনের দুর্বলতার ক্রমেই বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরটি অনিরাপদ হয়ে উঠছে সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য। বহিরাগতদের অবাধ চলাফেরা, ক্যাম্পাসের ভেতরে উচ্চগতিতে বাইক নিয়ে বেড়ানো এবং ক্যাম্পাসের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বহিরাগতদের দ্বারা চুরি, ছিনতাই, ইভটিজিং ও শিক্ষার্থী লাঞ্ছনায় ঘটনা খুবই সাধারণ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে ক্যাম্পাসে। তাছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসটি এখন অঘোষিত এক পিকনিক স্পটে পরিণত হয়েছে; প্রতিদিনই দূর-দূরান্ত থেকে বিভিন্ন পিকনিকের বাস আসে এবং মাইকে উচ্চশব্দে গান বাজিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্ত-মনোরম পরিবেশের বিঘœ ঘটায়। তাছাড়া পিকনিকে এসে দর্শনার্থীরা অবাধে পরিবেশ নোংরা করা ছাড়াও ক্যাম্পাসের বিভিন্ন বাগান ও বোটানিক্যাল গার্ডেনের গাছপালা ভাঙাসহ বিভিন্ন ক্ষতিসাধন করে। আর এসব ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তেমন কোনো পদক্ষেপ লক্ষণীয় নয়। পরিশেষে কৃষি শিক্ষার এই সর্ববৃহৎ প্রতিষ্ঠানটির সুনাম ও ঐতিহ্যকে অক্ষুণœ রাখতে বিষয়টির প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পদক্ষেপ ও নজরদারি কামনা করছি।
জাহিদ হাসান
শিক্ষার্থী, কৃষি অনুষদ
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ।

বৈষম্য দূর করুন
আমরা ২০১৪ সালে বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশন (পিএসসি) কর্তৃক জারিকৃত বিজ্ঞপ্তি নম্বর ২৩৫ এর সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা (সাধারণ) পদে আবেদন করি। আবেদনের দীর্ঘ দুই বছর পর মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। যার চ‚ড়ান্ত সুপারিশ করা হয়েছে ৫-১২-২০১৬ তারিখে। দীর্ঘ ২ বছরের বেশি সময় ধরে পর্যায়ক্রমে প্রিলিমিনারি, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা শেষ করেও কোটা বহিভর্‚ত মেধা তালিকায় সুপারিশপ্রাপ্ত হইনি। রাজস্ব আদায়ের স্বার্থে এই পদের জন্য ৭১০ জন লোকবলের চাহিদা জাতীয় রাজস্ব বোর্ড পিএসসিতে পাঠিয়েছে। তাগিদ দিয়েছে দ্রæত এই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য।
নন-ক্যাডার বিধিমালা ২০১০ অনুযায়ী ৫০ শতাংশ পদ বিসিএস নন-ক্যাডার থেকে দিলেও বাকি ৫০ শতাংশ পদের বিপরীতে নতুন বিজ্ঞপ্তি দীর্ঘ প্রক্রিয়ার ব্যাপার। অথচ আমরা ৩৮১২ জন চাকুরিপ্রার্থী এই পদের বিপরীতে মৌখিক পরীক্ষা সম্পন্ন করে প্যানেলে থাকলেও নিয়োগের কোনো পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে না। আবার ৪১১ শূন্য পদের বিপরীতে ৪৫৬ জনকে সুপারিশ করা হলেও প্রাধিকার কোটার ৬০টি পদ যোগ্য প্রার্থীর অভাবে শূন্য রাখা হয়েছে। এখানে মেধা কোটার অনেক প্রার্থীর পদ শূন্য; কিন্তু তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়নি। উল্লেখ্য, অতীতেও এই পদের পরীক্ষায় প্যানেলের মাধ্যমে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। অথচ বিসিএস (৩৫) ও অন্যান্য নিয়োগে প্রাধিকার কোটার শূন্য পদ মেধা কোটা থেকে পূরণের দৃষ্টান্ত থাকলেও আমাদের ক্ষেত্রে পিএসসির সে রসকম কোনো পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না। অধিকšুÍ ৩৪তম বিসিএস নন-ক্যাডারে মাধ্যমিক বিদ্যঅলয়ে সহকারী শিক্ষক পদ ৪৬২, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক পদে ৮৯৮, কর পরিদর্শক ৩১৯, শ্রম পরিদর্শক ৬৫, সঞ্চয় অফিসার পদে ২৮ জনকে পিএসসি সুপারিশ করেন; অথচ যেখানে নন-ক্যাডার বিধিমালা ২০১০ অনুসরণ করা হয়নি। কেননা ঐ পদগুলোর ৫০ শতাংশ যদি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নিয়োগ দেওয়া হতো তবে সাধারণ চাকুরিপ্রার্থী হিসেবে সবার অংশগ্রহণের সুযোগ থাকতো। চাহিদার সকল পদ নন ক্যাডার থাকা সত্তে¡ও তা পুরোটাই পূরণ করা হয় পিএসসি নন-ক্যাডার থেকে যা নাগরিক হিসেবে আমাদের প্রতি বৈষম্যের দৃষ্টান্ত হিসেবেই প্রতীয়মান। এখানে ৩৬০০ জনের নিয়োগের উল্লেখ থাকলেও পরবর্তী সময়ে অধিক জনবল প্রয়োজন সাপেক্ষে পিএসসি নতুন বিজ্ঞপ্তি না দিয়ে ঐ বিজ্ঞপ্তিতেই ৯৬০০ জনকে সুপারিশ করেন। তাই আমাদের প্যানেল থেকেই চাহিদার শূন্য পদে নিয়োগের প্রক্রিয়ায় সরকারি কর্মকমিশনের দৃষ্টি প্রত্যাশা করছি।
ফাহিম বসুনিয়া
মিরপুর, ঢাকা।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন