স্টাফ রিপোর্টার : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) ১৯ বছর পেরিয়ে ২০ বছরে পা রাখছে। আজ ৩০ এপ্রিল ২০তম বিশ^বিদ্যালয় দিবস। এ উপলক্ষে নানা কর্মসূচি নেয়া হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে। সূত্র মতে, ১৯৯৮ সালের ৩০ এপ্রিল দেশের প্রথম মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। বিশ^বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের রয়েছে ৫৪টি বিভাগ। বর্তমানে এখানে হাসপাতালে শয্যা এক হাজার ৯০৪টি, এর মধ্যে অর্ধেকই গরিব রোগীদের জন্য বিনা ভাড়ার বিছানা। প্রতিদিন এ হাসপাতালে বহির্বিভাগে প্রায় পাঁচ হাজার রোগী চিকিৎসাসেবা নিতে আসেন। বৈকালিক স্পেশালাইজড আউটডোরে প্রতিদিন এক হাজার রোগী সেবা নিচ্ছেন। এখানে রয়েছে রোগীদের পরীক্ষা-নিরীক্ষার সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা। এমআরআই, সিটিস্ক্যানের মতো ব্যয়বহুল পরীক্ষাও এখানে তুলনামূলকভাবে কম খরচে আধুনিক প্রযুক্তিসমৃদ্ধ মেশিনের মাধ্যমে করা হচ্ছে। প্রায় চার হাজার জনবল নিয়ে পরিচালিত এই বিশ্ববিদ্যালয়ের আরো উন্নয়ন ও অগ্রগতির লক্ষ্যে বর্তমান প্রশাসন নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এদিকে বর্তমান ভিসি প্রফেসর ডা. কামরুল হাসান খানেরও মেয়াদ দুই বছর পার হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই দুই বছরে সাফল্য অনেক। বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রশান্ত কুমার মজুমদার জানান, ডা. কামরুল হাসান খানের নেতৃত্বে বর্তমান প্রশাসন একটি বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশ গড়ে তুলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক পরিবেশ উন্নতির দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। প্রত্যেক বিভাগের সাথে বিভিন্ন সমস্যা ও সম্ভাবনা সম্পর্কে ডিন ও বিভাগীয় চেয়ারম্যানদের সঙ্গে মতবিনিময়, চিকিৎসক, ছাত্রছাত্রী, কর্মকর্তা ও নার্সদের সঙ্গে মতবিনিময় করা হয়েছে। রোগীর দায়িত্ব চিকিৎসক, নার্সসহ সংশ্লিষ্ট সকলকেই নিতে হবে, যাতে রোগীর স্বজনরা রোগীকে হাসপাতালে রেখে নিরাপত্তা বোধ করে তা নিশ্চিত করতে সব ধরনের পরিকল্পনা ও নির্দেশনা রয়েছে ডা. কামরুল হাসান খানের। ডা. কামরুল হাসান খান বলেন, রোগীদের সুবিধার কথা ভেবে সাধারণ জরুরি বিভাগ চালুর কার্যক্রম এগিয়ে নিতে জোর প্রচেষ্টা চলছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ, ব্যবস্থাপনা, চিকিৎসা সেবা, চিকিৎসা শিক্ষা ও চিকিৎসা বিষয়ক গবেষণায় আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করতে কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। ২৪ ঘণ্টা চিকিৎসক উপস্থিতি নিশ্চিত করতে বর্তমান প্রশাসন সচেষ্ট রয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন