বেনাপোল অফিস: ভারতে আড়াই বছর কারাভোগের পর বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে ১ শিশুসহ ১২ বাংলাদেশী যুবতীকে বাংলাদেশে হস্তান্তর করেছে ভারতীয় পুলিশ।
ভারত সরকারের দেয়া বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে শুক্রবার রাত সাড়ে আটটায় পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ ওই ১৩ জনকে বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। ভালো চাকরির আশায় ভারতের মুম্বাই শহরে গিয়ে সেদেশের পুলিশের হাতে আটক হয় তারা।
ফিরে আসা তরুণীরা হলেনÑ নড়াইলের শিমুল শেখের মেয়ে শামিমা খাতুন (২০), একই জেলার জাবের আলীর মেয়ে সাগরিকা খাতুন (১৯), যশোরের নুর ইসলামের মেয়ে রুনা খাতুন ডলি (২১) ও তার শিশুকন্যা রুমি (৪), মাগুরার হেলাল উদ্দিনের মেয়ে রেণু খাতুন (১৮), ঝিনাইদহের শাহজাহানের মেয়ে মাজেদা খাতুন (১৯), রাজবাড়ীর আমজাদ আলীর মেয়ে মালা খাতুন (১৮), নীলফামারীর সেকেন্দারের মেয়ে পায়েল (১৭), ঠাকুরগাঁওয়ের বরকত আলীর মেয়ে লাইজু (১৮), নারায়ণগঞ্জের আলী হোসেনের মেয়ে সাহিদা (১৯), ঢাকার শাহ আলমের মেয়ে শাহনাজ (২০), ফরিদপুরের শেখ ছলেমানের মেয়ে রেণু বেগম (১৮) এবং বাগেরহাটের আজগর আলীর মেয়ে তহমিনা (১৯)।
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ওমর শরীফ বলেন, ‘ভালো কাজের প্রলোভনে দালালের খপ্পরে পড়ে এই তরুণীরা ভারতের মুম্বাই শহরে যায়। মুম্বাই শহরের বিভিন্ন স্থানে কাজের সময় ভারতীয় পুলিশ তাদের আটক করে। পরে আদালতের মাধ্যমে আড়াই বছর সাজা হলে তাদের পাঠানো হয় জেলহাজতে। সেখান থেকে একটি এনজিও তাদের ছাড়িয়ে নিজম্ব শেল্টার হোমে রাখে। এরপর দুই দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপে বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে তাদের দেশে ফিরিয়ে আনা হয়। এদের বেনাপোলে গ্রহণ করেছে ঢাকা আহছানিয়া মিশন নামে একটি এনজিও।’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন