কিছুদিন আগে একটি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান একটি পত্রিকায় এক ব্যবসায়িক বিজ্ঞাপনে উল্লেখ করে, সিজারিয়ান শিশুর বুদ্ধি কম হয়। বিষয়টি আমাকে ভাবিয়ে তুলেছে। কারণ, সাত মাসের আমার প্রথম মেয়ে সন্তানটিই সিজারিয়ান শিশু। একটি সরকারি হাসপাতালে নিয়মিত চেকআপে আমার স্ত্রীর স্বাভাবিক ডেলিভারির আশ্বাস পেয়েও শেষ মুহূর্তে আমাকে বাধ্য হয়ে একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে সিজারিয়ান ডেলিভারির দ্বারস্থ হতে হয়। আজকাল বাচ্চা হওয়া মানেই সিজারিয়ান। এর জন্য প্রসূতিকে বিভিন্ন রকমের ভয়ভীতিও দেখানো হয়। কারণ এখানে ক্লিনিক, ডাক্তার, নার্স ও দালালদের অর্থ কামাইয়ের বিষয়টাই প্রধান। চাপা পড়ে যায় শিশুর বুদ্ধি, বিকাশের কথা। উদ্বেগ আমাদের এখানেই। কেননা পুঁথিগত বিদ্যার পাশাপাশি যদি বুদ্ধির বিকাশ না ঘটে তাহলে আজকের প্রজন্মের ভবিষ্যৎ অন্ধকার। এ অবস্থায়, সিজারিয়ান পদ্ধতির খড়গ ঠেকাতে স্বল্প খরচে নরমাল ডেলিভারির জন্য দেশের সরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ইত্যাদিতে ধাত্রীবিদ্যায় প্রশিক্ষিত মহিলাদের (মিডওয়াইফ) আকর্ষণীয় মাসিক বেতন এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধাসহ নিয়োগ প্রদানের জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে এগিয়ে আসতে অনুরোধ জানাই।
মোঃ আলমগীর
৩, কে এম আজম লেন, চকবাজার, ঢাকা।
কবে যোগদান হবে?
আমাদের দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের লোকবল সংকটের কথা প্রায়ই শোনা যায়। তবে এর কোনো প্রতিকার হয় না। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ‘অফিসার জেনারেল সাইড’ পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয় ২৪-৬-২০১৪ তারিখে। ২-১-২০১৫ তারিখে হয় প্রিলিমিনারি পরীক্ষা। ১৮-১-২০১৫ তারিখে প্রকাশিত হয় প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফলাফল। ১৫-৫-২০১৫ তারিখে হয় লিখিত পরীক্ষা। লিখিত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয় প্রায় ৭ মাস পর ১৭-১২-২০১৫ তারিখে। এর পর ভাইবা শেষ হয় ১০-৫-২০১৬ তারিখে। এর প্রায় ৬ মাস পর ৩-১১-২০১৬ তারিখে ২২৩ জনকে নির্বাচিত করে চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশিত হয়। পুলিশ ভেরিফিকেশনও শেষ হয়েছে। কিন্তু নিয়োগের কোনো খবর নেই। আমাদের বিশ্বাস, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের একটি নির্দেশেই আমাদের ২২৩ জনের নিয়োগ দ্রæততর হতে পার। এ বিষয়ে মাননীয় গভর্নর এবং ডেপুটি গভর্নর মহোদয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
রিফাত, রনি, তাজবীর,
সুমি, শওকত, মমিন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন