শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নিবন্ধ

বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ উন্নয়নের পথে নবযাত্রা

| প্রকাশের সময় : ২২ মে, ২০১৭, ১২:০০ এএম

সরদার সিরাজ : চীনের এক অঞ্চল, এক পথ প্রকল্প বিশ্বময় সর্বাধিক আলোচিত একটি বিষয়। এটি বর্তমান বিশ্বের সর্বাধিক বৃহৎ, ব্যয়বহুল প্রকল্প। এর চূড়ান্তকরণে গত ১৪-১৫ মে শীর্ষ সন্মেলন অনুষ্ঠিত হয় চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে। তাতে এশিয়া, আফ্রিকা, ইউরোপ, আমেরিকা অঞ্চলের তথা প্রায় সমগ্র বিশ্বের মোট ৭০টিরও বেশি দেশ ও ৪০টিরও বেশি আন্তর্জাতিক সংস্থার ৩৬০ জনেরও বেশি প্রতিনিধি অংশগ্রহণ  করেন। তাদের মধ্যে জাতিসংঘের মহাসচিব অন্তোনিও গুতেহিস, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েপ এরদোগান, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ এবং সুইজারল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট দরিস লেউথার্ডসহ ২৯টি দেশের সরকারপ্রধান ছিলেন। সম্মেলনে ভারত এবং জাপান অংশগ্রহণ করেনি। চীনের অর্থায়নে ৫ হাজার ৭০০ কোটি ডলার ব্যয়ে কাশ্মীরের ভেতর দিয়ে চীন-পাকিস্তান ইকোনমিক করিডোর (সিপিইসি) নির্মাণের প্রতিবাদে ভারত সন্মেলনে  অংশগ্রহন করেনি, বরং এক প্রতিক্রিয়ায়  বলেছে, সম্মেলনে অংশ নেয়া দেশগুলোকে সীমাহীন ঋণের বোঝা বহন করতে হবে। আর আধিপত্যবাদ প্রতিষ্ঠার অভিযোগে জাপান অংশগ্রহণ করেনি। তবে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যসব দেশ এবং যুক্তরাষ্ট্র অংশগ্রহণ করেছে। সন্মেলনের উদ্বোধনী ভাষণে বিশ্বের বাণিজ্যিক বন্দর, রাস্তাঘাট ও রেল সংযোগকে একই নেটওয়ার্কে আনার তথা চীনের ভাষায় ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ’ নামের এ প্রকল্পে ১২৪ বিলিয়ন ডলারের উচ্চাভিলাষী বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়ে চীনের প্রেসিডেন্ট শিজিনপিং বলেন, বিনিয়োগ হল অর্থনৈতিক উন্নয়নের গুরুত্বপূর্ণ চালিকাশক্তি। এ প্রকল্পের সূত্র ধরে আমরা পুরনো শত্রু শত্রু খেলার মঞ্চায়ন করব না। বরং এর মাধ্যমে আমরা নতুন মডেলের সহযোগিতা ও পারস্পরিক সুবিধা নিশ্চিত করব। আমাদের উচিত পারস্পরিক সহযোগিতার নতুন প্লাটফর্ম তৈরি করা এবং বিশ্ব অর্থনীতির উন্মুক্ত মঞ্চ তৈরি করা। এটি চীনের উদ্যোগ, তবে উন্নতি সবার।  এটি সব দেশের জন্য উন্মুক্ত। বিশ্বের জন্য এখন উম্মুক্ত উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার সময়। বৈশ্বিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে অবাধ ও স্বচ্ছ পদ্ধতিতৈরিতে উৎসাহিত করার সময়। বিশ্বের সব দেশের সঙ্গে চীন তাদের উন্নয়নের ফমুর্লা শেয়ার করতে চায় । আমরা কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে চাই না। হোক না এশিয়া, ইউরোপ, আফ্রিকা বা আমেরিকার কোন দেশ, তবুও  সবাই বেল্ট অ্যান্ড রোড প্রকল্পের অংশীদার।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জাতিসংঘ মহাসচিব অন্তোনিও গুতেহিস বলেন, যৌথভাবে এক অঞ্চল, এক পথ নির্মাণ ‘জাতিসংঘের এজেন্ডা-২০৩০’র জন্য অনুকূল, যা সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক আদান-প্রদান জোরদার করবে। সুইজারল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট দরিসলেউথার্ড বলেন, সুইজারল্যান্ড এক অঞ্চল, এক পথ উদ্যোগের ভিত্তিতে নীতিগত যোগাযোগ ও উন্নয়ন কৌশলের সংযুক্তি জোরদার করতে এবং দু’ দেশের উচ্চ পর্যায়ের বাস্তব সহযোগিতা জোরদার করতে ইচ্ছুক। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেন, প্রস্তাবিত ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড বাস্তবায়িত হলে এ অঞ্চলের অর্থনীতির পাশাপাশি রাজনৈতিক অঙ্গনেও ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে। অনেক দেশে আজ সামাজিক অবক্ষয় দেখা দিয়েছে। অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিগত উন্নয়ন থমকে পড়েছে। এ অবস্থার মধ্যেই আবার অনেকে বহুবাজার নীতির পরিবর্তে একবাজার নীতির পক্ষে সাফাই গাইছে। এমন সংরক্ষণবাদ বিশ্বজুড়ে বিপদ বয়ে আনতে পারে। আমরা পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে সামনে এগিয়ে যেতে চাই। সিল্ক রোড বাস্তবায়িত হলে ইউরোপ এবং এশিয়ার মধ্যে ঐক্য আরো জোরালো হওয়ার পাশাপাশি এ অঞ্চলের অর্থনীতি আরো শক্তিশালী হবে।
সন্মেলনে ‘নীতিগত যোগাযোগ’ শীর্ষক সভায় অংশগ্রহণকারী প্রতিনিধিরা ৩২টি দ্বিপাক্ষিক ও বহুপক্ষীয় দলিলপত্রে স্বাক্ষর করেন। দলিলপত্রে ১৮টি দেশ ও ৮টি আন্তর্জাতিক সংস্থা অন্তর্ভুক্ত হয়। চীনের জাতীয় সংস্কার ও উন্নয়ন কমিশন, রাষ্ট্রীয় পরিষদেও উন্নয়ন গবেষণালয়ের যৌথ উদ্যোগে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সভার প্রতিপাদ্য  বিষয়- ‘নীতিগত যোগাযোগ ও উন্নয়ন কৌশলের সংযুক্তি-ব্যবস্থার নব্যতাপ্রবর্তন ও যৌথ উন্নয়ন সাধন’। সন্মেলন শেষে বিশ্ব নেতৃবৃন্দ এক ঘোষণাপত্রে সই করেন। ঘোষণাপত্রে উল্লেখ রয়েছে: একটি নিয়মভিত্তিক, উন্মুক্ত ও বহুজাতিক বাণিজ্য ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। এ বাণিজ্যব্যবস্থা গড়ে তুলতে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থাকে কেন্দ্রীয় ভিত্তি ধরা হবে। এ সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক শিরোনাম হবে ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ফোরাম ফর ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন’। বিশ্ব অর্থনীতির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার প্রয়োজনীয়তাকে স্বীকৃতি দিয়ে এশিয়া ও ইউরোপের মধ্যে সংযোগ বাড়ানোর এই উদ্যোগকে স্বাগত জানানো হয়েছে। অবশ্য চীনের প্রেসিডেন্টের জোর প্রচেষ্টা সত্তে¡ও সম্মেলনের দলিলে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত কয়েকটি দেশ যেমন ফ্রান্স, জার্মানি, এস্তোনিয়া, গ্রিস ও পর্তুগাল স্বাক্ষর করেনি। এই দলিলে নাম লেখায়নি যুক্তরাজ্যও। যদিও যুক্তরাজ্য ও গ্রিসের পক্ষ থেকে চীনের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানানো হয়েছে। সম্মেলন শেষে সাংবাদিকদের সি চিন পিং বলেন, সম্মেলনে মতৈক্য এবং ইতিবাচক ফল অর্জিত হয়েছে। এই প্রকল্পে সংশ্লিষ্ট সবাই মিলিতভাবে উদ্যোগ নিলে ‘শান্তি ও সমৃদ্ধির’ পথ অর্জন করা সম্ভব। যদিও এ জন্য দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে হবে। এ সময় তিনি জানান, পরবর্তী বেল্ট অ্যান্ড রোড ফোরাম ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত হবে। তিনি আরো বলেন, নতুন রেশমপথের উদ্যোগে অতিরিক্ত ১২ হাজার ৪০০ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগের চীনের প্রতিশ্রæতির আওতায় এশিয়ার বিভিন্ন প্রান্ত ও ইউরোপ পর্যন্ত বন্দর, সড়ক, রেলপথ পুননির্মাণ এবং শিল্প পার্ক তৈরি করা হবে। আফ্রিকা, এশিয়া আর ইউরোপের সঙ্গে নিজের দেশকে সংযুক্ত করার এ উচ্চাভিলাষী অর্থনৈতিক পরিকল্পনাকে তিনি ‘শতাব্দীর পরিকল্পনা’ হিসেবে অভিহিত করেন।
চীনের পুঁজি ও বিনিয়োগে এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ ও আফ্রিকাকে অবকাঠামো জালে যুক্ত করার উচ্চাভিলাষী প্রকল্প যা ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড (ওবিওআর) বা নতুন সিল্ক রোড নামে খ্যাত। এর বাংলা অর্থ ‘এক অঞ্চল, এক পথ’। ২০১৩ সালে সর্বপ্রথম এ প্রকল্প প্রকাশ করে চীন। অতঃপর দেশটি এ প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ব্যাপক কূটনৈতিক উদ্যোগ গ্রহণ করে। ফলে এ সফল সন্মেলন অনুষ্ঠান। এই প্রকল্পে সংশ্লিষ্ট হবে ৬৭টি দেশ। আগামী ৫ বছরে অংশীদার দেশে ৫০ হাজার ২০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ হবে। বাংলাদেশ ঘোষিত উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছার জন্য এ প্রকল্পে সংযুক্ত হয়েছে। স্মরণীয় যে, ‘এক অঞ্চল, এক পথ’ এশিয়া, ইউরোপ ও আফ্রিকা মহাদেশ অতিক্রম করবে। এক প্রান্তে তৎপর পূর্ব এশীয় অর্থনৈতিক চক্র, অন্য প্রান্তে উন্নত ইউরোপীয় অর্থনৈতিক চক্র, মাঝখানে ব্যাপক পশ্চাদ্ভূমিরদেশ। রেশমপথ অর্থনৈতিক অঞ্চলের প্রধান শাখা চীন থেকে মধ্য এশিয়া, রাশিয়া ও ইউরোপ পর্যন্ত, চীন থেকে মধ্য এশিয়া, পশ্চিম এশিয়া, পারস্য উপসাগর ও ভূমধ্যসাগর পর্যন্ত, চীন থেকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, দক্ষিণ এশিয়া ও ভারত মহাসাগর পর্যন্ত। একবিংশ শতাব্দীর সামুদ্রিক রেশমপথের প্রধান শাখা চীনের উপকূলীয় বন্দর থেকে ভারত মহাসাগর পার হয়ে ইউরোপ পর্যন্ত, চীনের উপকূলীয় বন্দর থেকে দক্ষিণ চীন সাগর পার হয়ে দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগর পর্যন্ত। ‘এক অঞ্চল, এক পথ’ নকশা অনুসারে স্থল পথে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর কেন্দ্রীয় শহরগুলোরভিত্তিতে প্রধানত অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক শিল্প উদ্যান প্রতিষ্ঠা করা হবে, যৌথভাবে নতুন এশিয়া ও ইউরোপ মহাদেশের সেতু, চীন-মঙ্গোলিয়া-রাশিয়া, চীন-মধ্য এশিয়া-পশ্চিম এশিয়া, চীন-মধ্য দক্ষিণ উপদ্বীপসহ নানা আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক সহযোগিতামূলক করিডোর প্রতিষ্ঠিত হবে। সামুদ্রিক রেশমপথ গুরুত্বপূর্ণ বন্দরের ভিত্তিতে নিরাপদ ও ফলপ্রসূ মহা পরিবহনপথ প্রতিষ্ঠিত হবে। চীন-পাকিস্তান, বাংলাদেশ-চীন-ভারত-মিয়ানমার এ দুটি অর্থনৈতিক করিডোর ও ‘এক অঞ্চল, এক পথ’-এর মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকবে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, চীনের এই প্রকল্পটিকে প্রাচীনকালের রেশমপথ বা সিল্করোড নামেও আখ্যায়িত করা হচ্ছে। প্রাচীনকালের রেশমপথ বা সিল্ক রোড হচ্ছে: দুই সহ¯্রাধিক বছর আগে এশিয়া ও ইউরোপের পরিশ্রমী ও সাহসী জনগণ এশিয়া, ইউরোপ ও আফ্রিকাকে সংযুক্ত করেছিল যে পথের মাধ্যমে, সেটাই ‘রেশমপথ’ নামে বিখ্যাত। এ পথের মাধ্যমেই এ অঞ্চলগুলোর মধ্যে বাণিজ্যিক ও সাংস্কৃতিক আদান-প্রদান চলতো। প্রাচীনকালের স্থল রেশমপথ, বিশেষ করে পশ্চিম হান রাজবংশের আমলে (খ্রিস্টপূর্ব ২০২ থেকে ৮ সাল পর্যন্ত), চাং ছিয়ানের তৎকালীন রাজধানী ছাংআন (বর্তমান সিআন) থেকে শুরু করে কানসু, সিনচিয়াং পার হয়ে মধ্য-এশিয়া, পশ্চিম এশিয়া ও ভূমধ্যসাগরের বিভিন্ন দেশ পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। এ পথে মূলত চীনের রেশমী কাপড় পরিবহন করে নিয়ে যাওয়া হতো। এ কারণেই পথটির নাম হয়েছে ‘রশমপথ›। ১৮৭৭ সালে জার্মান ভূগোলবিদ ঋবৎফরহধহফ চধঁষ ডরষযবষস জরপযঃযড়ভবহ ‘চীন’ শীর্ষক একটি গ্রন্থ রচনা করেন। গ্রন্থে তিনি বলেছেন, ‘খ্রিস্টপূর্ব ১১৪ সাল থেকে ১২৭ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত চীনের রেশমী কাপড় যে-পথ দিয়ে মধ্য-এশিয়া ও ভারতে যেত, সে-পথকেই রেশমপথ বলা হয়। অন্যদিকে সামুদ্রিক রেশমপথ-এর মাধ্যমে প্রাচীনকালে চীনের সাথে বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক বিনিময় হতো। ছিন ও হান রাজবংশের আমল থেকে এ পথের ব্যবহার শুরু হয় এবং সুই ও থাং রাজবংশের আমলে এর সমৃদ্ধি ঘটে। সোং ওইউয়ান রাজবংশের আমলেও এর প্রভাব ছিল ব্যাপক। আর মিং রাজবংশের আমলের প্রথম দিকে এ পথের ব্যবহার শীর্ষ পর্যায়ে উন্নীত হয়। তবে, মিং রাজবংশের আমলের মাঝামাঝি সময়ে সামুদ্রিক যাত্রার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি হবার পর এ সামুদ্রিক পথের ব্যবহার বন্ধ হয়ে যায়। সামুদ্রিক রেশমপথের শুরু চীনের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলীয় অঞ্চলে। এটি মধ্য-দক্ষিণ উপদ্বীপ, দক্ষিণ চীন সাগরীয় অঞ্চলের বিভিন্ন দেশ এবং ভারত সাগর ও লোহিত সাগরের মধ্য দিয়ে পূর্ব আফ্রিকা ও ইউরোপে পৌঁছায়। এটা চীনের সাথে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বাণিজ্যিক ও সাংস্কৃতিক লেনদেনের গুরুত্বপূর্ণ সামুদ্রিক পথ ছিল। তখন আশেপাশের বিভিন্ন দেশের ওপরও এ পথের ইতিবাচক প্রভাব পড়েছিল।
যা’হোক, বিশ্বের এই সর্বাধিক ব্যয়বহল প্রকল্পের মুখ্য উদ্দেশ্য হচ্ছে: সড়ক, রেলপথ এবং বন্দরের উন্নয়ন ঘটিয়ে সমগ্র বিশ্বে বাণিজ্যের প্রসার ঘটানো। তাই এই প্রকল্প যথাসময়ে এবং নিখুঁতভাবে বাস্তবায়িত হোক, উদ্দেশ্য সফল হোক, মানুষের ব্যাপক কল্যাণ হোক সেটিই কাম্য। আশা করছি, জাপান এবং ভারতসহ যেসব দেশ সন্মেলনে অংশগ্রহণ করেনি, তারাও এই প্রকল্পে সংযুক্ত হবে। নতুবা প্রকল্পের বা চীনের যা ক্ষতি হবে, তার চেয়ে অনেক বেশি ক্ষতির সন্মুখীন হবে তারা নিজেরাই। কারণ, বিশাল এক উন্নয়ন প্রকল্প হতে এবং নতুন বাণিজ্য ব্যবস্থার সুফল হতে  ছিটকে পড়বে। এমনকি বিশ্বের মূল ¯্রােত থেকেও।
লেখক : সাংবাদিক ও কলামিস্ট

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন